Masadir Book

Go Back
Book Id: 10170

বাইবেল- নববিধান

Chapter: 4, যোহন / John

4-John 1:1 : আদিতে বাক্যছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন আর সেই বাক্যই ঈশ্বর ছিলেন৷
4-John 1:2 : সেই বাক্য আদিতে ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন৷
4-John 1:3 : তাঁর মাধ্যমেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়েছিল এবং এর মধ্যে তাঁকে ছাড়া কোন কিছুরই সৃষ্টি হয় নি৷
4-John 1:4 : তাঁর মধ্যে জীবন ছিল; আর সেই জীবন জগতের মানুষের কাছে আলো নিয়ে এল৷
4-John 1:5 : সেই আলো অন্ধকারের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে উঠল; আর অন্ধকার সেই আলোকে জয় করতে পারে নি৷
4-John 1:6 : একজন লোক এলেন তাঁর নাম য়োহন; ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছিলেন৷
4-John 1:7 : তিনি সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার জন্য সাক্ষী রূপে এলেন; যাতে তাঁর মাধ্যমে সকল লোক সেই আলোর কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারে৷
4-John 1:8 : য়োহন নিজে সেই আলো ছিলেন না; কিন্তু তিনি এসেছিলেন যাতে লোকদের কাছে সেই আলোর বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন৷
4-John 1:9 : প্রকৃত য়ে আলো, তা সকল মানুষকে আলোকিত করতে পৃথিবীতে আসছিলেন৷
4-John 1:10 : সেই বাক্য জগতে ছিল এবং এই জগত তাঁর দ্বারাই সৃষ্ট হয়েছিল; কিন্তু জগত তাঁকে চিনতে পারে নি৷
4-John 1:11 : য়ে জগত তাঁর নিজস্ব সেখানে তিনি এলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকেরাই তাঁকে গ্রহণ করল না৷
4-John 1:12 : কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল৷ যাঁরা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন৷
4-John 1:13 : ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি৷ মা - বাবার দৈহিক কামনা - বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের এই জন্ম৷
4-John 1:14 : বাক্য মানুষের রূপ ধারণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বসবাস করতে লাগলেন৷ পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর য়ে মহিমা, সেই মহিমা আমরা দেখেছি৷ সে বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পরিপূর্ণ ছিলেন৷
4-John 1:15 : য়োহন তাঁর সম্পর্কে মানুষকে বললেন, ইনিই তিনি য়াঁর সম্বন্ধে আমি বলেছি৷ যিনি আমার পরে আসছেন, তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন৷”
4-John 1:16 : সেই বাক্য অনুগ্রহ ও সত্যে পূর্ণ ছিলেন৷ আমরা সকলে তাঁর থেকে অনুগ্রহের ওপর অনুগ্রহ পেয়েছি৷
4-John 1:17 : কারণ মোশির মাধ্যমে বিধি - ব্যবস্থা দেওযা হয়েছিল, কিন্তু অনুগ্রহ ও সত্যের পথ যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে এসেছে৷
4-John 1:18 : ঈশ্বরকে কেউ কখনও দেখেনি; কিন্তু একমাত্র পুত্র, যিনি পিতার কাছে থাকেন, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন৷
4-John 1:19 : জেরুশালেমের ইহুদীরা কয়েকজন যাজক ও লেবীয়কে য়োহনের কাছে পাঠালেন৷ তাঁরা এসে য়োহনকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কে?
4-John 1:20 : য়োহন একথার জবাব খোলাখুলিভাবেই দিলেন; তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন না৷ তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার করলেন, আমি সেই খ্রীষ্ট নই৷
4-John 1:21 : তখন তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আপনি কে? আপনি কি এলিয়?য়োহন বললেন, না, আমি এলিয় নই৷ইহুদীরা জিজ্ঞেস করলেন, তবে আপনি কি সেই ভাববাদী?য়োহন এর জবাবে বললেন, না৷
4-John 1:22 : তখন তাঁরা বললেন, তাহলে আপনি কে? আমাদের বলুন যাতে যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছে তাদের জবাব দিতে পারি৷ আপনার নিজের বিষয়ে আপনি কি বলেন?
4-John 1:23 : ভাববাদী যিশাইয় যা বলেছিলেন তা উল্লেখ করে য়োহন বললেন,আমি তাঁর রব, যিনি মরু প্রান্তরে চিত্‌কার করে বলছেন, তোমার প্রভুর জন্য পথ সোজা কর!” যিশাইয় 40 :3
4-John 1:24 : যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে কিছু ফরীশী সম্প্রদায়ের লোক ছিল৷
4-John 1:25 : তাঁরা য়োহনকে বললেন, আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট নন, এলিয় নন, ভাববাদীও নন, তাহলে আপনি বাপ্তাইজ করছেন কেন?
4-John 1:26 : এর উত্তরে য়োহন বললেন, আমি জলে বাপ্তাইজ করছি৷ তোমাদের মধ্যে একজন দাঁড়িয়ে আছেন যাঁকে তোমরা চেন না৷
4-John 1:27 : তিনিই সেই লোক যিনি আমার পরে আসছেন৷ আমি তাঁর পায়ের চটির ফিতে খোলবার য়োগ্য নই৷
4-John 1:28 : যর্দন নদীর অপর পারে বৈথনিযাতে য়েখানে য়োহন লোকেদের বাপ্তাইজ করছিলেন, সেইখানে এইসব ঘটেছিল৷
4-John 1:29 : পরের দিন য়োহন যীশুকে তাঁর দিকে আসতে দেখে বললেন, ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপরাশি বহন করে নিয়ে যান!
4-John 1:30 : ইনিই সেই লোক, য়াঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, আমার পরে একজন আসছেন, কিন্তু তিনি আমার থেকে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন৷
4-John 1:31 : এমনকি আমিও তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু ইস্রায়েলীয়রা য়েন তাঁকে খ্রীষ্ট বলে চিনতে পারে এইজন্য আমি এসে তাদের জলে বাপ্তাইজ করছি৷
4-John 1:32 : এরপর য়োহন তাঁর সাক্ষ্যে বললেন, আমি নিজেও খ্রীষ্ট কে তা জানতাম না৷ কিন্তু লোকদের জলে বাপ্তাইজ করতে ঈশ্বর আমাকে পাঠালেন৷ ঈশ্বর আমাকে বললেন, তুমি দেখতে পাবে এক ব্যক্তির উপর পবিত্র আত্মা এসে অধিষ্ঠান করছেন৷ আর তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি পবিত্র আত্মাতে বাপ্তাইজ করবেন৷” য়োহন বললেন, আমি পবিত্র আত্মাকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখেছি৷ সেই আত্মা কপোতের আকারে এসে যীশুর উপর বসলেন৷
4-John 1:33 : -
4-John 1:34 : আমি তা দেখেছি আর তাই আমি লোকেদের বলি, য়ে তিনিই ঈশ্বরের পুত্র৷”
4-John 1:35 : পরদিন য়োহন তাঁর দুজন শিষ্য়ের সঙ্গে আবার সেখানে এলেন৷
4-John 1:36 : যীশুকে সেখান দিয়ে য়েতে দেখে তিনি বললেন, ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক!
4-John 1:37 : তাঁর সেই দুজন শিষ্য য়োহনের কথা শুনে যীশুর অনুসরণ করতে লাগলেন৷
4-John 1:38 : যীশু পিছন ফিরে সেই দুজনকে অনুসরণ করতে দেখে, তাঁদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি চাও?তাঁরা যীশুকে বললেন, রব্বি, আপনি কোথায় থাকেন? (রব্বি কথাটির অর্থ গুরু৷)
4-John 1:39 : যীশু তাঁদের বললেন, এস দেখবে৷ তখন তাঁরা গিয়ে দেখলেন তিনি কোথায় থাকেন৷ আর সেই দিনের বাকি সময়টা তাঁরা যীশুর কাছে কাটালেন৷ তখন সময় ছিল প্রায় বিকাল চারটে৷
4-John 1:40 : য়োহনের কথা শুনে য়ে দুজন লোক যীশুর পিছনে পিছনে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হচ্ছেন শিমোন পিতরের ভাই আন্দরিয়৷
4-John 1:41 : আন্দরিয় সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ভাই শিমোনের দেখা পেয়ে তাকে বললেন, আমরা মশীহের দেখা পেয়েছি৷ মশীহ কথাটির অর্থ খ্রীষ্ট৷
4-John 1:42 : আন্দরিয়, শিমোন পিতরকে যীশুর কাছে নিয়ে এলেন৷ যীশু তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি য়োহনের ছেলে শিমোন, তোমাকে কৈফা বলে ডাকা হবে৷ কৈফা কথাটির অর্থ পিতর৷
4-John 1:43 : পরের দিন যীশু গালীলে যাবেন বলে ঠিক করলেন৷ সেখানে তিনি ফিলিপের দেখা পেয়ে তাঁকে বললেন, আমার অনুসরণ কর৷
4-John 1:44 : আন্দরিয় ও পিতর য়ে অঞ্চলে থাকতেন ফিলিপ ছিলেন, সেই বৈত্‌সৈদার লোক৷
4-John 1:45 : ফিলিপ এবার নথনেলকে দেখতে পেয়ে বললেন, আমরা এমন একজনের দেখা পেয়েছি যার কথা মোশি ও ভাববাদীরা বিধি - ব্যবস্থায় লিখে রেখে গেছেন৷ তিনি নাসরত্ নিবাসী য়োষেফের ছেলে যীশু৷
4-John 1:46 : নথনেল তাঁকে বললেন, নাসরত্! নাসরত্ থেকে কি ভাল কিছু আসতে পারে?ফিলিপ বললেন, এস দেখে যাও৷
4-John 1:47 : যীশু দেখলেন নথনেল তাঁর দিকে আসছেন৷ তখন তিনি তাঁর বিষয়ে বললেন, এই দেখ একজন প্রকৃত ইস্রায়েলীয়, যার মধ্যে কোন ছলনা নেই৷
4-John 1:48 : নথনেল তাঁকে বললেন, আপনি কেমন করে আমাকে চিনলেন?এর উত্তরে যীশু বললেন, ফিলিপ আমার সম্পর্কে তোমায় বলার আগে তুমি যখন ডুমুর গাছের তলায় বসেছিলে, আমি তখনই তোমায় দেখেছিলাম৷
4-John 1:49 : নথনেল বললেন, রব্বি (গুরু), আপনিই ঈশ্বরের পুত্র, আপনিই ইস্রায়েলের রাজা৷
4-John 1:50 : যীশু উত্তরে বললেন, আমি তোমাকে ডুমুর গাছের তলায় দেখেছিলাম বলেই কি তুমি আমাকে বিশ্বাস করলে? এর চেয়েও আরো অনেক মহত্ জিনিস তুমি দেখতে পাবে!
4-John 1:51 : পরে যীশু তাঁকে আরও বললেন, সত্যি, সত্যিই আমি তোমাদের বলছি৷ তোমরা একদিন দেখবে স্বর্গ খুলে গেছে, আর ঈশ্বরের দূতরা মানবপুত্রের ওপর দিয়ে উঠে যাচ্ছেন আর নেমে আসছেন৷
4-John 2:1 : তৃতীয় দিনে গালীলের কান্না নগরে একটা বিয়ে হচ্ছিল এবং যীশুর মা সেখানে ছিলেন৷
4-John 2:2 : সেই বিয়ে বাড়িতে যীশু ও তাঁর শিষ্যদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল৷
4-John 2:3 : যখন সমস্ত দ্রাক্ষারস ফুরিয়ে গেল, তখন যীশুর মা তাঁর কাছে এসে বললেন, এদের আর দ্রাক্ষারস নেই৷
4-John 2:4 : যীশু বললেন, হে নারী, তুমি আমায় কেন বলছ কি করা উচিত? আমার সময় এখনও আসেনি৷
4-John 2:5 : তাঁর মা চাকরদের বললেন, ইনি তোমাদের যা কিছু করতে বলেন তোমরা তাই কর৷
4-John 2:6 : ইহুদী ধর্মের রীতি অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে হাত পা ধোযার জন্য সেই জায়গায় পাথরের ছটা জলের জালা বসানো ছিল৷ এই জালাগুলির প্রতিটিতে আশি থেকে একশ লিটার জল ধরত৷
4-John 2:7 : যীশু সেই চাকরদের বললেন, এই জালাগুলিতে জল ভরে আন৷ তখন তারা জালাগুলি কানায় কানায় ভরে দিল৷
4-John 2:8 : তারপর যীশু তাদের বললেন, এর থেকে কিছুটা নিয়ে ভোজের কর্তার কাছে নিয়ে যাও৷ তখন তারা তাই করল৷
4-John 2:9 : জল যা দ্রাক্ষারসে পরিণত হয়েছিল, ভোজের কর্তা তা আস্বাদ করলেন৷ সেই দ্রাক্ষারস কোথা থেকে এল তা তিনি জানতেন না; কিন্তু য়ে চাকরেরা জল এনেছিল তারা তা জানত৷ তারপর তিনি বরকে ডাকলেন৷
4-John 2:10 : তিনি বললেন, সাধারণতঃ প্রথমে লোকে ভাল দ্রাক্ষারস পরিবেশন করে আর অতিথিরা যখন মাতাল হয়ে ওঠে তখন তাদের নিম্নমানের দ্রাক্ষারস পরিবেশন করা হয়, অথচ আমি দেখছি তোমরা ভাল দ্রাক্ষারস এখনও রেখে দিয়েছ৷
4-John 2:11 : এই প্রথম অলৌকিক চিহ্ন করে গালীলের কান্না নগরে যীশু তাঁর মহিমা প্রকাশ করলেন; আর তাঁর শিষ্যেরা তাঁর ওপর বিশ্বাস করল৷
4-John 2:12 : পরে তিনি তাঁর মা, ভাইদের ও শিষ্যদের সঙ্গে কফরনাহূম শহরে গেলেন৷ সেখানে তাঁরা অল্প কিছু দিন থাকলেন৷লূক 19 :45 - 46 )
4-John 2:13 : ইহুদীদের নিস্তারপর্ব পালনের সময় এগিয়ে এলে যীশু জেরুশালেমে গেলেন৷
4-John 2:14 : তিনি দেখলেন মন্দিরের মধ্যে লোকেরা গরু, ভেড়া ও পায়রা বিক্রি করছে; আর পোদ্দাররা বসে আছে, এরা লোকের টাকা নিয়ে বদল ও ব্যবসা করত৷
4-John 2:15 : তখন তিনি কিছু দড়ি দিয়ে একটা চাবুক তৈরী করে তা দিয়ে গরু, ভেড়া সমেত এই সব লোকদের মন্দির চত্বর থেকে বের করে দিলেন; আর পোদ্দারদের টাকা পয়সা সব ছড়িয়ে টেবিল উল্টিয়ে দিলেন৷
4-John 2:16 : যাঁরা পায়রা বিক্রি করছিল তাদের বললেন, এখান থেকে এসব নিয়ে যাও! আমার পিতার এই গৃহকে বাজারে পরিণত কোরো না!
4-John 2:17 : তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল শাস্ত্রে লেখা আছে:তোমার গৃহের প্রতি আমার উত্‌সাহ আমাকে গ্রাস করবে৷গীতসংহিতা 69:9
4-John 2:18 : ইহুদীরা তখন এর জবাবে তাঁকে বলল, তোমার য়ে এসব করার অধিকার আছে তার প্রমাণ স্বরূপ কি কোন অলৌকিক চিহ্ন আমাদের দেখাতে পার?
4-John 2:19 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, তোমরা এই মন্দির ভেঙ্গে ফেল, আমি তিন দিনের মধ্যে একে আবার গড়ে তুলব৷
4-John 2:20 : তখন ইহুদীরা বলল, এই মন্দির নির্মাণ করতে ছেচল্লিশ বছর লেগেছিল; আর তুমি কিনা তিন দিনের মধ্যে এটা গড়ে তুলবে?
4-John 2:21 : কিন্তু য়ে মন্দিরের কথা তিনি বলছিলেন তা হচ্ছে তাঁর দেহ৷
4-John 2:22 : যখন তিনি মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হলেন, তখন তাঁর শিষ্যদের মনে পড়ল য়ে তিনি এই কথাই বলেছিলেন, তখন তাঁরা যীশুর বিষয়ে শাস্ত্রের কথা ও যীশুর বাক্য়ে বিশ্বাস করলেন৷
4-John 2:23 : নিস্তারপর্বের জন্য যীশু যখন জেরুশালেমে ছিলেন, তখন বহুলোক তাঁর ওপর বিশ্বাস করল, কারণ যীশু সেখানে য়েসব অলৌকিক চিহ্নকার্য় করছিলেন তা তারা দেখল৷
4-John 2:24 : কিন্তু যীশু নিজে তাদের ওপর কোন আস্থা রাখেন নি, কারণ তিনি এই সব লোকদের ভালভাবেই জানতেন৷
4-John 2:25 : কোন লোকের কাছ থেকে মানুষের সম্বন্ধে কিছু জানার তাঁর প্রযোজন ছিল না, কারণ মানুষের অন্তরে কি আছে তিনি তা জানতেন৷
4-John 3:1 : ফরীশীদের মধ্যে নীকদীম নামে একজন লোক ছিলেন৷ তিনি ইহুদী সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা৷
4-John 3:2 : একদিন রাতে তিনি যীশুর কাছে এসে বললেন, রব্বি (গুরু), আমরা জানি আপনি একজন শিক্ষক, ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন৷ ঈশ্বর সহায় না হলে কেউ কি ঐরূপ অলৌকিক কাজ করতে পারে, যা আপনি করছেন?
4-John 3:3 : এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, নতুন জন্ম না হলে কোন ব্যক্তি ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পাবে না৷
4-John 3:4 : নীকদীম তাঁকে বললেন, মানুষ বৃদ্ধ হয়ে গেলে কেমন করে তার আবার নতুন জন্ম হতে পারে? সে নিশ্চয়ই দ্বিতীয় বার মায়ের গর্ভে প্রবেশ করে আবার জন্মাতে পারে না!
4-John 3:5 : যীশু তাঁকে বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি কোন লোক জল ও আত্মা থেকে না জন্মায়, তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না৷
4-John 3:6 : শরীর থেকেই শরীরের জন্ম হয় আর আত্মা থেকে জন্ম হয় আধ্যাত্মিকতার৷
4-John 3:7 : আমি তোমাকে যা বললাম, তাতে আশ্চর্য হযো না, তোমাদের নতুন জন্ম হওযা অবশ্যই দরকার৷
4-John 3:8 : বাতাস য়েদিকে ইচ্ছা সেদিকে বয় আর তুমি তার শব্দ শুনতে পাও; কিন্তু কোথা থেকে আসে আর কোথায় বা তা বয়ে যায় তুমি তা জানো না৷ আত্মা থেকে যাদের জন্ম হয় তাদের সকলের বেলাও সেইরকম হয়৷
4-John 3:9 : এর উত্তরে নীকদীম তাঁকে বললেন, এটা কেমন করে হতে পারে?
4-John 3:10 : তখন যীশু তাঁকে বললেন, তুমি ইস্রায়েলীয়দের একজন গুরুত্বপূর্ণ গুরু; আর তুমি এটা জানো না?
4-John 3:11 : যা সত্য আমি তোমাকে তাই বলছি, আমরা যা জানি তাই বলি, আমরা যা দেখেছি সেই বিষয়েই সাক্ষ্য দিই: কিন্তু আমরা যাই বলি না কেন তোমরা তা গ্রহণ করো না৷
4-John 3:12 : আমি তোমাদের কাছে পার্থিব বিষয়ের কথা বললে তোমরা যদি বিশ্বাস না করো, তবে আমি স্বর্গীয় বিষয়ে কোন কথা বললে তোমরা তা কেমন করে বিশ্বাস করবে?
4-John 3:13 : যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন সেই মানবপুত্র ছাড়া কেউ কখনও স্বর্গে ওঠেনি৷
4-John 3:14 : মরুভূমির মধ্যে মোশি য়েমন সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, তেমনি মানবপুত্রকে অবশ্যই উঁচুতে ওঠানো হবে৷
4-John 3:15 : সুতরাং য়ে কেউ মানবপুত্রকে বিশ্বাস করে সেই অনন্ত জীবন পায়৷
4-John 3:16 : কারণ ঈশ্বর এই জগতকে এতোই ভালবাসেন য়ে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দিলেন, য়েন সেই পুত্রের ওপর য়ে কেউ বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় বরং অনন্ত জীবন লাভ করে৷
4-John 3:17 : ঈশ্বর জগতকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তাঁর পুত্রকে এ জগতে পাঠান নি, বরং জগত য়েন তাঁর মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় এইজন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছেন৷
4-John 3:18 : য়ে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে তার বিচার হয় না৷ কিন্তু য়ে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করেনা, সে দোষী সাব্যস্ত হয়, কারণ সে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্রের ওপর বিশ্বাস করে নি৷
4-John 3:19 : আর এটাই বিচারের ভিত্তি৷ জগতে আলো এসেছে, কিন্তু মানুষ আলোর চেয়ে অন্ধকারকে বেশী ভালবেসেছে, কারণ তারা মন্দ কাজ করেছে৷
4-John 3:20 : য়ে কেউ মন্দ কাজ করে সে আলোকে ঘৃণা করে, আর সে আলোর কাছে আসে না, পাছে তার কাজের স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়ে৷
4-John 3:21 : কিন্তু য়ে কেউ সত্যের অনুসারী হয় সে আলোর কাছে আসে, যাতে সেই আলোতে স্পষ্ট বোঝা যায় য়ে তার সমস্ত কাজ ঈশ্বরের মাধ্যমে হয়েছে৷
4-John 3:22 : এরপর যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে যিহূদিযা প্রদেশে এলেন৷ তিনি সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকতে লাগলেন ও বাপ্তাইজ করতে লাগলেন৷
4-John 3:23 : য়োহনও শালীমের নিকট ঐনোন নামক স্থানে বাপ্তাইজ করছিলেন, কারণ সেখানে প্রচুর জল ছিল; আর লোকেরা তাঁর কাছে এসে বাপ্তিস্ম নিচ্ছিল৷
4-John 3:24 : য়োহন তখনও কারাগারে বন্দী হন নি৷
4-John 3:25 : সেই সময় ইহুদী রীতি অনুসারে শুচি হওযার বিষয়ে য়োহনের শিষ্যদের সঙ্গে একজন ইহুদীর তর্ক বাধে৷
4-John 3:26 : পরে তারা য়োহনের কাছে এসে বলল, রব্বি (গুরু), তাঁকে মনে পড়ে যিনি যর্দন নদীর ওপারে আপনার সঙ্গে ছিলেন এবং য়াঁর বিষয়ে আপনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন? তিনি লোকেদের বাপ্তাইজ করছেন আর সবাই তাঁর কাছে যাচ্ছে৷
4-John 3:27 : এর উত্তরে য়োহন বললেন, স্বর্গ থেকে দেওযা না হলে কেউই কোন কিছু লাভ করতে পারে না৷
4-John 3:28 : তোমরা নিজেরাই শুনেছ য়ে আমি বলেছিলাম, আমি খ্রীষ্ট নই; কিন্তু আমাকে তাঁর আগেই পাঠানো হয়েছে৷
4-John 3:29 : কনে বরেরই জন্য, কিন্তু বরের বন্ধু পাশে দাঁড়িয়ে থাকে বরের কথা শোনার জন্য৷ আর সে যখন বরের গলা শুনতে পায় তখন খুবই আনন্দিত হয়৷ তাই আজ আমার সেই আনন্দ পূর্ণ হল৷
4-John 3:30 : তিনি উত্তরোত্তর বড় হবেন, আর আমি অবশ্যই নগন্য হয়ে যাব৷
4-John 3:31 : একজন যিনি উর্দ্ধ থেকে আসেন তিনি সবার উর্দ্ধে৷ য়ে এই জগতের মধ্য থেকে আসে সে জগতের, তাই সে যা কিছু বলে তা জগতের বিষয়েই বলে৷ যিনি স্বর্গ থেকে আসেন তিনি সবার উপরে৷
4-John 3:32 : তিনি যা দেখেছেন আর শুনেছেন তারই সাক্ষ্য দেন; কিন্তু কেউই তাঁর সাক্ষ্য মেনে নিতে রাজী নয়৷
4-John 3:33 : য়ে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করে সে তার দ্বারা প্রমাণ করে য়ে ঈশ্বরই সত্য,
4-John 3:34 : কারণ ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন তিনি ঈশ্বরের কথাই বলেন৷ ঈশ্বর তাঁকে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ করেছেন৷
4-John 3:35 : পিতা তাঁর পুত্রকে ভালবাসেন, আর তিনি তাঁর হাতেই সব কিছু সঁপে দিয়েছেন৷
4-John 3:36 : য়ে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবনের অধিকারী হয়; কিন্তু য়ে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও লাভ করে না, বরং তার ওপরে ঈশ্বরের ক্রোধ থাকে৷
4-John 4:1 : ফরীশীরা জানতে পারল য়ে যীশু য়োহনের চেয়ে বেশী শিষ্য করেছেন ও বাপ্তাইজ করছেন৷
4-John 4:2 : যদিও যীশু নিজে বাপ্তাইজ করছিলেন না, বরং তাঁর শিষ্যরাই তা করছিলেন৷
4-John 4:3 : তারপর তিনি যিহূদিযা ছেড়ে চলে গেলেন এবং গালীলেই ফিরে গেলেন৷
4-John 4:4 : গালীলে যাবার সময় তাঁকে শমরিযার মধ্য দিয়ে য়েতে হল৷
4-John 4:5 : যাকোব তাঁর ছেলে য়োষেফকে য়ে ভূমি দিয়েছিলেন তারই কাছে শমরীযার শুখর নামে এক শহরে যীশু গেলেন৷
4-John 4:6 : এখানেই যাকোবের কুযাটি ছিল, যীশু সেই কুযার ধারে এসে বসলেন কারণ তিনি হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন বেলা প্রায় দুপুর৷
4-John 4:7 : একজন শমরীযা স্ত্রীলোক সেখানে জল তুলতে এল৷ যীশু তাকে বললেন, আমায় একটু জল খেতে দাও তো৷
4-John 4:8 : সেই সময় শিষ্যরা শহরে কিছু খাবার কিনতে গিয়েছিল৷
4-John 4:9 : সেই শমরীয় স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, একি আপনি একজন ইহুদী হয়ে আমার কাছ থেকে খাবার জন্য জল চাইছেন! আমি একজন শমরীয় স্ত্রীলোক! ইহুদীরা শমরীয়দের সঙ্গে কোনরকম মেলামেশা করত না৷
4-John 4:10 : এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, তুমি যদি জানতে য়ে ঈশ্বরের দান কি আর কে তোমার কাছ থেকে খাবার জন্য জল চাইছেন৷ তাহলে তুমিই আমার কাছে জল চাইতে আর আমি তোমাকে জীবন্ত জল দিতাম৷
4-John 4:11 : স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, মহাশয়, আপনি কোথা থেকে সেই জীবন্ত জল পাবেন? এই কুযাটি যথেষ্ট গভীর৷ জল তোলার কোন পাত্রও আপনার কাছে নেই৷
4-John 4:12 : আপনি কি আমাদের পিতৃপুরুষ যাকোবের চেয়ে মহান? তিনি আমাদের এই কুযাটি দিয়ে গেছেন৷ তিনি নিজেই এই কুযার জল খেতেন এবং তাঁর সন্তানেরা ও তাঁর পশুপালও এর থেকেই জল পান করত৷
4-John 4:13 : যীশু তাকে বললেন, য়ে কেউ এই জল পান করবে তার আবার তেষ্টা পাবে৷
4-John 4:14 : কিন্তু আমি য়ে জল দিই তা য়ে পান করবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না৷ সেই জল তার অন্তরে এক প্রস্রবনে পরিণত হয়ে বইতে থাকবে, যা সেই ব্যক্তিকে অনন্ত জীবন দেবে৷
4-John 4:15 : স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, মশায়, আমাকে সেই জল দিন, য়েন আমার আর কখনও পিপাসা না পায় আর জল তুলতে আমায় এখানে আসতে না হয়৷
4-John 4:16 : তিনি তাকে বললেন, যাও, তোমার স্বামীকে এখানে ডেকে নিয়ে এস৷
4-John 4:17 : তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, আমার স্বামী নেই৷যীশু তাকে বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ য়ে তোমার স্বামী নেই৷
4-John 4:18 : তোমার পাঁচ জন স্বামী হয়ে গেছে; আর এখন য়ে লোকের সঙ্গে তুমি আছ সে তোমার স্বামী নয়, তাই তুমি যা বললে তা সত্যি৷
4-John 4:19 : সেই স্ত্রীলোকটি তখন তাঁকে বলল, মহাশয়, আমি দেখতে পাচ্ছি য়ে আপনি একজন ভাববাদী৷
4-John 4:20 : আমাদের পিতৃপুরুষেরা এই পর্বতের ওপর উপাসনা করতেন৷ কিন্তু আপনারা ইহুদীরা বলেন য়ে জেরুশালেমই সেই জায়গা য়েখানে লোকেদের উপাসনা করতে হবে৷
4-John 4:21 : যীশু তাকে বললেন, হে নারী, আমার কথায় বিশ্বাস কর! সময় আসছে যখন তোমরা পিতা ঈশ্বরের উপাসনা এই পাহাড়ে করবে না, জেরুশালেমেও নয়৷
4-John 4:22 : তোমরা শমরীয়রা কি উপাসনা কর তোমরা তা জানো না৷ আমরা ইহুদীরা কি উপাসনা করি আমরা তা জানি, কারণ ইহুদীদের মধ্য থেকেই পরিত্রাণ আসছে৷
4-John 4:23 : সময় আসছে, বলতে কি তা এসে গেছে, যখন প্রকৃত উপাসনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতা ঈশ্বরের উপাসনা করবে৷ পিতা ঈশ্বরও এইরকম উপাসনাকারীদেরই চান৷
4-John 4:24 : ঈশ্বর আত্মা, যাঁরা তাঁর উপাসনা করে তাদেরকে আত্মায় ও সত্যে উপাসনা করতে হবে৷
4-John 4:25 : তখন সেই স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, আমি জানি, মশীহ আসছেন৷ মশীহকে তারা খ্রীষ্ট বলে৷ যখন তিনি আসবেন, তখন আমাদের সব কিছু জানাবেন৷
4-John 4:26 : যীশু তাকে বললেন, তোমার সঙ্গে য়ে কথা বলছে আমিই সেই মশীহ৷
4-John 4:27 : সেই সময় তাঁর শিষ্যরা ফিরে এলেন৷ একজন স্ত্রীলোকের সঙ্গে যীশুকে কথা বলতে দেখে তাঁরা আশ্চর্য হয়ে গেলেন৷ তবু কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন না, আপনি কি চাইছেন? বা আপনি কি জন্য ওর সঙ্গে কথা বলছেন?
4-John 4:28 : সেই স্ত্রীলোকটি তখন তার কলসী ফেলে রেখে গ্রামে গেল, আর লোকদের বলল,
4-John 4:29 : তোমরা এস, একজন লোককে দেখ, আমি যা কিছু করেছি, তিনি আমাকে সে সব বলে দিলেন৷ তিনিই কি সেই মশীহ নন?
4-John 4:30 : তখন লোকেরা শহর থেকে বের হয়ে যীশুর কাছে আসতে লাগল৷
4-John 4:31 : এরই মাঝে তার শিষ্যরা তাঁকে অনুরোধ করে বললেন, রব্বি (গুরু), আপনি কিছু খেয়ে নিন!
4-John 4:32 : কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, আমার কাছে এমন খাবার আছে যার কথা তোমরা কিছুই জান না৷
4-John 4:33 : তখন তাঁর শিষ্যরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, তাহলে কি কেউ তাঁকে কিছু খাবার এনে দিয়েছে?
4-John 4:34 : তখন যীশু তাঁদের বললেন, যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা পালন করা ও তাঁর য়ে কাজ তিনি আমায় করতে দিয়েছেন তা সম্পন্ন করাই হল আমার খাবার৷
4-John 4:35 : তোমরা প্রায়ই বলে থাক, আর চার মাস বাকী আছে, তারপরই ফসল কাটার সময় হবে৷ কিন্তু তোমরা চোখ মেলে একবার ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে দেখ, ফসল কাটবার মতো সময় হয়েছে৷
4-John 4:36 : য়ে ফসল কাটছে সে এখনই তার মজুরী পাচ্ছে, আর সে তা করছে অনন্ত জীবন লাভের জন্য৷ তার ফলে বীজ য়ে বোনে আর ফসল য়ে কাটে উভয়েই একই সঙ্গে আনন্দিত হয়৷
4-John 4:37 : এই প্রবাদ বাক্যটি সত্য য়ে, একজন বীজ বোনে আর অন্যজন কাটে৷
4-John 4:38 : আমি তোমাদের এমন ফসল কাটতে পাঠিয়েছি, যার জন্য তোমরা কোন পরিশ্রম করনি৷ তার জন্য অন্যরা খেটেছে আর তোমরা তাদের কাজের ফসল তুলছ৷
4-John 4:39 : সেই শহরের অনেক শমরীয় তাঁর ওপর বিশ্বাস করল, কারণ সেই স্ত্রীলোকটি সাক্ষ্য দিচ্ছিল, আমি যা যা করেছি সবই তিনি আমাকে বলে দিয়েছেন৷
4-John 4:40 : শমরীয়রা তাঁর কাছে এসে যীশুকে তাদের সঙ্গে থাকতে অনুরোধ করল৷ তখন তিনি দুদিন সেখানে থাকলেন৷
4-John 4:41 : আরও অনেক লোক তাঁর কথা শুনে তাঁর ওপর বিশ্বাস করল৷
4-John 4:42 : তারা সেই স্ত্রীলোকটিকে বলল, প্রথমে তোমার কথা শুনে আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, কিন্তু এখন আমরা নিজেরা তাঁর কথা শুনে বিশ্বাস করেছি ও বুঝতে পেরেছি য়ে ইনি সত্যিই জগতের উদ্ধারকর্তা৷
4-John 4:43 : দুদিন পর তিনি সেখান থেকে গালীলে চলে গেলেন৷
4-John 4:44 : কারণ যীশু নিজেই বলেছিলেন য়ে একজন ভাববাদী কখনও তাঁর নিজের দেশে সম্মান পান না৷
4-John 4:45 : তাই তিনি যখন গালীলে এলেন, গালীলের লোকেরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করল৷ জেরুশালেমে নিস্তারপর্বের সময় তিনি যা যা করেছিলেন তা তারা দেখেছিল, কারণ তারাও সেই পর্বের সময় সেখানে গিয়েছিল৷
4-John 4:46 : পরে যীশু আবার গালীলের কান্না নগরে গেলেন৷ এখানেই তিনি জলকে দ্রাক্ষারসে পরিণত করেছিলেন৷ কফরনাহূম শহরে একজন রাজ - কর্মচারীর ছেলে খুবই অসুস্থ ছিল৷
4-John 4:47 : তিনি যখন শুনলেন য়ে যীশু যিহূদিযা থেকে গালীলে এসেছেন, তখন যীশুর কাছে গিয়ে তাঁকে মিনতি করে বললেন, তিনি য়েন কফরনাহূমে গিয়ে তার ছেলেকে সুস্থ করেন, কারণ তার ছেলে তখন মৃত্যুশয়্য়ায় ছিল৷
4-John 4:48 : যীশু তাকে বললেন, তোমরা কেউই কোন অলৌকিক চিহ্ন ও বিস্ময়কর কাজের নিদর্শন না পেলে আমার উপর বিশ্বাস করবে না৷
4-John 4:49 : সেই রাজ - কর্মচারী তাঁকে বললেন, মহাশয়, আমার ছেলেটি মারা যাবার আগে অনুগ্রহ করে আসুন!
4-John 4:50 : যীশু তাঁকে বললেন, বাড়ি যাও, তোমার ছেলে বাঁচল৷ যীশু তাঁকে য়ে কথা বললেন, সে কথা তিনি বিশ্বাস করে বাড়ি চলে গেলেন৷
4-John 4:51 : তিনি যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন তখন পথে তাঁর চাকরেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে বলল, আপনার ছেলে ভাল হয়ে গেছে৷
4-John 4:52 : তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, সে কখন ভাল হয়েছে?তারা বলল, গতকাল দুপুর একটার সময় তার জ্বর ছেড়েছে৷
4-John 4:53 : ছেলেটির বাবা বুঝতে পারলেন য়ে ঠিক সেই সময়ই যীশু তাকে বলেছিলেন, তোমার ছেলে বাঁচল৷ তখন সেই রাজ - কর্মচারী ও তাঁর পরিবারের সকলে যীশুর ওপর বিশ্বাস করলেন৷
4-John 4:54 : যিহূদিযা থেকে গালীলে আসার পর যীশু এই দ্বিতীয় বার অলৌকিক কাজ করলেন৷
4-John 5:1 : এরপর ইহুদীদের এক বিশেষ পর্বের সময় এলে যীশু জেরুশালেমে গেলেন৷
4-John 5:2 : জেরুশালেমে মেষ ফটকের কাছে একটা পুকুর ছিল৷ ইব্রীয়তে সেই পুকুরটিকে বৈথেসদা বলত৷ এই পুকুরটির পাঁচটি চাঁদনী ঘাট ছিল;
4-John 5:3 : ঘাটের সেইসব চাতালে অনেক অসুস্থ লোক শুয়ে থাকত; তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্ধ, কেউ কেউ খোঁড়া এমনকি পঙ্গু রোগীও থাকত৷
4-John 5:4 : -
4-John 5:5 : সেখানে একজন লোক ছিল য়ে আটত্রিশ বছর ধরে রোগে ভুগছিল৷
4-John 5:6 : যীশু তাকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখলেন৷ তিনি জানতেন য়ে সে দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছে৷ তাই তাকে বললেন, তুমি কি সুস্থ হতে চাও?
4-John 5:7 : সেই অসুস্থ লোকটি বলল, মহাশয় আমার এমন কোন লোক নেই, জল কেঁপে ওঠার সময় য়ে আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেবে৷ আমি ওখানে পৌঁছানোর আগেই কেউ না কেউ আমার আগে পুকুরে নেমে পড়ে৷
4-John 5:8 : যীশু তাকে বললেন, ওঠ! তোমার বিছানা গুটিয়ে নাও, হেঁটে বেড়াও৷
4-John 5:9 : লোকটি সঙ্গে সঙ্গে ভাল হয়ে গেল, আর তার বিছানা তুলে নিয়ে হাঁটতে থাকল৷এ ঘটনা বিশ্রামবারে ঘটল,
4-John 5:10 : তাই য়ে লোকটি আরোগ্য লাভ করেছিল তাকে ইহুদীরা বলল, আজ বিশ্রামবার, এভাবে তোমার বিছানা বয়ে বেড়ানো বিধি - ব্যবস্থা বিরুদ্ধ কাজ হচ্ছে৷
4-John 5:11 : সে তখন তাদের বলল, যিনি আমাকে সারিয়ে তুলেছেন তিনি বলেছিলেন, তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও৷”
4-John 5:12 : তারা সেই লোকটিকে জিজ্ঞেস করল, কে তোমাকে বলেছে য়ে তোমার বিছানা গুটিয়ে নিয়ে হেঁটে বেড়াও?
4-John 5:13 : কিন্তু য়ে লোকটি আরোগ্যলাভ করেছিল সে জানত না, তিনি কে৷ কারণ সেই জায়গায় অনেক লোক ভীড় করেছিল এবং যীশু সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন৷
4-John 5:14 : পরে যীশু মন্দিরের মধ্যে সেই লোকটিকে দেখতে পেয়ে তাকে বললেন, দেখ, তুমি এখন সুস্থ হয়ে গেছ; আর পাপ কোরো না, যাতে তোমার আরও খারাপ কিছু না হয়!
4-John 5:15 : এরপর সেই লোকটি ইহুদীদের কাছে গিয়ে বলল য়ে, যীশুই তাকে আরোগ্য দান করেছেন৷
4-John 5:16 : আর এই কারণেই ইহুদীরা যীশুকে নির্য়াতন করতে শুরু করল; কারণ তিনি বিশ্রামবারে এইসব কাজ করছিলেন৷
4-John 5:17 : তখন যীশু তাদের বললেন, আমার পিতা সব সময় কাজ করে চলেছেন, তাই আমিও কাজ করি৷
4-John 5:18 : তখন ইহুদীরা যীশুকে হত্যা করার জন্য আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠল৷ তারা বলল, তিনি য়ে কেবল বিশ্রামবারে বিধি - ব্যবস্থার বিরুদ্ধ কাজ করছিলেন তাই নয়, তিনি ঈশ্বরকে তাঁর পিতা বলে সম্বোধন করেছিলেন৷ আর এইভাবে তিনি নিজেকে ঈশ্বরের সমান জাহির করছিলেন৷
4-John 5:19 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি; পুত্র নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না৷ পিতাকে যা করতে দেখেন কেবল তাই করতে পারেন৷ পিতা যা কিছু করেন পুত্রও তাই করেন৷
4-John 5:20 : পিতা পুত্রকে ভালবাসেন, আর পিতা যা কিছু করেন তা পুত্রকে দেখান আর এর থেকে আরো মহান মহান কাজ পুত্রকে তিনি দেখাবেন, তখন তোমরা আশ্চর্য হয়ে যাবে৷
4-John 5:21 : পিতা মৃতদের জীবন দান করেন, তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন৷
4-John 5:22 : পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার তিনি পুত্রকে দিয়েছেন৷
4-John 5:23 : যাতে পিতাকে য়েমন সমস্ত লোক সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করে৷ য়ে পুত্রকে সম্মান করে না, সে পিতাকেও সম্মান করে না, কারণ পিতাই সেইজন যিনি পুত্রকে পাঠিয়েছেন৷
4-John 5:24 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি; য়ে কেউ আমার কথা শোনে, আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন লাভ করে এবং সে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে না৷ সে মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে৷
4-John 5:25 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি সময় আসছে; বলতে কি এসে গেছে, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনবে, আর যাঁরা শুনবে তারা বাঁচবে৷
4-John 5:26 : পিতার নিজের য়েমন জীবন দান করার ক্ষমতা রয়েছে ঠিক তেমনই তিনি তাঁর পুত্রকেও জীবন দান করার ক্ষমতা দিয়েছেন৷
4-John 5:27 : এবং পিতা সেই পুত্রের হাতেই সমস্ত বিচারের অধিকার দিয়েছেন, কারণ এই পুত্রই মানবপুত্র৷
4-John 5:28 : এই কথা শুনে তোমরা অবাক হযো না, কারণ সময় আসছে, যাঁরা কবরের মধ্যে আছে তারা সবাই মানবপুত্রের রব শুনবে৷
4-John 5:29 : তারপর তারা তাদের কবর থেকে বাইরে আসবে৷ যাঁরা সত্ কর্ম করেছে তারা উত্থিত হবে ও অনন্ত জীবন লাভ করবে৷ আর যাঁরা মন্দ কাজ করেছিল তারা পুনরুত্থিত হবে এবং দোষী বলে বিবেচিত হবে৷
4-John 5:30 : আমি নিজের থেকে কিছুই করতে পারি না৷ আমি (ঈশ্বরের কাছ থেকে) য়েমন শুনি তেমনি বিচার করি; আর আমি যা বিচার করি তা ন্যায়, কারণ আমি আমার ইচ্ছামতো কাজ করি না, বরং যিনি (ঈশ্বর) আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁরই ইচ্ছাপূরণ করার চেষ্টা করি৷
4-John 5:31 : আমি যদি আমার নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দিই তবে আমার সেই সাক্ষ্য সত্য বলে গৃহীত হবে না৷
4-John 5:32 : অন্য একজন আছেন যিনি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেন এবং আমি জানি য়ে সাক্ষ্যই তিনি দেন না কেন তা সত্য৷
4-John 5:33 : তোমরা সকলেই য়োহনের কাছে লোক পাঠিয়েছ আর তিনি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন৷
4-John 5:34 : কিন্তু আমি কোন মানুষের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি না৷ তবু আমি এসব কথা বলছি, যাতে তোমরা উদ্ধার পেতে পার৷
4-John 5:35 : য়োহন ছিলেন সেই প্রদীপের মতো যা জ্বলে এবং আলো দেয়; আর তোমরা কিছু সময়ের জন্য তার সেই আলো উপভোগ করে আনন্দিত হয়েছিল৷
4-John 5:36 : কিন্তু য়োহনের সাক্ষ্য থেকে আরো বড় সাক্ষ্য আমার আছে; কারণ পিতা য়ে সব কাজ আমায় করতে দিয়েছেন, সে সব কাজ আমিই করছি, আর সেই সব কাজই প্রমাণ করছে য়ে পিতা আমায় পাঠিয়েছেন৷
4-John 5:37 : পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন এমনকি আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন, তোমরা কেউই কখনও তাঁর রব শোননি, তাঁর আকারও দেখনি৷
4-John 5:38 : আর তাঁর শিক্ষাও তোমাদের অন্তরে নেই, কারণ ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন, তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করো না৷
4-John 5:39 : তোমরা সকলেই খুব মনোয়োগ সহকারে শাস্ত্রগুলি পড়, কারণ তোমরা মনে করো সেগুলির মধ্য দিয়েই তোমরা অনন্ত জীবন লাভ করবে আর সেই শাস্ত্রগুলিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে৷
4-John 5:40 : তবু তোমরা সেই জীবন লাভ করতে আমার কাছে আসতে চাও না৷
4-John 5:41 : মানুষের প্রশংসা আমি গ্রহণ করি না৷
4-John 5:42 : আমি তোমাদের সকলকেই জানি আর এও জানি য়ে তোমরা ঈশ্বরকে ভালোবাসো না৷
4-John 5:43 : আমি আমার পিতার নামে এসেছি, তবু তোমরা আমায় গ্রহণ করো না; কিন্তু অন্য কেউ যদি তার নিজের নামে আসে তাকে তোমরা গ্রহণ করবে৷
4-John 5:44 : তোমরা কিভাবে বিশ্বাস করতে পারো? তোমরা তো একজন অন্য জনের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে চাও৷ আর য়ে প্রশংসা একমাত্র ঈশ্বরের কাছে থেকে আসে আর খোঁজ তোমরা করো না৷
4-John 5:45 : মনে করো না য়ে আমিই সেই ব্যক্তি য়ে পিতার কাছে তোমাদের ওপর দোষারোপ করব৷ তোমাদের সাহায্য করবেন বলে য়ে মোশির উপর তোমরা আশা রাখো তিনিই তোমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন৷
4-John 5:46 : তোমরা যদি মোশিকে বিশ্বাস করতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে, কারণ মোশি তা আমার বিষয়েই লিখেছেন৷
4-John 5:47 : তোমরা যখন মোশির লেখায় বিশ্বাস করো না, তখন আমি যা বলি তা কেমন করে বিশ্বাস করবে?
4-John 6:1 : এরপর যীশু গালীল হ্রদের অপর পারে গেলেন, এই হ্রদকে তিবিরিযাও বলে৷
4-John 6:2 : বহু লোক তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগল, কারণ রোগীদের সুস্থ করতে তিনি য়ে সব অলৌকিক চিহ্ন করতেন তা তারা দেখেছিল৷
4-John 6:3 : যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা পাহাড়ের উপরে গিয়ে সেখানে বসলেন৷
4-John 6:4 : সেই সময় ইহুদীদের নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসছিল৷
4-John 6:5 : যীশু যখন দেখলেন বহু লোক তাঁর কাছে আসছে তখন তিনি ফিলিপকে বললেন, এই লোকেদের খেতে দেবার জন্য আমরা কোথায় রুটি কিনতে পাব?
4-John 6:6 : যীশু তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্যই একথা বললেন, কারণ যীশু কি করবেন তা তিনি আগেই জানতেন৷
4-John 6:7 : ফিলিপ যীশুকে বললেন, প্রত্যেকের হাতে এক টুকরো করে রুটি দিতে গেলে সারা মাসের রোজগারে রুটি কিনলেও তা যথেষ্ট হবে না৷
4-John 6:8 : যীশুর শিষ্যদের মধ্যে আর একজন, যার নাম আন্দরিয়, ইনি শিমোন পিতরের ভাই, তিনি যীশুকে বললেন,
4-John 6:9 : এখানে একটা ছোট ছেলে আছে, যার কাছে যবের পাঁচটা রুটি আর ছোট দুটো মাছ আছে, কিন্তু এত লোকের জন্য নিশ্চয়ই সেগুলি যথেষ্ট হবে না৷
4-John 6:10 : যীশু বললেন, লোকদের বসিয়ে দাও৷ সেই জায়গায় অনেক ঘাস ছিল৷ তখন সব লোকেরা বসে গেল৷ সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল৷
4-John 6:11 : এরপর যীশু সেই রুটি কখানা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং যাঁরা সেখানে বসেছিল তাদের সেগুলি ভাগ করে দিলেন৷ আর তিনি মাছও ভাগ করে দিলেন৷ য়ে যত চাইল তত পেল৷
4-John 6:12 : তারা পরিতৃপ্ত হলে, যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, য়ে সব টুকরো টাকরা পড়ে আছে তা জড়ো কর, য়েন কোন কিছু নষ্ট না হয়৷
4-John 6:13 : তখন তাঁরা সে সব জড়ো করলেন, লোকেরা খাবার পরে যবের সেই পাঁচ খানা রুটির টুকরো - টাকরা যা পড়ে ছিল শিষ্যেরা তা জড়ো করলে বারো টুকরী ভর্তি হয়ে গেল৷
4-John 6:14 : লোকেরা যীশুকে এই অলৌকিক চিহ্ন করতে দেখে বলতে লাগল, জগতে য়াঁর আগমনের কথা আছে ইনি নিশ্চয়ই সেই ভাববাদী৷
4-John 6:15 : এতে যীশু বুঝলেন লোকেরা তাঁকে রাজা করবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তাই তিনি তাদের ছেড়ে একাই সেই পাহাড়ে উঠে গেলেন৷
4-John 6:16 : সন্ধ্যা হলে যীশুর শিষ্যরা হ্রদের ধারে নেমে গেলেন৷
4-John 6:17 : তাঁরা একটা নৌকায় উঠে হ্রদের অপর পারে কফরনাহূমের দিকে য়েতে থাকলেন৷ তখন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, আর যীশু তখনও তাদের কাছে আসেন নি৷
4-John 6:18 : আর খুব জোরে ঝোড়ো বাতাস বইছিল, ফলে ্ব্রদে বড় বড় ঢেউ উঠছিল৷
4-John 6:19 : এরই মধ্যে তিন চার মাইল নৌকা বেয়ে যাবার পর যীশুর শিষ্যরা দেখলেন, যীশু জলের ওপর দিয়ে হেঁটে আসছেন৷ তিনি যখন নৌকার কাছাকাছি এলেন, তখন শিষ্যরা খুব ভয় পেয়ে গেলেন৷
4-John 6:20 : কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, এই য়ে আমি; ভয় পেও না৷
4-John 6:21 : তখন তাঁরা খুশী হয়ে যীশুকে নৌকাতে তুলে নিলেন৷ আর তাঁরা য়েখানে যাচ্ছিলেন নৌকা তখনই সেখানে পৌঁছে গেল৷
4-John 6:22 : হ্রদের অপর পারে য়ে জনতা ছিল, পরের দিন তারা বুঝতে পারল য়ে কেবলমাত্র একটা নৌকাই সেখানে ছিল আর যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে তাতে ওঠেন নি৷ তাঁর শিষ্যরা নিজেরাই চলে গিয়েছিলেন৷
4-John 6:23 : কিন্তু য়েখানে প্রভুকে ধন্যবাদ দেওযার পর লোকেরা রুটি খেয়েছিল, সেইখানে তখন তিবিরিযা থেকে কয়েকটা নৌকা এল৷
4-John 6:24 : কিন্তু যখন লোকেরা দেখল য়ে যীশু বা তাঁর শিষ্যরা কেউই সেখানে নেই, তখন তারা নৌকায় চড়ে যীশুর খোঁজে কফরনাহূমে চলে গেল৷
4-John 6:25 : তারা হ্রদের অপর পারে যীশুকে দেখতে পেয়ে বলল, গুরু, আপনি এখানে কখন এসেছেন?
4-John 6:26 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা অলৌকিক চিহ্ন দেখেছ বলে য়ে আমার খোঁজ করছ তা নয়; কিন্তু তোমরা ়রুটি খেয়ে তৃপ্ত হয়েছিলে বলেই আমার খোঁজ করছ৷
4-John 6:27 : খাদ্যের মতো নশ্বর বস্তুর জন্য কাজ কোরো না; কিন্তু য়ে খাদ্য প্রকৃতই স্থাযী ও যা অনন্ত জীবন দান করে, তার জন্য কাজ কর; যা মানবপুত্র তোমাদের দেবেন৷ কারণ পিতা ঈশ্বর তোমাদের দেখিয়েছেন য়ে তিনি মানবপুত্রের সঙ্গেই আছেন৷
4-John 6:28 : তারা তাঁকে বলল, ঈশ্বরের কাজ করার জন্য আমাদের কি করতে হবে?
4-John 6:29 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ঈশ্বর যাঁকে পাঠিয়েছেন তোমরা য়েন তাঁকে বিশ্বাস কর৷ এই হল ঈশ্বরের কাজ৷
4-John 6:30 : তারা তাঁকে বলল, আপনি কি এমন অলৌকিক কাজ করছেন, যা দেখে আমরা জানতে পারব য়ে আপনিই সেই ব্যক্তি যাঁকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন ও আপনার ওপর বিশ্বাস করব?
4-John 6:31 : আমাদের পিতৃপুরুষেরা মরুপ্রান্তরে মান্না খেয়েছিল৷ য়েমন শাস্ত্রে লেখা আছে: তিনি তাদের খাবার জন্য স্বর্গ থেকে রুটি দিলেন৷”
4-John 6:32 : তখন যীশু তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি; মোশি স্বর্গ থেকে সেই রুটি তোমাদের দেন নি, কিন্তু আমার পিতাই স্বর্গ থেকে সত্যিকারের রুটি তোমাদের দেন৷
4-John 6:33 : স্বর্গ থেকে নেমে এসে যিনি জগত সংসার জীবন দান করেন তিনিই ঈশ্বরের দেওযা ়রুটি৷
4-John 6:34 : তারা তাঁকে বলল, মহাশয়, সেই রুটি সব সময় আমাদের দিন৷
4-John 6:35 : যীশু তাদের বললেন, আমিই সেই রুটি যা জীবন দান করে৷ য়ে কেউ আমার কাছে আসে সে কখনও ক্ষুধার্ত হবে না, কখনও তার পিপাসা পাবে না৷
4-John 6:36 : কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা আমায় দেখেছ অথচ আমায় বিশ্বাস কর না৷
4-John 6:37 : পিতা আমাকে যাদের দেন, তারা প্রত্যেকেই আমার কাছে আসবে৷ আর যাঁরা আমার কাছে আসে, আমি তাদের কখনই ফিরিয়ে দেব না৷
4-John 6:38 : কারণ আমি আমার খুশী মত কাজ করতে স্বর্গ থেকে নেমে আসি নি, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ করতে এসেছি৷
4-John 6:39 : যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা এই য়ে যাদের তিনি আমায় দিয়েছেন তাদের একজনকেও য়েন আমি না হারাই; বরং শেষ দিনে য়েন তাদের সকলকে আমি উত্থিত করি৷
4-John 6:40 : আমার পিতা এই চান, য়ে কেউ তাঁর পুত্রকে দেখে ও তাতে বিশ্বাস করে, সে য়েন অনন্ত জীবন লাভ করে; আর আমিই তাকে শেষ দিনে ওঠাব৷
4-John 6:41 : তখন ইহুদীরা যীশুর সম্পর্কে গুঞ্জন শুরু করল, কারণ তিনি বলেছিলেন, আমিই সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে৷
4-John 6:42 : তারা বলল, তিনি কি য়োষেফের ছেলে নন? আমরা কি এর বাবা মাকে চিনি না? তাহলে এখন কেমন করে তিনি বলছেন, আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি?
4-John 6:43 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, নিজেদের মধ্যে ওসব বচসা বন্ধ কর৷
4-John 6:44 : যিনি আমায় পাঠিয়েছেন সেই পিতা না আনলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না; আর আমিই তাকে শেষ দিনে জীবিত করে তুলব৷
4-John 6:45 : ভাববাদীদের পুস্তকে লেখা আছে: তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা লাভ করবে৷য়ে কেউ পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে সেই আমার কাছে আসে৷
4-John 6:46 : আমি বলছি না য়ে, কেউ পিতাকে দেখেছেন৷ কেবলমাত্র যিনি পিতার কাছ থেকে এসেছেন তিনিই পিতাকে দেখেছেন৷
4-John 6:47 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি, য়ে কেউ বিশ্বাস করেছে সেই অনন্ত জীবন পেয়েছে৷
4-John 6:48 : আমিই সেই রুটি যা জীবন দেয়৷
4-John 6:49 : তোমাদের পিতৃপুরুষেরা মরুপ্রান্তরে মান্না খেয়েছিল, কিন্তু তবু তারা মারা গিয়েছিল৷
4-John 6:50 : এ সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে, আর কেউ যদি তা খায়, তবে সে মরবে না৷
4-John 6:51 : আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে৷ কেউ যদি এই রুটি খায় তবে সে চিরজীবি হবে৷ য়ে রুটি আমি দেব তা হল আমার দেহের মাংস৷ তা আমি দিই যাতে জগত জীবন পায়৷
4-John 6:52 : এই কথা শুনে ইহুদীদের মধ্যে তর্ক বেধে গেল৷ তারা বলতে লাগল, এই লোকটা কেমন করে তার দেহের মাংস আমাদের খেতে দিতে পারে?
4-John 6:53 : যীশু তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যিই বলছি; তোমরা যদি মানবপুত্রের মাংস না খাও ও তাঁর রক্ত পান না কর, তাহলে তোমাদের মধ্যে জীবন নেই৷
4-John 6:54 : য়ে কেউ আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে অনন্ত জীবন পায়, আর শেষ দিনে আমি তাকে ওঠাবো৷
4-John 6:55 : আমার মাংসই প্রকৃত খাদ্য় ও আমার রক্তই প্রকৃত পানীয়৷
4-John 6:56 : য়ে আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে আমার মধ্যে থাকে, আর আমিও তার মধ্যে থাকি৷
4-John 6:57 : য়েমন জীবন্ত পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন, আর পিতার জন্য আমি জীবিত আছি, ঠিক সেরকম য়ে আমাকে খায় সে আমার দরুন জীবিত থাকবে৷
4-John 6:58 : এ সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিল৷ এটা তেমন রুটি নয় যা তোমাদের পিতৃপুরুষেরা খেয়েছিল এবং তা সত্ত্বেও পরে তারা সকলে মারা গিয়েছিল৷ এই রুটি য়ে খায় সে চিরজীবি হবে৷
4-John 6:59 : কফরনাহূমের সমাজ - গৃহে শিক্ষা দেবার সময় যীশু এই সব কথা বললেন৷
4-John 6:60 : যীশুর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে তাঁর এই কথা শুনে বলল, এ বড়ই কঠিন কথা; কে এ গ্রহণ করতে পারে?
4-John 6:61 : যীশু অন্তরে টের পেলেন য়ে তাঁর শিষ্যরা এই বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে৷ তাই তিনি তাদের বললেন, এই শিক্ষায় কি তোমরা ধাক্কা পেয়েছ?
4-John 6:62 : তবে মানবপুত্র আগে য়েখানে ছিলেন উর্দ্ধে সেখানে তাঁকে ফিরে য়েতে দেখলে তোমরা কি বলবে?
4-John 6:63 : আত্মাই জীবন দান করে, রক্ত মাংসের শরীর কোন উপকারে আসে না৷ আমি তোমাদের সকলকে য়ে সব কথা বলেছি তা হল আধ্যাত্মিক আর তাই জীবন দান করে৷
4-John 6:64 : কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যাঁরা বিশ্বাস করে না৷ কারণ যীশু শুরু থেকেই জানতেন কে কে তাঁকে বিশ্বাস করে না, আর কেই বা তাঁকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে৷
4-John 6:65 : তাই তিনি বললেন, এজন্য আমি তোমাদের বলেছি, পিতা ইচ্ছা না করলে কেউই আমার কাছে আসতে পারে না৷”
4-John 6:66 : এই কারণেই তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে পিছিয়ে গেল, তাঁর সঙ্গে চলাফেরা বন্ধ করে দিল৷
4-John 6:67 : তখন যীশু সেই বারোজন প্রেরিতকে বললেন, তোমরাও কি চলে য়েতে চাইছ?
4-John 6:68 : শিমোন পিতর বললেন, প্রভু, আমরা কার কাছে যাব? আপনার কাছে সেই বাণী আছে যা অনন্ত জীবন দান করে৷
4-John 6:69 : আমরা বিশ্বাস করি ও জানি য়ে আপনিই সেই পবিত্র একজন, যিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন৷
4-John 6:70 : এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, আমি কি তোমাদের বারোজনকে মনোনীত করি নি? তবু তোমাদের মধ্যে একজন দিযাবল আছে৷
4-John 6:71 : তিনি শিমোন ঈষ্করিযোতের ছেলে যিহূদার বিষয়ে বলছিলেন, কারণ যিহূদা সেই বারো জনের মধ্যে একজন হলেও পরে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে৷
4-John 7:1 : এরপর যীশু গালীলের চারদিকে ভ্রমণ করছিলেন৷ তিনি যিহূদিযায় ভ্রমণ করতে চাইলেন না, কারণ ইহুদীরা তাঁকে খুন করবার সুয়োগ খুঁজছিল৷
4-John 7:2 : এই সময় ইহুদীদের কুটিরবাস পর্বএগিয়ে আসছিল৷
4-John 7:3 : তখন তাঁর ভাইরা তাঁকে বলল, তুমি এই জায়গা ছেড়ে যিহূদিযাতে ঐ উত্‌সবে যাও; যাতে তুমি য়ে সব অলৌকিক কাজ করছ তা তোমার শিষ্যরাও দেখতে পায়৷
4-John 7:4 : কারণ কেউ যদি প্রকাশ্যে নিজেকে তুলে ধরতে চায় তবে সে নিশ্চয়ই তার কাজ গোপন করবে না৷ তুমি যখন এত সব মহত্ কাজ করছ তখন নিজেকে জগতের কাছে প্রকাশ কর৷ য়েন সবাই তা দেখতে পায়৷
4-John 7:5 : তাঁর ভাইরাও তাঁর ওপর বিশ্বাস করত না৷
4-John 7:6 : যীশু তাঁর ভাইদের বললেন, আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি; কিন্তু তোমাদের যাওযার জন্য য়ে কোন সময় সঠিক; এখনই তোমরা য়েতে পার৷
4-John 7:7 : জগত সংসার তোমাদের ঘৃণা করতে পারে না, কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে৷ কারণ পৃথিবীর লোকেরা, যাঁরা মন্দ কাজ করে, সেই সব লোকেদের বিরুদ্ধে আমি সাক্ষ্য দিই৷
4-John 7:8 : তোমরা পর্বে যাও, আমি এখন এই উত্‌সবে যাচ্ছি না, কারণ আমার নিরূপিত সময় এখনও আসে নি৷
4-John 7:9 : এই কথা বলার পর তিনি গালীলেই রয়ে গেলেন৷
4-John 7:10 : তাঁর ভাইরা উত্‌সবে চলে গেল, পরে তিনিও সেখানে গেলেন; কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে সেই পর্বে না গিয়ে গোপনে সেখানে গেলেন৷
4-John 7:11 : ইহুদী নেতারা উত্‌সবে এসে তাঁর খোঁজ করতে লাগল৷ তারা বলাবলি করতে লাগল, সেই লোকটা গেল কোথায়?
4-John 7:12 : আর জনতার মধ্যে তাঁকে নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়াতে লাগল৷ কেউ কেউ বলল, আরে তিনি খুব ভালো লোক৷ কিন্তু আবার অন্যরা বলল, না, না, ও লোকদের ঠকাচ্ছে৷
4-John 7:13 : কিন্তু ইহুদী নেতাদের ভয়ে তাঁর বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাইল না৷
4-John 7:14 : পর্বের আধা - আধি সময়ে যীশু মন্দিরে গিয়ে লোকদের মাঝে শিক্ষা দিতে লাগলেন৷
4-John 7:15 : ইহুদীরা এতে খুব আশ্চর্য হয়ে বলল, এই লোক কোন কিছু অধ্যয়ন না করেই কি ভাবে এত সব জ্ঞান লাভ করল?
4-John 7:16 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, আমি যা শিক্ষা দিই তা আমার নিজস্ব নয়৷ যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এসব সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওযা৷
4-John 7:17 : যদি কেউ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চায় তাহলে সে জানবে আমি যা শিক্ষা দিই তা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, না আমি নিজের থেকে এসব কথা বলছি৷
4-John 7:18 : যদি কেউ নিজের ভাবনার কথা নিজে বলে, তাহলে সে নিজেই নিজেকে সম্মানিত করতে চায়; কিন্তু য়ে তার প্রেরণ কর্তার গৌরব চায়, সেই লোক সত্যবাদী, তার মধ্যে কোন অসাধুতা নেই৷
4-John 7:19 : মোশি কি তোমাদের কাছে বিধি - ব্যবস্থা দেন নি? কিন্তু তোমরা কেউই সেই বিধি - ব্যবস্থা পালন কর না৷ তোমরা কেন আমাকে হত্যা করতে চাইছ?
4-John 7:20 : জনতা উত্তর দিল, তোমাকে ভূতে পেয়েছে, কে তোমাকে হত্যা করতে চাইছে?
4-John 7:21 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, আমি একটা অলৌকিক কাজ করেছি, আর তোমরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেছ৷
4-John 7:22 : মোশিও তোমাদের সুন্নতের বিধি - ব্যবস্থা দিয়েছিলেন৷ যদিও মুলতঃ সেই বিধি - ব্যবস্থা মোশির নয় কিন্তু এই বিধি - ব্যবস্থা প্রাচীন পিতৃপুরুষদের কাছ থেকে এসেছে৷ আর তোমরা এমনকি বিশ্রামবারেও শিশুদের সুন্নত করে থাকো৷
4-John 7:23 : মোশির বিধি - ব্যবস্থা য়েন লঙঘন করা না হয়, এই যুক্তিতে বিশ্রামবারেও যদি কোন মানুষের সুন্নত করা চলে, তাহলে আমি বিশ্রামবারে একটা মানুষকে সম্পূর্ণ সুস্থ করেছি বলে তোমরা আমার ওপর এত ক্রুদ্ধ হয়েছ কেন?
4-John 7:24 : বাহ্যিকভাবে কোন কিছু দেখেই তার বিচার করো না৷ যা সঠিক সেই হিসাবেই ন্যায় বিচার কর৷
4-John 7:25 : তখন জেরুশালেমের লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, এই লোককেই না ইহুদী নেতারা হত্যা করতে চাইছে?
4-John 7:26 : কিন্তু দেখ! এ তো প্রকাশ্যেই শিক্ষা দিচ্ছে; কিন্তু তারা তো এঁকে কিছুই বলছে না৷ এটা কি হতে পারে য়ে নেতারা সত্যিই জানে য়ে, ইনি সেই খ্রীষ্ট?
4-John 7:27 : আমরা জানি ইনি কোথা থেকে এসেছেন; কিন্তু মশীহ যখন আসবেন তখন কেউ জানবে না তিনি কোথা থেকে এসেছেন৷
4-John 7:28 : তখন যীশু মন্দিরে শিক্ষা দিতে দিতে বেশ চেঁচিয়ে বললেন, তোমরা আমায় জান, আর আমি কোথা থেকে এসেছি তাও তোমরা জান৷ তবু বলছি, আমি নিজের থেকে আসি নি, তবে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য; আর তোমরা তাঁকে জান না৷
4-John 7:29 : কিন্তু আমি তাঁকে জানি, কারণ তিনি আমায় পাঠিয়েছেন৷ আমি তাঁরই কাছ থেকে এসেছি৷
4-John 7:30 : তখন তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করতে লাগল৷ তবু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না, কারণ তখনও তাঁর সময় আসে নি৷
4-John 7:31 : কিন্তু সেই জনতার মধ্যে থেকে অনেকেই তাঁর ওপর বিশ্বাস করল; আর বলল, মশীহ এসে কি তাঁর চেয়েও বেশী অলৌকিক চিহ্ন করবেন?
4-John 7:32 : ফরীশীরা শুনল য়ে সাধারণ লোক যীশুর বিষয়ে চুপি চুপি এই সব আলোচনা করছে৷ তখন প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা যীশুকে ধরে আনবার জন্য মন্দিরের কয়েকজন পদাতিককে পাঠাল৷
4-John 7:33 : তখন যীশু বললেন, আমি আর অল্প কিছুকাল তোমাদের সঙ্গে আছি; তারপর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর কাছে ফিরে যাব৷
4-John 7:34 : তোমরা আমার খোঁজ করবে, কিন্তু আমার খোঁজ পাবে না, কারণ আমি য়েখানে থাকব তোমরা সেখানে আসতে পারো না৷
4-John 7:35 : ইহুদী নেতারা তখন পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, সে এখন কোথায় যাবে য়ে আমরা ওকে খুঁজলেও পাব না? গ্রীকদের শহরে য়ে সব ইহুদীরা বসবাস করছে, ও কি তাদের কাছে যাবে আর সেখানে গিয়ে গ্রীকদেব কাছে শিক্ষা দেবে? নিশ্চয়ই নয়৷
4-John 7:36 : ও য়ে কথা বলল তার মানে কি য়ে, তোমরা আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমায় পাবে না৷ আর আমি য়েখানে যাব, তোমরা সেখানে আসতে পার না?
4-John 7:37 : পর্বের শেষ দিন, য়ে দিনটি বিশেষ দিন, সেই দিন যীশু উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বললেন, কারোর যদি পিপাসা পেয়ে থাকে তবে সে আমার কাছে এসে পান করুক৷
4-John 7:38 : শাস্ত্রে এ কথা বলে, য়ে আমার ওপর বিশ্বাস করে তার অন্তর থেকে জীবন্ত জলের নদী বইবে৷
4-John 7:39 : যীশু পবিত্র আত্মা সম্পর্কে এই কথা বললেন, সেই পবিত্র আত্মা তখনও দেওযা হয় নি, কারণ যীশু তখনও মহিমান্বিত হন নি; কিন্তু পরে যাঁরা যীশুকে বিশ্বাস করে তারা সেই আত্মা পাবে৷
4-John 7:40 : সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী৷
4-John 7:41 : অন্যরা বলল, ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)৷এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না৷
4-John 7:42 : শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই য়ে খ্রীষ্টকে দাযূদের বংশধর হতে হবে; আর দাযূদ য়ে বৈত্‌লেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?
4-John 7:43 : তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল৷
4-John 7:44 : কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না৷
4-John 7:45 : তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল৷ তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?
4-John 7:46 : পদাতিকরা বলল, উনি য়ে সব কথা বলছিলেন কোন মানুষ কখনও সেই ধরণের কথা বলেনি!
4-John 7:47 : তখন ফরীশীরা বললেন, তাহলে তোমরাও কি ঠকে গেলে?
4-John 7:48 : ফরীশী বা নেতাদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিলেন যিনি তাঁর ওপর বিশ্বাস করেছেন?
4-John 7:49 : কিন্তু এইসব লোকেরা বিধি - ব্যবস্থার কিছুই জানে না৷ তারা অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের কৃপা থেকে বঞ্চিত৷
4-John 7:50 : তখন এই নেতাদের একজন, নীকদীম তাঁদের বললেন, এই নীকদীম ফরীশীদেরই মধ্যে একজন, ইনি আগে একবার যীশুর কাছে গিয়েছিলেন৷
4-John 7:51 : কোন ব্যক্তির কথা না শুনে আমরা আমাদের বিধি - ব্যবস্থায় তার বিচার করতে পারি না৷ সে কি করেছে তা না জেনে আমরা তার বিচার করতে পারি না৷
4-John 7:52 : এর উত্তরে তারা তাকে বলল, তুমি নিশ্চয়ই গালীলী থেকে আসো নি৷ তাই না? শাস্ত্র পড়ে দেখো তাহলে জানবে য়ে গালীলী থেকে কোন ভাববাদীর আবির্ভাব হয় নি৷
4-John 7:53 : এরপর ইহুদী নেতারা সেখান থেকে য়ে যার বাড়ি চলে গেলেন৷
4-John 8:1 : এরপর যীশু সেখান থেকে জৈতুন পর্বতমালায় চলে গেলেন৷
4-John 8:2 : খুব ভোরে তিনি আবার মন্দিরে ফিরে গেলে লোকেরা আবার তাঁর কাছে এসে জড়ো হল, তখন তিনি সেখানে বসে তাদের কাছে শিক্ষা দিতে শুরু করলেন৷
4-John 8:3 : সেই সময় ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও ফরীশীরা, ব্যভিচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এমন একজন স্ত্রীলোককে তাঁর কাছে নিয়ে এল৷ তারা সেই স্ত্রীলোককে তাদের মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যীশুকে বলল,
4-John 8:4 : গুরু, এই স্ত্রীলোকটি ব্যভিচার করার সময় হাতে নাতেই ধরা পড়েছে৷
4-John 8:5 : বিধি - ব্যবস্থার মধ্যে মোশি আমাদের বলছেন, এই ধরণের স্ত্রীলোককে য়েন আমরা পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলি৷ এখন আপনি এবিষয়ে কি বলবেন?
4-John 8:6 : তাঁকে পরীক্ষা করার ছলেই তারা একথা বলছিল, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তারা খুঁজে পায়৷ কিন্তু যীশু হেঁট হয়ে মাটিতে আঙ্গুল দিয়ে লিখতে লাগলেন৷
4-John 8:7 : ইহুদী নেতারা যখন বার বার তাঁকে জিজ্ঞেস করতে লাগল, তখন তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে য়ে নিস্পাপ সেই প্রথম একে পাথর মারুক৷
4-John 8:8 : এরপর তিনি আবার হেঁট হয়ে আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে লিখতে লাগলেন৷
4-John 8:9 : তারা ঐ কথা শোনার পর বুড়ো লোক থেকে শুরু করে সকলে এক এক করে সেখান থেকে চলে গেল৷ কেবল যীশু সেখানে একা থাকলেন আর সেই স্ত্রীলোকটি মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল৷
4-John 8:10 : তখন যীশু মাথা তুলে সেই স্ত্রীলোকটিকে বললেন, হে নারী, তারা সব কোথায়? কেউ কি তোমায় দোষী সাব্যস্ত করল না?
4-John 8:11 : স্ত্রীলোকটি উত্তর দিল, কেউ করে নি, মহাশয়৷ তখন যীশু বললেন, আমিও তোমায় দোষী করছি না, যাও এখন থেকে আর পাপ কোরো না৷
4-John 8:12 : এরপর যীশু আবার লোকদের সাথে কথা বলতে শুরু করলেন এবং বললেন, আমিই জগতের আলো৷ য়ে কেউ আমার অনুসারী হয় সে কখনও অন্ধকারে থাকবে না; কিন্তু সেই আলো পাবে যা জীবন দেয়৷
4-John 8:13 : তখন ফরীশীরা তাঁকে বলল, তুমি নিজেই নিজের বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছ৷ তোমার সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে না৷
4-John 8:14 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, আমি যদি নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দিই, তবু আমার সাক্ষ্য সত্য, কারণ আমি জানি আমি কোথা থেকে এসেছি, আর কোথায় বা যাচ্ছি; কিন্তু আমি কোথা থেকে এসেছি বা কোথায় যাচ্ছি তা তোমরা জানো না৷
4-John 8:15 : মানুষের বিচারবোধের মাপকাঠিতে তোমরা আমার বিচার করছ৷ আমি কারো বিচার করি না৷
4-John 8:16 : কিন্তু আমি যদি বিচার করি, তবে আমার বিচার সত্য, কারণ আমি একা নই৷ পিতা, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি আমার সঙ্গেই আছেন৷
4-John 8:17 : তোমাদের নিয়মে লেখা আছে, যখন দুই ব্যক্তি একই সাক্ষ্য দেয় তখন তা সত্যি৷
4-John 8:18 : আমি নিজেই নিজের বিষয়ে সাক্ষ্য দিই৷ আর পিতা, যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনিও আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেন৷
4-John 8:19 : তখন তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, তোমার পিতা কোথায়?যীশু বললেন, তোমরা না জানো আমাকে, না জানো আমার পিতাকে৷ তোমরা যদি আমাকে জানতে, তবে আমার পিতাকেও জানতে৷
4-John 8:20 : মন্দিরের দানের বাক্সের কাছে দাঁড়িয়ে শিক্ষা দেবার সময় যীশু এইসব কথা বললেন৷ কিন্তু কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করল না, কারণ তখনও তাঁর নিরূপিত সময় আসে নি৷
4-John 8:21 : তিনি তাদের আর একবার বললেন, আমি যাচ্ছি, আর তোমরা আমার খোঁজ করবে; কিন্তু তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে৷ আমি য়েখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না৷
4-John 8:22 : তখন ইহুদীরা বলছিল, তিনি কি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন? কেন তিনি বললেন, আমি য়েখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে আসতে পারবে না?”
4-John 8:23 : যীশু তাদের বললেন, তোমরা এই নিম্নলোকের আর আমি উর্দ্ধলোকের৷ তোমরা এজগতের, আমি এ জগতের নই৷
4-John 8:24 : তাই আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তোমাদের পাপেই মরবে৷ তোমরা যদি বিশ্বাস না কর য়ে আমিই তিনি, তবে তোমরা তোমাদের পাপের জন্যই মরবে৷
4-John 8:25 : তখন তারা জিজ্ঞেস করল, তুমি কে?যীশু তাদের বললেন, আমি যা, তা তো শুরু থেকেই তোমাদের বলে আসছি৷
4-John 8:26 : তোমাদের বিষয়ে বলার ও বিচার করার অনেক কিছুই আমার আছে৷ যা হোক যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তিনি সত্য৷ আর আমি তাঁর কাছ থেকে যা কিছু শুনি, পৃথিবীর মানুষের কাছে তাই বলি৷
4-John 8:27 : তারা বুঝতে পারে নি য়ে, তিনি তাদের কাছে পিতার বিষয়ে বলছেন৷
4-John 8:28 : তখন যীশু তাদের বললেন, যখন তোমরা মানবপুত্রকে উঁচুতে তুলবে, তখন জানবে য়ে আমিই তিনি এবং আমি নিজের থেকে কিছুই করি না৷ পিতা য়েমন আমায় শিখিয়েছেন, আমি সেরকমই বলছি৷
4-John 8:29 : আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তিনি আমার সঙ্গে আছেন৷ তিনি আমাকে একা ফেলে রাখেন নি, কারণ আমি সব সময় সন্তোষজনক কাজই করি৷
4-John 8:30 : যীশু যখন এইসব কথা বললেন তখন অনেকেরই তাঁর ওপর বিশ্বাস হল৷
4-John 8:31 : ইহুদীদের মধ্যে যাঁরা তাঁর ওপর বিশ্বাস করল, তাদের উদ্দেশ্যে যীশু বললেন, তোমরা যদি সকলে আমার শিক্ষা মান্য করে চল তবে তোমরা সকলেই আমার প্রকৃত শিষ্য৷
4-John 8:32 : তোমরা সত্যকে জানবে, আর সেই সত্য তোমাদের স্বাধীন করবে৷
4-John 8:33 : তারা তাঁকে বলল, আমরা অব্রাহামের বংশধর৷ আর আমরা কখনও কারোর দাসে পরিণত হই নি৷ আপনি কিভাবে বলছেন য়ে আমাদের স্বাধীন করা হবে?
4-John 8:34 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি - য়ে ক্রমাগত পাপ করে চলে, সে পাপের দাস৷
4-John 8:35 : কোন দাস পরিবারের স্থাযী সদস্য হয়ে থাকতে পারে না; কিন্তু পুত্র পরিবারে চিরকাল থাকে৷
4-John 8:36 : তাই পুত্র যদি তোমাদের স্বাধীন করে, তবে তোমরা প্রকৃতই স্বাধীন হবে৷
4-John 8:37 : আমি জানি তোমরা অব্রাহামের বংশধর; কিন্তু তোমরা আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করছ, কারণ তোমরা আমার শিক্ষাগ্রহণ করো না৷
4-John 8:38 : আমি আমার পিতার কাছে যা দেখেছি সেই বিষয়েই বলে থাকি, আর তোমরা তোমাদের পিতার কাছ থেকে যা যা শুনেছ তাই তো করে থাক৷
4-John 8:39 : এর জবাবে তারা তাঁকে বলল, আমাদের পিতা অব্রাহাম৷যীশু তাদের বললেন, তোমরা যদি অব্রাহামের সন্তান হতে, তাহলে অব্রাহাম যা করেছেন তোমরাও তাই করতে;
4-John 8:40 : কিন্তু এখন তোমরা আমায় হত্যা করতে চাইছ৷ আমি সেই লোক য়ে ঈশ্বরের কাছ থেকে সত্য শুনেছি এবং তোমাদের তা বলেছি৷ অব্রাহাম তো এরকম কাজ করেন নি৷
4-John 8:41 : তোমাদের পিতা য়ে কাজ করে, তোমরা তাই করো৷তখন তারা তাঁকে বলল, আমরা জারজ সন্তান নই৷ ঈশ্বর হচ্ছেন আমাদের একমাত্র পিতা৷
4-John 8:42 : যীশু তাদের বললেন, ঈশ্বর যদি তোমাদের পিতা হতেন, তাহলে তোমরা আমায় ভালবাসতে, কারণ আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি আর এখন তোমাদের মাঝে এখানে আছি৷ আমি নিজে থেকে আসিনি, ঈশ্বর আমায় পাঠিয়েছেন৷
4-John 8:43 : আমি যা বলি, তোমরা তা বুঝতে পারো না? কারণ তোমরা আমার কথা গ্রহণ করো না৷
4-John 8:44 : দিযাবল তোমাদের পিতা এবং তোমরা তার পুত্র৷ তোমরা তোমাদের পিতার ইচ্ছাই পূর্ণ করতে চাও৷ দিযাবল শুরু থেকেই খুনী; আর সত্যের পক্ষে সে কখনও দাঁড়ায় নি, কারণ তার মধ্যে তো সত্যের লেশমাত্র নেই৷ সে যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার মধ্য থেকে তা বের হয়, কারণ সে মিথ্যাবাদী ও মিথ্যার পিতা৷
4-John 8:45 : আমি সত্য বলি বলে তোমরা আমায় বিশ্বাস করো না৷
4-John 8:46 : তোমাদের মধ্যে কে আমাকে পাপী বলে দোষী করতে পারে? আমি যখন সত্য বলছি তখন তোমরা কেন বিশ্বাস করছ না?
4-John 8:47 : য়ে ঈশ্বরের লোক, সে ঈশ্বরের কথা শোনে৷ আর এই কারণেই তোমরা শুনতে চাও না, কারণ তোমরা ঈশ্বরের নও৷
4-John 8:48 : এর উত্তরে ইহুদীরা বলল, আমরা কি ঠিক বলিনি য়ে তুমি একজন শমরীয়, আর তোমার মধ্যে এক ভূত রয়েছে?
4-John 8:49 : যীশু জবাব দিলেন, দেখ, আমায় ভূতে গ্রাস করে নি, বরং আমি আমার পিতাকে সম্মান করি৷ কিন্তু তোমরা আমার অসম্মান করেছ৷
4-John 8:50 : আমি নিজের জন্য সম্মান চাইছি না৷ একজন আছেন যিনি আমার জন্য সম্মান চান, তিনিই বিচার করেন৷
4-John 8:51 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি আমার শিক্ষা অনুসারে চলে, সে কখনও মরবে না৷
4-John 8:52 : ইহুদীরা তাঁকে বলল, এখন আমরা বুঝেছি য়ে তোমায় ভূতে গ্রাস করেছে৷ অব্রাহাম ও ভাববাদীরা মারা গেছে আর তুমি বলছ, যদি কেউ আমার শিক্ষা অনুসারে চলে, তবে সে মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না৷
4-John 8:53 : তুমি কি মনে কর য়ে তুমি আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহামের চেয়ে মহান? অব্রাহাম মারা গেছেন, আর ভাববাদীরাও মারা গেছেন৷ তুমি নিজেকে কি মনে করছ?
4-John 8:54 : এর উত্তরে যীশু বললেন, আমি যদি নিজেকে সম্মানিত করি তবে সেই সম্মানের কোন মূল্য নেই৷ যিনি আমায় সম্মানিত করেন তিনি আমাদের পিতা, য়াঁর সম্পর্কে তোমরা বল, তিনি আমাদের ঈশ্বর৷
4-John 8:55 : আর তোমরা তাঁকে জানো না, কিন্তু আমি তাঁকে জানি৷ আমি যদি বলি য়ে আমি তাঁকে জানি না, তাহলে আমি তোমাদেরই মতো মিথ্যাবাদী হয়ে যাবো৷ কিন্তু আমি তাঁকে অবশ্যই জানি, আর তিনি যা কিছু বলেন আমি সে সকল পালন করি৷
4-John 8:56 : তোমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম আমার আগমনের দিন দেখতে পাবেন বলে খুশী হয়েছিলেন৷ তিনি সেই দিন দেখে খুশী হয়েছিলেন৷
4-John 8:57 : তখন ইহুদীরা তাঁকে বলল, তোমার বয়স এখনও পঞ্চাশ বছর হয়নি আর তুমি বলছ য়ে তুমি অব্রাহামকে দেখেছ!
4-John 8:58 : যীশু তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি৷ অব্রাহামের জন্মের আগে থেকেই আমি আছি৷
4-John 8:59 : তখন তারা তাঁকে পাথর ছুঁড়ে মারবার জন্য পাথর তুলে নিল; কিন্তু যীশু নিজেকে লুকিয়ে ফেললেন ও মন্দির চত্বর ছেড়ে চলে গেলেন৷
4-John 9:1 : যীশু পথে হাঁটছিলেন, সেই সময় তিনি একজন লোককে দেখতে পেলেন য়ে জন্ম থেকেই অন্ধ৷
4-John 9:2 : যীশুর অনুগামীরা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, গুরু, কার পাপে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে? এর পাপে অথবা এর বাবা - মার পাপে?
4-John 9:3 : যীশু বললেন, এই লোকটির বা এর বাবা - মার পাপের জন্য য়ে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে তা নয়, বরং এই ব্যক্তি অন্ধ হয়ে জন্মেছে যাতে আমি যখন তাকে সুস্থ করি, তখন লোকে ঈশ্বরের শক্তির প্রকাশ দেখতে পায়৷
4-John 9:4 : যতক্ষণ দিন আছে ততক্ষণ যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর কাজ আমাদের করে য়েতে হবে৷ যখন রাত আসবে তখন আর কেউ কাজ করতে পারবে না৷
4-John 9:5 : আমি যতক্ষণ এই জগতে আছি, আমিই এই জগতের আলো৷
4-John 9:6 : এই কথা বলার পর তিনি মাটিতে থুতু ফেললেন৷ আর মুখের সেই লালা দিয়ে মণ্ড তৈরী করে, তা অন্ধ লোকটির চোখে লাগিয়ে দিলেন৷
4-John 9:7 : এরপর যীশু সেই অন্ধ লোকটিকে বললেন, শীলোহ সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেল৷ (শীলোহ অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ প্রেরিত৷) তখন সে গিয়ে ধুয়ে ফেলল আর দৃষ্টিশক্তি লাভ করে ফিরে এল৷
4-John 9:8 : তখন সেই লোকটির প্রতিবেশীরা ও যাঁরা তাকে ভিক্ষা করতে দেখত তারা বলল, এ কি সেই লোক নয় য়ে বসে বসে ভিক্ষা করত?
4-John 9:9 : কেউ কেউ বলল, হ্যাঁ, সেই তো৷ আবার অন্যরা বলল, না, এই লোকটা তারই মতো দেখতে৷ কিন্তু সে বলল, আমি সেই একই লোক৷
4-John 9:10 : তখন তারা তাকে বলল, তুমি কি করে দৃষ্টিশক্তি লাভ করলে?
4-John 9:11 : সে এর উত্তরে বলল, যীশু নামের লোকটি মণ্ড তৈরী করে, আমার চোখে তা লাগিয়ে দিলেন, আর বললেন, শীলোহ সরোবরে যাও ও তোমার চোখ ধুয়ে ফেল৷ তখন আমি গেলাম ও ধুয়ে ফেললাম আর তখনই দৃষ্টিশক্তি লাভ করলাম৷”
4-John 9:12 : তারা তাকে বলল, সেই যীশু কোথায়?সে বলল, আমি জানি না৷
4-John 9:13 : য়ে লোকটি আগে অন্ধ ছিল তাকে তারা ফরীশীদের কাছে নিয়ে গেল৷
4-John 9:14 : য়ে দিন যীশু মণ্ড তৈরী করে ঐ লোকটির চোখে লাগিয়ে তাকে দৃষ্টিশক্তি দান করেন, সে দিনটি ছিল বিশ্রামবার৷
4-John 9:15 : তাই ফরীশীরা আবার তাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কিভাবে তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলে?লোকটি উত্তর দিল, তিনি মণ্ড তৈরী করে আমার চোখে লাগিয়ে দিলেন, আমি চোখ ধুয়ে ফেলবার পর দেখতে পেলাম৷
4-John 9:16 : ফরীশীদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, এই লোক ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে নি, কারণ এ বিশ্রামবারের নিয়ম মানে না৷আবার অন্যরা বলল, একজন পাপী কিভাবে এই সব অলৌকিক কাজ করতে পারে? তাই এই নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল৷
4-John 9:17 : এরপর ইহুদী নেতারা অন্ধ লোকটিকে আবার জিজ্ঞেস করল, য়ে লোকটি তোমার দৃষ্টিশক্তি দিয়েছে, তার বিষয়ে তুমি কি বল?লোকটি বলল, তিনি একজন ভাববাদী৷
4-John 9:18 : লোকটির বাবা - মাকে না ডাকা পর্যন্ত ইহুদীরা বিশ্বাস করতে চাইল না য়ে, সে অন্ধ ছিল আর এখন দৃষ্টিশক্তি লাভ করেছে৷
4-John 9:19 : তারা তার বাবা - মাকে জিজ্ঞেস করল, এই কি তোমাদের সেই ছেলে যার বিষয়ে তোমরা বলে থাক য়ে, সে অন্ধ হয়ে জন্মেছে? তাহলে এ কিভাবে এখন দেখতে পাচ্ছে?
4-John 9:20 : এর উত্তরে তার বাবা - মা বলল, আমরা জানি এ আমাদের ছেলে, আর এ অন্ধই জন্মেছিল৷
4-John 9:21 : কিন্তু এখন কিভাবে দেখতে পাচ্ছে আমরা জানি না, আর এও জানি না য়ে কে একে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন৷ একেই জিজ্ঞেস করুন! এর যথেষ্ট বয়স হয়েছে, নিজের বিষয় নিজে ভালোই বলতে পারবে৷
4-John 9:22 : ইহুদী নেতাদের ভয়ে, তার বাবা - মা এই কথা বলল৷ কারণ ইহুদী নেতারা আগেই স্থির করেছিল য়ে কেউ যদি যীশুকে মশীহ বলে স্বীকার করে, তবে সে প্রার্থনা সভা থেকে বিতাড়িত হবে৷
4-John 9:23 : এ জন্যই তার বাবা - মা বলেছিল, এর যথেষ্ট বয়স হয়েছে, আপনারা একেই জিজ্ঞেস করুন৷
4-John 9:24 : তাই য়ে অন্ধ ছিল, ইহুদী নেতারা তাকে দ্বিতীয় বার ডেকে বলল, ঈশ্বরকে মহিমা প্রদান কর৷ সত্য বল আমরা জানি ঐ লোকটা পাপী৷
4-John 9:25 : তখন য়ে অন্ধ ছিল সে বলল, তিনি পাপী কি না তা আমি জানি না৷ আমি কেবল একটা বিষয় জানি, য়ে আমি অন্ধ ছিলাম, কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি৷
4-John 9:26 : তখন ইহুদী নেতারা তাকে বলল, সে তোমাকে কি করেছিল? সে কিভাবে তোমাকে দৃষ্টিশক্তি দিল?
4-John 9:27 : সে তাদের বলল, আমি আগেই তোমাদের বলেছি, কিন্তু তোমরা আমার কথা শোন নি৷ তবে আবার কেন শুনতে চাইছ? তোমরাও কি তাঁর শিষ্য হতে চাও?
4-John 9:28 : তখন তারা তাকে তাচ্ছিল্য় করে বলল, তুই তার শিষ্য, কিন্তু আমরা মোশির শিষ্য৷
4-John 9:29 : আমরা জানি ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু এই লোকটা কোথা থেকে এসেছে তা আমরা জানি না৷
4-John 9:30 : এর জবাবে লোকটি তাদের বলল, কি আশ্চর্যের বিষয় য়ে, তিনি কোথা থেকে এসেছেন তা আপনারা জানেন না অথচ তিনি আমায় দৃষ্টিশক্তি দান করলেন৷
4-John 9:31 : আমরা জানি য়ে ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না৷ কিন্তু ঈশ্বর তাঁর কথা শোনেন, য়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে এবং ঈশ্বর যা চান তাই করে৷
4-John 9:32 : একজন জন্মান্ধকে কেউ য়ে দৃষ্টিশক্তি দান করেছে, একথা কেউ কোন দিন শোনে নি৷
4-John 9:33 : ঐ মানুষটি যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে না আসতেন তবে তিনি কিছুই করতে পারতেন না৷
4-John 9:34 : এর উত্তরে তারা তাকে বলল, তুই তো পাপেই জন্মেছিস! আর তুই কিনা আমাদের শিক্ষা দিতে চাইছিস? তারপর তারা তাকে তাড়িয়ে দিল৷
4-John 9:35 : যীশু শুনতে পেলেন য়ে ইহুদী নেতারা তাকে সমাজ - গৃহ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে৷ তখন যীশু তার দেখা পেয়ে তাকে বললেন, তুমি কি মানবপুত্রের ওপর বিশ্বাস কর?
4-John 9:36 : সে উত্তর দিল, মহাশয়, তিনি কে? আমায় বলুন, আমি য়েন তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি৷
4-John 9:37 : যীশু তাকে বললেন, তুমি তাঁকে দেখেছ আর তিনিই এখন তোমার সঙ্গে কথা বলছেন৷
4-John 9:38 : তখন সে বলল, প্রভু, আমি বিশ্বাস করছি৷ এবং সে তাঁর সামনে নতজানু হয়ে উপাসনা করল৷
4-John 9:39 : যীশু বললেন, বিচার করতে আমি এ জগতে এসেছি৷ আমি এসেছি যাতে যাঁরা দেখতে পায় না তারা দেখতে পায়, আর যাঁরা দেখতে পায় তারা য়েন অন্ধে পরিণত হয়৷
4-John 9:40 : ফরীশীদের মধ্যে কয়েকজন যাঁরা যীশুর সঙ্গে ছিল, তারা একথা শুনে তাঁকে বলল, নিশ্চয়ই আপনি বলতে চান নি য়ে আমরাও অন্ধ?
4-John 9:41 : যীশু তাদের বললেন, তোমরা যদি অন্ধ হতে তাহলে তোমাদের কোন পাপই হত না৷ কিন্তু তোমরা এখন বলছ আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাই তোমাদের পাপ রয়ে গেছে৷
4-John 10:1 : যীশু বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি; যদি কেউ সদর দরজা দিয়ে মেষ খোঁযাড়ে না ঢোকে এবং তার পরিবর্তে অন্য কোন ভাবে টপকে ঢোকে, তবে সে একজন চোর বা ডাকাত;
4-John 10:2 : কিন্তু য়ে ব্যক্তি দরজা দিয়ে ঢোকে সে মেষপালক৷
4-John 10:3 : দারোযান তাকে দরজা খুলে দেয়, আর মেষরা তার কন্ঠস্বর শোনে৷ সে তার নিজের মেষগুলিকে নাম ধরে ডাকে আর তাদের বাইরে নিয়ে যায়৷
4-John 10:4 : সে যখন তার নিজের সব মেষদের বের করে নেয়, তখন সে তাদের আগে আগে চলে, আর মেষরা তার পেছনে পেছনে চলতে থাকে, কারণ তারা তার কন্ঠস্বর চেনে৷
4-John 10:5 : কিন্তু মেষরা যাকে জানে না এমন লোকের পেছনে যাবে না, বরং তারা তার থেকে দূরে পালিয়ে যাবে, কারণ তারা অচেনা লোকের কন্ঠস্বর চেনে না৷
4-John 10:6 : যীশু তাদের এই দৃষ্টান্তটি বললেন; কিন্তু তিনি য়ে কি বলতে চাইছেন তা তারা বুঝতে পারল না৷
4-John 10:7 : তখন যীশু আবার তাদের বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমি মেষদের জন্য খোঁযাড়ের দরজা স্বরূপ৷
4-John 10:8 : যাঁরা আমার আগে এসেছে তারা সব চোর ডাকাত, কিন্তু মেষরা তাদের ডাক শোনে নি৷
4-John 10:9 : আমিই দরজা৷ যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে তবে সে রক্ষা পাবে৷ সে ভেতরে আসবে এবং বাইরে গেলে তার চারণভূমি পাবে৷
4-John 10:10 : চোর কেবল চুরি, খুন ও ধ্বংস করতে আসে৷ আমি এসেছি, যাতে লোকেরা জীবন লাভ করে, আর য়েন তা পরিপূর্ণ ভাবেই লাভ করে৷
4-John 10:11 : আমিই উত্তম মেষপালক৷ উত্তম পালক মেষদের জন্য তার জীবন সমর্পণ করে৷
4-John 10:12 : কোন বেতনভূক কর্মচারী প্রকৃত মেষপালক নয়৷ মেষরা তার নিজের নয়, তাই সে যখন নেকড়ে বাঘ আসতে দেখে তখন মেষদের ফেলে রেখে পালায়৷ আর নেকড়ে বাঘ তাদের আক্রমণ করে এবং তারা ছড়িয়ে পড়ে৷
4-John 10:13 : বেতনভূক কর্মচারী পালায়, কারণ বেতনের বিনিময়ে সে কাজ করে, মেষদের জন্য তার কোন চিন্তাই নেই৷
4-John 10:14 : আমিই উত্তম পালক৷ আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে৷ ঠিক য়েমন আমার পিতা আমাকে জানেন, আমিও আমার পিতাকে জানি; আর আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই৷
4-John 10:15 : -
4-John 10:16 : আমার এমন আরো অনেক মেষ আছে যাঁরা এই খোঁযাড়ের নয়৷ আমি অবশ্যই তাদেরও আনব, তারাও আমার কথা শুনবে আর তারা তখন সকলে এক পাল হবে আর তাদের পালকও হবেন একজন৷
4-John 10:17 : এই কারণেই পিতা আমায় ভালবাসেন, কারণ আমি আমার প্রাণ দান করি য়েন আবার তা পেতে পারি৷
4-John 10:18 : কেউ আমার কাছ থেকে তা হরণ করে নিতে পারবে না, বরং আমি তা স্ব - ইচ্ছাতেই করছি৷ এটা দান করার অধিকার আমার আছে এবং আবার তা ফিরে পাওযার অধিকারও আমার আছে৷ আমার পিতার কাছ থেকেই আমি এই সব শুনেছি৷
4-John 10:19 : এইসব কথার কারণে জনগণের মধ্যে এ নিয়ে মতবিরোধ হল৷
4-John 10:20 : তাদের মধ্যে অনেকে বলল, ওকে ভূতে পেয়েছে, ও পাগল৷ ওর কথা কেন শুনছ?
4-John 10:21 : আবার অন্যরা বলল, যাদের ভূতে পায় তারা তো এমন কথা বলে না৷ ভূত নিশ্চয়ই অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দান করতে পারে না, পারে কি?
4-John 10:22 : এরপর জেরুশালেমে প্রতিষ্ঠার পর্বএল, তখন ছিল শীতকাল৷
4-John 10:23 : যীশু মন্দির চত্বরে শলোমনের বারান্দাতে পায়চারি করছিলেন৷
4-John 10:24 : কিছু ইহুদী তাঁর চারপাশে জড়ো হয়ে তাঁকে বলল, তুমি আর কতকাল আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে? তুমি যদি মশীহ হও তাহলে আমাদের স্পষ্ট করে বল৷
4-John 10:25 : এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, আমি তোমাদের ইতিমধ্যেই বলেছি, আর তোমরা তা বিশ্বাস করছ না৷ আমি আমার পিতার নামে য়ে সব অলৌকিক কাজ করি সেগুলিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে৷
4-John 10:26 : কিন্তু তোমরা বিশ্বাস করো না, কারণ তোমরা আমার পালের মেষ নও৷
4-John 10:27 : আমার মেষরা আমার কন্ঠস্বর শোনে৷ আমি তাদের জানি, আর তারা আমার অনুসরণ করে৷
4-John 10:28 : আমি তাদের অনন্ত জীবন দিই, আর তারা কখনও বিনষ্ট হয় না, আমার হাত থেকে কেউ তাদের কেড়ে নিতেও পারবে না৷
4-John 10:29 : আমার পিতা, যিনি তাদেরকে আমায় দিয়েছেন, তিনি সবার ও সবকিছু থেকে মহান, আর কেউ পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারবে না৷
4-John 10:30 : আমি ও পিতা, আমরা এক৷
4-John 10:31 : ইহুদীরা তাঁকে মারবার জন্য আবার পাথর তুলল৷
4-John 10:32 : যীশু তাদের বললেন, পিতার শক্তিতে আমি অনেক ভাল কাজ করেছি, তার মধ্যে কোন্ কাজটার জন্য তোমরা পাথর মারতে চাইছ?
4-John 10:33 : ইহুদীরা এর উত্তরে তাঁকে বলল, তুমি য়ে সব ভাল কাজ করেছ, তার জন্য আমরা তোমায় পাথর মারতে চাইছি না৷ কিন্তু আমরা তোমাকে পাথর মারতে চাইছি এই জন্য য়ে, তুমি ঈশ্বর নিন্দা করেছ৷ তুমি একজন মানুষ, অথচ নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করছ৷
4-John 10:34 : যীশু তাদের বললেন, তোমাদের বিধি - ব্যবস্থায় কি একথা লেখা নেই য়ে, আমি বলেছি তোমরা ঈশ্বর৷
4-John 10:35 : শাস্ত্রে তাদেরই ঈশ্বর বলেছিল যাদের কাছে ঈশ্বরের বাণী এসেছিল; আর শাস্ত্র সব সময়ই সত্য৷
4-John 10:36 : আমিই সেই ব্যক্তি, পিতা যাঁকে মনোনীত করে জগতে পাঠালেন৷ আমি বলেছি য়ে, আমি ঈশ্বরের পুত্র৷ তবে তোমরা কেন বলছ য়ে আমি ঈশ্বর নিন্দা করছি?
4-John 10:37 : আমি যদি আমার পিতার কাজ না করি, তাহলে আমায় বিশ্বাস করো না৷
4-John 10:38 : কিন্তু আমি যখন সেইসব কাজ করছি তখনও যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করো, তাহলে সেই সব কাজকে বিশ্বাস কর৷ তাহলে তোমরা জানতে পারবে ও বুঝতে পারবে য়ে পিতা আমাতে আছেন আর আমি পিতার মধ্যে আছি৷
4-John 10:39 : এরপর তারা আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের হাত এড়িয়ে চলে গেলেন৷
4-John 10:40 : যর্দনের অপর পারে য়েখানে য়োহন বাপ্তাইজ করছিলেন, যীশু সেখানে আবার গেলেন ও সেখানে থাকলেন৷
4-John 10:41 : বহুলোক তাঁর কাছে আসতে থাকল, আর তারা বলাবলি করতে লাগল, য়োহন কোন অলৌকিক কাজ করেন নি বটে; কিন্তু এই মানুষটির বিষয়ে য়োহন যা বলেছেন, সে সবই সত্য৷
4-John 10:42 : আর সেখানে অনেকেই যীশুর ওপর বিশ্বাস করল৷
4-John 11:1 : লাসার নামে একটি লোক অসুস্থ ছিলেন; তিনি বৈথনিযা গ্রামে থাকতেন৷ সেই গ্রামেই মরিয়ম ও তাঁর বোন মার্থাও থাকতেন৷
4-John 11:2 : এই মরিয়মই বহুমূল্য সুগন্ধি আতর যীশুর উপরে ঢেলে নিজের চুল দিয়ে তাঁর পা মুছিয়ে দিয়েছিলেন৷ লাসার ছিলেন এই মরিয়মেরই ভাই৷
4-John 11:3 : তাই লাসারের বোনেরা একটি লোক পাঠিয়ে যীশুকে বলে পাঠালেন, প্রভু, আপনার প্রিয় বন্ধু লাসার অসুস্থ৷
4-John 11:4 : যীশু একথা শুনে বললেন, এই রোগে তার মৃত্যু হবে না; কিন্তু তা ঈশ্বরের মহিমার জন্যই হয়েছে, য়েন ঈশ্বরের পুত্র মহিমান্বিত হন৷
4-John 11:5 : যীশু মার্থা, তার বোনও লাসারকে ভালবাসতেন৷
4-John 11:6 : তাই তিনি যখন শুনলেন য়ে লাসার অসুস্থ, তখন য়েখানে ছিলেন সেই জায়গায় আরো দুদিন রয়ে গেলেন৷
4-John 11:7 : এরপর তিনি শিষ্যদের বললেন, চল, আমরা আবার যিহূদিযাতে যাই৷
4-John 11:8 : তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, গুরু, সম্প্রতি সেখানকার লোকেরা আপনাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে চাইছিল৷ তবে কেন আপনি আবার সেখানে য়েতে চাইছেন?
4-John 11:9 : এর উত্তরে যীশু বললেন, দিনে বারো ঘন্টা আলো থাকে৷ কেউ যদি দিনের আলোতে চলে তবে সে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় না, কারণ সে জগতের আলো দেখতে পায়৷
4-John 11:10 : কিন্তু কেউ যদি রাতের আঁধারে চলে তবে সে হোঁচট খায়, কারণ তার সামনে কোন আলো নেই৷
4-John 11:11 : তিনি একথা বলার পর তাদের আবার বললেন, আমাদের বন্ধু লাসার ঘুমিয়ে পড়েছে; কিন্তু আমি তাকে জাগাতে যাচ্ছি৷
4-John 11:12 : তখন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, প্রভু, সে যদি ঘুমিয়ে থাকে তবে সে ভাল হয়ে যাবে৷
4-John 11:13 : যীশু লাসারের মৃত্যুর বিষয়ে বলছিলেন, কিন্তু তাঁরা মনে করলেন তিনি তাঁর স্বাভাবিক ঘুমের কথা বলছেন৷
4-John 11:14 : তাই যীশু তখন তাদের স্পষ্ট করে বললেন, লাসার মারা গেছে৷
4-John 11:15 : আর তোমাদের কথা ভেবে আমি আনন্দিত য়ে আমি সেখানে ছিলাম না, কারণ এখন তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে৷ চল, এখন আমরা তার কাছে যাই৷
4-John 11:16 : তখন থোমা (যাঁকে দিদুমঃ বলে) অন্য শিষ্যদের উদ্দেশ্য করে বললেন, চল, আমরাও যাবো, আমরাও যীশুর সঙ্গে মরব৷
4-John 11:17 : যীশু বৈথনিযাতে এসে জানতে পারলেন য়ে গত চারদিন ধরে লাসার কবরে আছেন৷
4-John 11:18 : বৈথনিযা থেকে জেরুশালেমের দূরত্ব ছিল প্রায় দুই মাইল৷
4-John 11:19 : তাই ইহুদীদের অনেকেই মার্থা ও মরিয়মকে তাঁদের ভাইয়ের মৃত্যুর পর সান্ত্বনা দিতে এসেছিল৷
4-John 11:20 : মার্থা যখন শুনলেন য়ে যীশু এসেছেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, কিন্তু মরিয়ম ঘরেই থাকলেন৷
4-John 11:21 : মার্থা যীশুকে বললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন তাহলে আমার ভাই মরত না৷
4-John 11:22 : কিন্তু এখনও আমি জানি য়ে, আপনি ঈশ্বরের কাছে যা কিছু চাইবেন, ঈশ্বর আপনাকে তাই দেবেন৷
4-John 11:23 : যীশু তাঁকে বললেন, তোমার ভাই আবার উঠবে৷
4-John 11:24 : মার্থা তাঁকে বললেন, আমি জানি শেষ দিনে পুনরুত্থানের সময় সে আবার উঠবে৷
4-John 11:25 : যীশু মার্থাকে বললেন, আমিই পুনরুত্থান, আমিই জীবন৷ য়ে কেউ আমাকে বিশ্বাস করে, সে মরবার পর জীবন ফিরে পাবে৷
4-John 11:26 : য়ে কেউ জীবিত আছে ও আমায় বিশ্বাস করে, সে কখনও মরবে না৷ তুমি কি একথা বিশ্বাস কর?
4-John 11:27 : মার্থা তাঁকে বললেন, হ্যাঁ, প্রভু! আমি বিশ্বাস করি য়ে জগতে যাঁর আসার কথা আছে আপনিই সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র৷
4-John 11:28 : এই কথা বলার পর মার্থা সেখান থেকে চলে গেলেন ও তার বোন মরিয়মকে একান্তে ডেকে বললেন, গুরু এসেছেন, আর তিনি তোমায় ডাকছেন৷
4-John 11:29 : মরিয়ম একথা শুনে তাড়াতাড়ি করে যীশুর কাছে গেলেন৷
4-John 11:30 : যীশু তখনও গ্রামের মধ্যে ঢোকেন নি৷ মার্থা য়েখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি সেখানেই ছিলেন৷
4-John 11:31 : য়ে ইহুদীরা মরিয়মের সঙ্গে বাড়িতে ছিল ও তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, তারা যখন দেখল য়ে মরিয়ম তাড়াতাড়ি করে উঠে বাইরে যাচ্ছেন, তখন তারাও তার পিছনে পিছনে চলল, তারা মনে করল য়ে তিনি হয়তো লাসারের কবরের কাছে যাচ্ছেন ও সেখানে গিয়ে কাঁদবেন৷
4-John 11:32 : যীশু য়েখানে ছিলেন, মরিয়ম সেখানে এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ের ওপর পড়ে বললেন, প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না৷
4-John 11:33 : যীশু যখন দেখলেন য়ে মরিয়ম কাঁদছেন আর তার সঙ্গে য়ে সব ইহুদীরা এসেছিল তারাও কাঁদছে, তখন তিনি দুঃখিত হয়ে উঠলেন এবং অন্তরে গভীরভাবে বিচলিত হলেন৷
4-John 11:34 : তখন তিনি বললেন, তোমরা তাকে কোথায় রেখেছ? তারা বললেন, প্রভু, আসুন, এসে দেখুন৷
4-John 11:35 : যীশু কেঁদে ফেললেন৷
4-John 11:36 : তখন সেই ইহুদীরা সকলে বলতে লাগল, দেখ! উনি লাসারকে কত ভালোবাসতেন৷
4-John 11:37 : কিন্তু তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বলল, যীশু তো অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন; কেন তিনি লাসারকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন না?
4-John 11:38 : এরপর যীশু আবার অন্তরে বিচলিত হয়ে উঠলেন৷ লাসারকে য়েখানে রাখা হয়েছিল, যীশু সেই কবরের কাছে গেলেন৷ কবরটি ছিল একটা গুহা, যার প্রবেশ পথ একটা পাথর দিয়ে ঢাকা ছিল৷
4-John 11:39 : যীশু বললেন, ঐ পাথরটা সরিয়ে ফেল৷সেই মৃত ব্যক্তির বোন মার্থা বললেন, প্রভু চারদিন আগে লাসারের মৃত্যু হয়েছে৷ এখন পাথর সরালে এর মধ্য থেকে দুর্গন্ধ বের হবে৷
4-John 11:40 : যীশু তাঁকে বললেন, আমি কি তোমায় বলিনি, যদি বিশ্বাস কর তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবে?
4-John 11:41 : এরপর তারা সেই পাথরখানা সরিয়ে দিল, আর যীশু উর্দ্ধ দিকে তাকিয়ে বললেন, পিতা, আমি তোমায় ধন্যবাদ দিই, কারণ তুমি আমার কথা শুনেছ৷
4-John 11:42 : আমি জানি তুমি সব সময়ই আমার কথা শুনে থাক৷ কিন্তু আমার চারপাশে যাঁরা দাঁড়িয়ে আছে তাদের জন্য আমি একথা বলছি, য়েন তারা বিশ্বাস করে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ৷
4-John 11:43 : এই কথা বলার পর যীশু জোর গলায় ডাকলেন, লাসার বেরিয়ে এস!
4-John 11:44 : মৃত লাসার সেই কবর থেকে বাইরে এল৷ তার হাতপা টুকরো কাপড় দিয়ে তখনও বাঁধা ছিল আর তার মুখের ওপর একখানা কাপড় জড়ানো ছিল৷যীশু তখন তাদের বললেন, বাঁধন খুলে দাও এবং ওকে য়েতে দাও৷
4-John 11:45 : তখন মরিয়মের কাছে যাঁরা এসেছিল, সেই সব ইহুদীদের মধ্যে অনেকে যীশু যা করলেন তা দেখে যীশুর ওপর বিশ্বাস করল৷
4-John 11:46 : কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন ফরীশীদের কাছে গিয়ে যীশু যা করেছিলেন তা তাদের জানালো৷
4-John 11:47 : এরপর প্রধান যাজক ও ফরীশীরা পরিষদের এক মহাসভা ডেকে সেখানে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, আমরা এখন কি করব? এই লোকটা তো অনেক অলৌকিক চিহ্নকার্য় করছে৷
4-John 11:48 : আমরা যদি ওকে এই ভাবেই চলতে দিই তাহলে তো সকলেই এর ওপর বিশ্বাস করবে৷ তখন রোমীয়েরা এসে আমাদের এই মন্দির ও আমাদের জাতিকে ধ্বংস করবে৷
4-John 11:49 : কিন্তু তাদের মধ্যে একজন, য়াঁর নাম কাযাফা, যিনি সেই বছরের জন্য মহাযাজকের পদ পেয়েছিলেন, তাদের বললেন, তোমরা কিছুই জানো না৷
4-John 11:50 : আর তোমরা এও বোঝ না য়ে গোটা জাতি ধ্বংস হওযার পরিবর্তে সেই মানুষের মৃত্যু হওযা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে৷
4-John 11:51 : একথা কাযাফা য়ে নিজের থেকে বললেন তা নয়, কিন্তু সেই বছরের জন্য মহাযাজক হওযাতে তিনি এই ভাববাণী করলেন, য়ে সমগ্র জাতির জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন৷
4-John 11:52 : যীশু য়ে কেবল ইহুদী জাতির জন্য মৃত্যুবরণ করবেন তা নয়, সারা জগতে য়ে সমস্ত ঈশ্বরের সন্তানরা চারদিকে ছড়িয়ে আছে, তাদের সকলকে একত্রিত করার জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করবেন৷
4-John 11:53 : তাই সেই দিন থেকে তারা যীশুকে হত্যা করার জন্য চক্রান্ত করতে লাগল৷
4-John 11:54 : যীশু তখন প্রকাশ্যে ইহুদীদের মধ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দিলেন৷ তিনি সেখান থেকে মরুপ্রান্তরের কাছে ইফ্রযিম নামে এক শহরে চলে গেলেন এবং সেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে থাকলেন৷
4-John 11:55 : ইহুদীদের নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসছিল, আর অনেক লোক নিজেদের শুচি করবার জন্য নিস্তারপর্বের আগেই দেশ থেকে জেরুশালেমে গেল৷
4-John 11:56 : তারা সেখানে যীশুর খোঁজ করতে লাগল৷ তারা মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে পরস্পর বলাবলি করতে লাগল,. তোমরা কি মনে কর? তিনি কি এই পর্বে আসবেন?
4-John 11:57 : প্রধান যাজকরা ও ফরীশীরা এই আদেশ দিল য়ে, যীশু কোথায় আছেন তা যদি কেউ জানে তবে তাদের য়েন জানানো হয় যাতে তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে৷
4-John 12:1 : নিস্তারপর্বের ছদিন আগে যীশু বৈথনিযাতে গেলেন য়েখানে লাসার বাস করতেন৷ এই মৃত লাসারকে যীশু বাঁচিয়েছিলেন৷
4-John 12:2 : সেখানে তারা যীশুর জন্য এক ভোজের আযোজন করছিলেন৷ মার্থা খাবার পরিবেশন করছিলেন৷ যীশুর সঙ্গে যাঁরা খেতে বসেছিল তাদের মধ্যে লাসারও ছিলেন৷
4-John 12:3 : তখন মরিয়ম বিশুদ্ধ জটামাংসীথেকে তৈরী করা প্রায় আধ সের মতো দামী আতর নিয়ে এসে যীশুর পায়ে তা ঢেলে দিলেন, আর নিজের মাথার চুল দিয়ে তাঁর পা দুখানি মুছিয়ে দিলেন তখন সমস্ত ঘর আতরের সুগন্ধে ভরে গেল৷
4-John 12:4 : যিহূদা ঈষ্করিযোত সেখানে ছিল, সে যীশুর শিষ্যদের মধ্যে একজন, য়ে তাঁকে পরে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে৷ মরিয়মের সেই কাজ যিহূদার ভাল লাগে নি৷ যিহূদা ঈষ্করিযোত বলল,
4-John 12:5 : এই আতর তিনশো রৌপ্য় মুদ্রায়বিক্রি করে সেই অর্থ কেন দরিদ্রদের দেওযা হোল না?
4-John 12:6 : গরীবদের জন্য চিন্তা করতো বলে য়ে সে একথা বলেছিল তা নয়, সে ছিল চোর৷ তার কাছে টাকার থলি থাকত আর সে তার থেকে প্রায়ই টাকা চুরি করতো৷
4-John 12:7 : তখন যীশু বললেন, ওকে থামিয়ে দিও না৷ আমাকে সমাধি দিনের জন্য প্রস্তুত করতে তাকে এই আতর রাখতে হয়েছে৷
4-John 12:8 : তোমাদের মধ্যে গরীবরা সব সময়ই থাকবে, কিন্তু তোমরা সবসময় আমাকে পাবে না৷
4-John 12:9 : বহু ইহুদী জানতে পারল য়ে যীশু বৈথনিযাতে আছেন৷ তারা সেখানে য়ে কেবল যীশুর জন্য গেল তাই নয়, য়ে লাসারকে যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন তাকে দেখবার জন্যও তারা সেখানে গেল৷
4-John 12:10 : তাই প্রধান যাজকেরা লাসারকে হত্যা করার চক্রান্ত করতে লাগলেন৷
4-John 12:11 : কারণ তারই জন্য বহু ইহুদী তাদের ছেড়ে যীশুর ওপর বিশ্বাস করতে লাগল৷
4-John 12:12 : য়ে বিপুল জনতা নিস্তারপর্বের জন্য এসেছিল, পরের দিন তারা শুনল য়ে যীশু জেরুশালেমে আসছেন৷
4-John 12:13 : তখন তারা খেজুর পাতা নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাতে বেরিয়ে পড়ল৷ তারা চিত্‌কার করে বলতে লাগল,তাঁর প্রশংসা কর, তাঁকে স্বাগত জানাও! যিনি প্রভুর নামে আসছেন, ঈশ্বর তাঁকে আশীর্বাদ করুন৷ ইস্রায়েলের রাজাকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন!গীতসংহিতা 118 :2
4-John 12:14 : যীশু একটা গাধাকে দেখতে পেয়ে তার ওপর বসলেন, য়েমন শাস্ত্রে লেখা আছে:
4-John 12:15 : সিযোন নগরী,ভয় পেও না! দেখ, তোমাদের রাজা আসছেন৷ দেখ, তোমাদের রাজা বাচ্চা গাধায় চড়ে আসছেন৷সখরিয় 9:9
4-John 12:16 : এসবের অর্থ তাঁর শিষ্যরা প্রথমে বুঝতে পারেন নি৷ কিন্তু যীশু যখন মহিমায় উত্তোলিত হলেন, তখন তাঁদের মনে পড়ল য়ে শাস্ত্রে এগুলিই তাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছে এবং লোকেরা এসব তাঁর জন্য করেছিল৷
4-John 12:17 : যীশু যখন লাসারকে কবর থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন, আর তাকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করে তোলেন, তখন য়ে সব লোক সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিল তার সে বিষয়ে সকলকে বলতে লাগল৷
4-John 12:18 : এই কারণেই লোকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এল, কারণ তারা শুনেছিল, য়ে তিনিই ঐ অলৌকিক চিহ্নকার্য় করেছেন৷
4-John 12:19 : তখন ফরীশীরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, তোমরা দেখলে, আমাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল৷ দেখ, আজ সারা জগত্ তাঁরই পেছনে ছুটছে৷
4-John 12:20 : নিস্তারপর্ব উপলক্ষে উপাসনা করার জন্য যাঁরা জেরুশালেমে এসেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন গ্রীকও ছিল৷
4-John 12:21 : তারা গালীলের বৈত্‌সৈদা থেকে য়ে ফিলিপ এসেছিলেন, তাঁর কাছে গেল, আর তাঁকে অনুরোধের সুরে বলল, মহাশয় আমরা যীশুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চাই৷
4-John 12:22 : ফিলিপ এসে একথা আন্দরিয়কে জানালেন৷ তখন আন্দরিয় ও ফিলিপ এসে যীশুকে তা বললেন৷
4-John 12:23 : যীশু তখন তাদের বললেন, মানবপুত্রের মহিমান্বিত হওযার সময় হয়েছে৷
4-John 12:24 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি, গমের একটি দানা যদি মাটিতে পড়ে মরে না যায়, তবে তা একটি দানাই থেকে যায়৷ কিন্তু তা যদি মাটিতে পড়ে মরে যায়, তবে তার থেকে আরো অনেক দানা উত্‌পন্ন হয়৷
4-John 12:25 : য়ে ব্যক্তি নিজের জীবনকে ভালবাসে সে তা হারাবে; কিন্তু য়ে এই জগতে তার জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে, সে তা রাখবে৷ সে অনন্ত জীবন পাবে৷
4-John 12:26 : কেউ যদি আমার সেব করে তবে অবশ্যই সে আমাকে অনুসরণ করবে৷ আর আমি য়েখানে থাকি আমার সেবকও সেখানে থাকবে৷ কেউ যদি আমার সেবা করে তবে পিতা তাকে সম্মানিত করবেন৷
4-John 12:27 : এখন আমার অন্তর খুব বিচলিত৷ আমি কি বলব, পিতা? এই কষ্ট ভোগের মুহূর্ত থেকে আমায় রক্ষা কর? না, কারণ সেই সময় এসেছে এবং কষ্ট ভোগ করার উদ্দেশ্যেই আমি এসেছি৷
4-John 12:28 : পিতা, তোমার নামকে মহিমান্বিত কর!তখন স্বর্গ থেকে এক রব ভেসে এল, আমি এঁকে মহিমান্বিত করেছি, আর আমি আবার তাঁকে মহিমান্বিত করব৷
4-John 12:29 : য়ে লোকেরা সেখানে ভীড় করেছিল, তারা সেই রব শুনে বলতে লাগল, এটা তো মেঘ গর্জন হোল৷আবার কেউ কেউ বলল, একজন স্বর্গদূত ওঁর সঙ্গে কথা বললেন৷
4-John 12:30 : এর উত্তরে যীশু বললেন, আমার জন্য নয়, তোমাদের জন্যই ঐ রব৷
4-John 12:31 : এখন জগতের বিচারের সময়৷ এই জগতের শাসককে দূরে নিক্ষেপ করা হবে৷
4-John 12:32 : আর যখন আমাকে মাটি থেকে উঁচুতে তোলা হবে, তখন আমি আমার কাছে সকলকেই টেনে আনব৷
4-John 12:33 : যীশুর কিভাবে মৃত্যু হতে যাচ্ছে, তাই জানাতে যীশু এই কথা বললেন৷
4-John 12:34 : এর উত্তরে লোকেরা তাঁকে বলল, আমরা মোশির দেওযা বিধি - ব্যবস্থা থেকে শুনেছি য়ে খ্রীষ্ট চিরকাল বাঁচবেন৷ তাহলে আপনি কিভাবে বলছেন য়ে, মানবপুত্রকে উঁচুতে তোলা হবে? এই মানবপুত্র তবে কে?
4-John 12:35 : তখন যীশু তাদের বললেন, আর সামান্য কিছু সময়ের জন্য তোমাদের মধ্যে আলো থাকবে৷ যতক্ষণ তোমরা আলো পাচ্ছ, তারই মধ্য দিয়ে চল৷ তাহলে অন্ধকার তোমাদের আচ্ছন্ন করবে না৷ য়ে লোক অন্ধকারে চলে সে কোথায় যাচ্ছে তা জানে না৷
4-John 12:36 : যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছে, সেই আলোতে বিশ্বাস কর, তাতে তোমরা আলোর সন্তান হবে৷ এই কথা বলে যীশু সেখান থেকে চলে গেলেন ও তাদের কাছ থেকে নিজেকে গোপন রাখলেন৷
4-John 12:37 : যদিও যীশু তাদের চোখের সামনেই প্রচুর অলৌকিক চিহ্নকার্য় করলেন, তবু তারা তাঁকে বিশ্বাস করল না৷
4-John 12:38 : ভাববাদী যিশাইয় বলেছিলেন:প্রভু, আমাদের এই বার্তা কে বিশ্বাস করেছে? আর কার কাছেই বা প্রভুর পরাক্রম প্রকাশ পেয়েছে?যিশাইয় 53 :1
4-John 12:39 : এই কারণেই তারা বিশ্বাস করতে পারে নি, কারণ যিশাইয় আবার বলেছেন,
4-John 12:40 : ঈশ্বর তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন৷ ঈশ্বর তাদের অন্তর কঠিন করেছেন যাতে তারা চোখ দিয়ে দেখতে না পায়, অন্তর দিয়ে বুঝতে না পারে এবং ভাল হবার জন্য আমার কাছে না আসে৷যিশাইয় 6:10
4-John 12:41 : যিশাইয় একথা বলেছিলেন, কারণ তিনি যীশুর মহিমা দেখেছিলেন আর তিনি তাঁর বিষয়েই বলেছিলেন৷
4-John 12:42 : অনেকে, এমন কি ইহুদী নেতাদের মধ্যেও অনেকে, তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করল; কিন্তু তারা ফরীশীদের ভয়ে প্রকাশ্যে তা স্বীকার করল না, পাছে তারা ইহুদীদের সমাজ - গৃহ থেকে বহিষ্কৃত হয়৷
4-John 12:43 : কারণ তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওযা প্রশংসা অপেক্ষা মানুষের কাছ থেকে পাওযা প্রশংসা বেশী ভালবাসত৷
4-John 12:44 : যীশু চিত্‌কার করে বললেন, য়ে আমাকে বিশ্বাস করে সে, প্রকৃতপক্ষে যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁকেই বিশ্বাস করে৷
4-John 12:45 : আর য়ে আমায় দেখে সে, যিনি আমায় পাঠিয়েছেন, তাঁকেই দেখতে পায়৷
4-John 12:46 : আমি এ জগতে আলো রূপে এসেছি যাতে য়ে আমায় বিশ্বাস করে তাকে য়েন অন্ধকারে থাকতে না হয়৷
4-John 12:47 : আর য়ে কেউ আমার কথা শোনে অথচ তা মেনে চলে না, তার বিচার করতে আমি চাই না, কারণ আমি জগতের বিচার করতে আসিনি, এসেছি জগতকে রক্ষা করতে৷
4-John 12:48 : য়ে কেউ আমাকে অগ্রাহ্য় করে ও আমার কথা গ্রহণ না করে, তার বিচার করার জন্য একজন বিচারক আছেন৷ আমি য়ে বার্তা দিয়েছি শেষ দিনে সেই বার্তাই তার বিচার করবে৷
4-John 12:49 : কারণ আমি নিজে থেকে একথা বলছি না, বরং পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তিনি আমাকে কি বলতে হবে বা কি শিক্ষা দিতে হবে তা আদেশ করেছেন৷
4-John 12:50 : আমি জানি য়ে তাঁর আদেশ থেকেই অনন্ত জীবন আসে৷ আমি সেই সকল কথা বলি যা পিতা আমায় বলেছেন৷
4-John 13:1 : ইহুদীদের নিস্তারপর্বের ঠিক পূর্বে যীশু বুঝতে পারলেন, য়ে এই জগত ছেড়ে পিতার কাছে তাঁর যাবার সময় হয়ে এসেছে৷ যীশু পৃথিবীতে তাঁর আপনজনদের সব সময় ভালবেসেছেন৷ এবার তিনি তাদের প্রতি তাঁর ভালবাসার চূড়ান্ত প্রমাণ দিলেন৷
4-John 13:2 : যীশু ও তাঁর শিষ্যরা সান্ধ্য় আহার করছিলেন৷ দিযাবল ইতিমধ্যে শিমোন ঈষ্করিযোতের ছেলে যিহূদাকে প্ররোচিত করেছে যীশুকে শত্রুর হাতে তুলে দেওযার জন্য৷
4-John 13:3 : যীশু বুঝলেন য়ে পিতা তাঁকে সব কিছুর ওপর ক্ষমতা দিয়েছেন, তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন, আর ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাচ্ছেন৷
4-John 13:4 : তখন তিনি ভোজের আসর থেকে উঠে দাঁড়ালেন, তাঁর উপরের জামাটা খুলে রেখে একটি গামছা কোমরে জড়ালেন৷
4-John 13:5 : তারপর গামলায় জল ঢেলে শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিতে লাগলেন, আর য়ে গামছাটি কোমরে জড়িয়ে ছিলেন সেটি দিয়ে তাঁদের পা মুছিয়ে দিতে লাগলেন৷
4-John 13:6 : এইভাবে তিনি শিমোন পিতরের কাছে এলে পিতর যীশুকে বললেন, প্রভু, আপনি কেন আমার পা ধুইয়ে দেবেন?
4-John 13:7 : এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, আমি যা করছি, তুমি এখন তা বুঝতে পারছ না, কিন্তু পরে বুঝবে৷
4-John 13:8 : পিতর তাঁকে বললেন, আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না৷যীশু তাঁকে বললেন, আমি যদি তোমার পা না ধুইয়ে দিই, তাহলে আমার সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক থাকবে না৷
4-John 13:9 : শিমোন পিতর তাঁকে বললেন, প্রভু, আপনি কেবল আমার পা নয়, হাত ও মাথা ধুইয়ে দিন!
4-John 13:10 : যীশু তাঁকে বললেন, য়ে স্নান করেছে তার পা ধোযা ছাড়া আর কিছু দরকার নেই, আর তো সর্বাঙ্গ পরিষ্কার হয়েছে৷ তোমরাও পরিষ্কার হয়েছ, কিন্তু সকলে নও৷
4-John 13:11 : যীশু জানতেন য়ে একজন তাঁকে ধরিয়ে দেবে, সেই কারণেই তিনি বললেন, তোমরা সকলে পরিষ্কার নও৷
4-John 13:12 : তাদের পা ধোযানো শেষ করে তিনি আবার তাঁর উপরের জামাটি পরলেন ও টেবিলে তাঁর জায়গায় ফিরে এসে তাদের বললেন, আমি তোমাদের প্রতি কি করলাম তা বুঝতে পারলে?
4-John 13:13 : তোমরা আমায় গুরু ও প্রভু বলে থাকো; আর তোমরা তা ঠিকই বল, কারণ আমি তা - ই৷
4-John 13:14 : তাই আমি প্রভু ও গুরু হয়ে যদি তোমাদের পা ধুইয়ে দিই, তাহলে তোমাদেরও উচিত পরস্পরের পা ধোযানো৷
4-John 13:15 : আমি তোমাদের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম, য়েন আমি তোমাদের প্রতি য়েমন করলাম, তোমরাও তেমনি কর৷
4-John 13:16 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি, চাকর তার মনিবের থেকে বড় নয়, আর দূত তার প্রেরণকর্তার থেকে বড় নয়৷
4-John 13:17 : য়েহেতু তোমরা এসব জান, এইগুলি পালন কর, তাহলে তোমরা সুখী হবে৷
4-John 13:18 : আমি তোমাদের সকলের বিষয়ে বলছি না৷ আমি জানি, কাদের আমি মনোনীত করেছি৷ কিন্তু শাস্ত্রে য়ে কথা লেখা হয়েছে তা অবশ্যই পূর্ণ হবে, য়ে আমার সঙ্গে আহার করল, সেই আমার বিরুদ্ধে গেল৷
4-John 13:19 : এসব ঘটবার আগেই আমি তোমাদের এসব বলছি, যাতে যখন এসব ঘটবে, তোমরা বিশ্বাস করবে য়ে আমিই তিনি৷
4-John 13:20 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমি যাকে পাঠাবো তাকে য়ে গ্রহণ করবে, সে আমাকেই গ্রহণ করবে৷ আর য়ে আমাকে গ্রহণ করে, আমায় যিনি পাঠিয়েছেন, সে তাঁকেও গ্রহণ করে৷
4-John 13:21 : এই কথা বলার পর যীশু খুবই উদ্বিগ্ন হলেন, আর খোলাখুলিই বললেন, আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে ধরিয়ে দেবে৷
4-John 13:22 : শিষ্যরা পরস্পরের দিকে তাকাতে লাগলেন, আদৌ বুঝতে পারলেন না কার বিষয়ে তিনি বলছেন৷
4-John 13:23 : যীশুর শিষ্যদের মধ্যে একজন ছিলেন যাকে যীশু খুবই ভালবাসতেন, তিনি যীশুর গায়ের ওপর হেলান দিয়ে ছিলেন৷
4-John 13:24 : শিমোন পিতর এই শিষ্যকে ইশারা করলেন এবং যীশুকে জিজ্ঞেস করতে বললেন য়ে উনি কার সম্পর্কে বলছেন৷
4-John 13:25 : তখন তিনি যীশুর বুকের উপর ঝুঁকে পড়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, প্রভু, সে কে?
4-John 13:26 : যীশু বললেন, আমি রুটির টুকরোটি বাটিতে ডুবিয়ে যাকে দেব সে - ই সেই লোক৷ এরপর তিনি রুটির টুকরো ডুবিয়ে শিমোন ঈষ্করিযোতের ছেলে যিহূদাকে দিলেন৷
4-John 13:27 : যিহূদা রুটির টুকরোটি নেওযার পর শয়তান তার মধ্যে ঢুকে পড়ল৷ এরপর যীশু তাকে বললেন, তুমি যা করতে যাচ্ছ তা তাড়াতাড়ি করোগে যাও৷
4-John 13:28 : কিন্তু যাঁরা তাঁর সঙ্গে খাবার টেবিলে খেতে বসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউই বুঝতে পারলেন না তিনি কেন তাকে একথা বললেন৷
4-John 13:29 : কেউ কেউ মনে করলেন, যিহূদার কাছে টাকার থলি আছে, তাই হয়তো যীশু তাকে বললেন, পর্বের জন্য যা যা প্রযোজন তা কিনে আনতে যাও; অথবা হয়তো গরীবদের ওর থেকে কিছু দান করতে বলেছেন৷
4-John 13:30 : যিহূদা রুটির টুকরোটি গ্রহণ করে সঙ্গে সঙ্গে বাইরে চলে গেল৷ তখন রাত হয়ে গেছে৷
4-John 13:31 : যিহূদা সেখান থেকে চলে যাবার পর যীশু বললেন, মানবপুত্র এখন মহিমান্বিত হলেন, আর ঈশ্বরও তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত হলেন৷
4-John 13:32 : ঈশ্বর যদি তাঁর মাধ্যমে মহিমান্বিত হন, তবে ঈশ্বরও মানবপুত্রকে নিজের মাধ্যমে মহিমান্বিত করবেন, তিনি খুব শিগ্গিরই তা করবেন৷
4-John 13:33 : আমার প্রিয় সন্তানরা, আমি আর কিছু সময় তোমাদের সঙ্গে থাকব৷ তোমরা আমায় খুঁজবে, আর আমি য়েমন ইহুদী নেতাদের বলেছিলাম, আমি য়েখানে যাচ্ছি তোমরা সেখানে য়েতে পার না, সেই কথাই এখন তোমাদেরও বলছি৷
4-John 13:34 : আমি তোমাদের এক নতুন আদেশ দিচ্ছি, তোমরা পরস্পরকে ভালবেসো৷ আমি য়েমন তোমাদের ভালবাসি, তোমরাও তেমনি পরস্পরকে ভালবেসো৷
4-John 13:35 : তোমাদের পরস্পরের মধ্যে যদি ভালবাসা থাকে তবে এর দ্বারাই সকলে জানবে য়ে তোমরা আমার শিষ্য৷
4-John 13:36 : শিমোন পিতর যীশুকে বললেন, প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?যীশু বললেন, য়েখানে এখন আমি যাচ্ছি, তুমি আমার পেছনে সেখানে আসতে পারবে না; কিন্তু পরে তুমি আমায় অনুসরণ করবে৷
4-John 13:37 : পিতর তাঁকে বললেন, প্রভু, এখন কেন আমি আপনার সঙ্গে য়েতে পারি না? আমি আপনার জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেব৷
4-John 13:38 : যীশু তাকে বললেন, তুমি কি সত্যি আমার জন্য প্রাণ দেবে? আমি তোমাকে সত্যি বলছি; কাল ভোরে মোরগ ডাকার আগেই তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে৷
4-John 14:1 : তোমাদের হৃদয় বিচলিত না হোক্৷ ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখো, আর আমার প্রতিও আস্থা রাখো৷
4-John 14:2 : আমার পিতার বাড়িতে অনেক ঘর আছে, যদি না থাকতো আমি তোমাদের বলতাম৷ আমি তোমাদের থাকবার একটা জায়গা ঠিক করতে যাচ্ছি৷
4-John 14:3 : সেখানে গিয়ে জায়গা ঠিক করার পর আমি আবার আসব ও তোমাদের আমার কাছে নিয়ে যাব, যাতে আমি য়েখানে থাকি তোমরাও সেখানে থাকতে পার৷
4-John 14:4 : আমি য়েখানে যাচ্ছি তোমরা সকলেই সে জায়গার পথ চেন৷
4-John 14:5 : থোমা তাঁকে বললেন, প্রভু, আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা আমরা জানি না! আমরা সেখানে যাবার পথ কিভাবে জানবো?
4-John 14:6 : যীশু তাঁকে বললেন, আমিই পথ, আমিই সত্য ও জীবন৷ পিতার কাছে যাবার আমিই একমাত্র পথ৷
4-John 14:7 : তোমরা যদি সত্যি আমাকে জেনেছ, তবে পিতাকেও জানতে পেরেছ৷ আর এখন থেকে তোমরা তাঁকে জেনেছ ও তাঁকে দেখেছ৷
4-John 14:8 : ফিলিপ যীশুকে বললেন, প্রভু, আপনি পিতাকে আমাদের দেখান, তাহলেই যথেষ্ট হবে৷
4-John 14:9 : যীশু তাঁকে বললেন, আমি তোমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছি; আর ফিলিপ, তোমরা এখনও আমায় চিনলে না? য়ে কেউ আমায় দেখেছে সে পিতাকে দেখেছে৷ তোমরা কি করে বলছ, পিতাকে আমাদের দেখান?
4-John 14:10 : তুমি কি বিশ্বাস কর না য়ে আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতাও আমার মধ্যে আছেন? আমি তোমাদের য়ে সকল কথা বলি তা নিজের থেকে বলি না৷ আমার মধ্যে যিনি আছেন সেই পিতা তাঁর নিজের কাজ করেন৷
4-John 14:11 : যখন আমি বলি য়ে আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতাও আমার মধ্যে আছেন, তখন আমাকে বিশ্বাস কর৷ যদি তা না কর, তবে আমার দ্বারা কৃত সব অলৌকিক কাজের কারণেই বিশ্বাস কর৷
4-John 14:12 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি, য়ে আমার ওপর বিশ্বাস রাখে, আমি য়ে কাজই করি না কেন, সেও তা করবে, বলতে কি সে এর থেকেও মহান মহান কাজ করবে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি৷
4-John 14:13 : আর তোমরা আমার নামে যা কিছু চাইবে, আমি তা পূর্ণ করব, য়েন পিতা পুত্রের দ্বারা মহিমান্বিত হন৷
4-John 14:14 : তোমরা যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু চাও, আমি তা পূর্ণ করব৷
4-John 14:15 : তোমরা যদি আমায় ভালবাস তবে তোমরা আমার সমস্ত আদেশ পালন করবে৷
4-John 14:16 : আমি পিতার কাছে চাইব, আর তিনি তোমাদের আর একজন সাহায্যকারীদেবেন, য়েন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন৷
4-John 14:17 : তিনি সত্যের আত্মা,যাঁকে এই জগত সংসার মেনে নিতে পারে না, কারণ জগত তাঁকে দেখে না বা তাঁকে জানে না৷ তোমরা তাঁকে জান, কারণ তিনি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন, আর তিনি তোমাদের মধ্যেই থাকবেন৷
4-John 14:18 : আমি তোমাদের অনাথ রেখে যাবো না৷ আমি তোমাদের কাছে আসব৷
4-John 14:19 : আর কিছুক্ষণ পর এই জগত সংসার আর আমায় দেখতে পাবে না, কিন্তু তোমরা আমায় দেখতে পাবে৷ কারণ আমি বেঁচে আছি বলেই তোমরাও বেঁচে থাকবে৷
4-John 14:20 : সেই দিন তোমরা জানবে য়ে আমি পিতার মধ্যে আছি, তোমরা আমার মধ্যে আছ, আর আমি তোমাদের মধ্যে আছি৷
4-John 14:21 : য়ে আমার নির্দেশ জানে এবং সেগুলি সব পালন করে, সেই আমায় প্রকৃত ভালবাসে৷ য়ে আমায় ভালবাসে, পিতাও তাঁকে ভালবাসেন৷ য়ে আমায় ভালবাসে, পিতাও তাকে ভালবাসেন আর আমিও তাকে ভালবাসি৷ আমি নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করব৷
4-John 14:22 : যিহূদা (যিহূদা ঈষ্করিযোত নয়) তাঁকে বলল, প্রভু কেন আপনি জগতের কাছে নিজেকে প্রকাশ না করে আমাদের কাছেই নিজেকে প্রকাশ করবেন?
4-John 14:23 : এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, যদি কেউ আমায় ভালবাসে তবে সে আমার শিক্ষা অনুসারে চলবে, আর আমার পিতা তাকে ভালবাসবেন, আর আমরা তার কাছে আসব ও তার সঙ্গে বাস করব৷
4-John 14:24 : য়ে আমায় ভালবাসে না, সে আমার শিক্ষা পালন করে না৷ আর তোমরা আমার য়ে শিক্ষা শুনছ তা আমার নয়, কিন্তু যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এই শিক্ষা সেই পিতার৷
4-John 14:25 : আমি তোমাদের সঙ্গে থাকতে থাকতেই এইসব কথা বললাম,
4-John 14:26 : কিন্তু সেই সাহায্যকারী পবিত্র আত্মা, যাঁকে পিতা আমার নামে পাঠিয়ে দেবেন, তিনি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দেবেন, আর আমি তোমাদের যা যা বলেছি, সে সকল বিষয় তিনি তোমাদের স্মরণ করিয়ে দেবেন৷
4-John 14:27 : শান্তি আমি তোমাদের কাছে রেখে যাচ্ছি৷ আমার নিজের শান্তি আমি তোমাদের দিচ্ছি৷ জগত সংসার য়েভাবে শান্তি দেয় আমি সেইভাবে তা দিচ্ছি না৷ তোমাদের অন্তর উদ্বিগ্ন অথবা শঙ্কিত না হোক৷
4-John 14:28 : তোমরা শুনেছ য়ে, আমি তোমাদের বলেছি য়ে আমি যাচ্ছি আর আমি আবার তোমাদের কাছে আসব৷ তোমরা যদি আমায় ভালবাস তবে এটা জেনে খুশী হবে য়ে আমি পিতার কাছে যাচ্ছি, কারণ পিতা আমার থেকে মহান৷
4-John 14:29 : তাই এসকল ঘটার আগেই আমি এসব তোমাদের এখন বললাম, যাতে ঘটলে পর তোমরা বিশ্বাস কর৷
4-John 14:30 : আমি তোমাদের সঙ্গে আর বেশীক্ষণ কথা বলব না, কারণ এই জগতের অধিপতি আসছে৷ আমার ওপর তার কোন দাবী নেই৷
4-John 14:31 : জগত সংসার যাতে জানতে পারে য়ে আমি পিতাকে ভালবাসি, তাই পিতা আমায় য়েমন আদেশ করেন আমি সেরকমই করি৷এখন এস! আমরা এখান থেকে যাই৷
4-John 15:1 : যীশু বললেন, আমিই প্রকৃত আঙ্গুর লতা, আর আমার পিতা আঙ্গুর ক্ষেতের প্রকৃত কৃষক৷
4-John 15:2 : আমার য়ে শাখাতে ফল ধরে না, তিনি তা কেটে ফেলেন৷ আর য়ে শাখাতে ফল ধরে তাতে আরও বেশী করে ফল ধরার জন্য তিনি তা ছেঁটে পরিষ্কার করে দেন৷
4-John 15:3 : আমি তোমাদের য়ে শিক্ষা দিয়েছি তার ফলে তোমরা এখন শুচি হয়েছ৷
4-John 15:4 : তোমরা আমার সঙ্গে সংযুক্ত থাক, আর আমিও তোমাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকব৷ শাখা য়েমন আঙ্গুর লতার সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে ফল ধরতে পারে না, তেমনি তোমরাও আমার সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে ফলবন্ত হতে পারবে না৷
4-John 15:5 : আমিই আঙ্গুরলতা, আর তোমরা শাখা৷ য়ে আমাতে সংযুক্ত থাকে সে প্রচুর ফলে ফলবান হয়, কারণ আমাকে ছাড়া তোমরা কিছুই করতে পার না৷
4-John 15:6 : যদি কেউ আমাতে না থাকে, তবে তাকে শুকিয়ে যাওযা শাখার মতো ছুঁড়ে ফেলা হয়৷ তারপর সেই সব শুকনো শাখাকে জড়ো করে তা আগুনে ছুঁড়ে পুড়িয়ে দেওযা হয়৷
4-John 15:7 : যদি তোমরা আমাতে থাক, আর আমার শিক্ষা যদি তোমাদের মধ্যে থাকে, তাহলে তোমরা যা ইচ্ছা কর, তা পাবে৷
4-John 15:8 : তোমরা প্রচুর ফলে ফলবান হয়ে প্রমাণ কর য়ে, তোমরা আমার প্রকৃত শিষ্য; আর তাতেই আমার পিতা মহিমান্বিত হবেন৷
4-John 15:9 : পিতা য়েমন আমায় ভালবাসেন, আমিও তোমাদের তেমনি ভালবাসি৷ তোমরা আমার ভালবাসার মধ্যে থাকো৷
4-John 15:10 : আমি আমার পিতার আদেশ পালন করেছি ও তাঁর ভালবাসায় আছি৷ একইভাবে তোমরা যদি আমার আদেশ পালন কর তবে তোমরাও আমার ভালবাসায় থাকবে৷
4-John 15:11 : আমি এসব কথা তোমাদের বললাম, য়েন আমার য়ে আনন্দ আছে তা তোমাদের মধ্যেও থাকে; আর এইভাবে তোমাদের আনন্দ য়েন সম্পূর্ণ হয়৷
4-John 15:12 : আমার আদেশ এই, আমি য়েমন তোমাদের ভালোবেসেছি, তোমরাও তেমনি একে অপরকে ভালবাস৷
4-John 15:13 : বন্ধুদের জন্য প্রাণ দেওযার থেকে একজনের পক্ষে শ্রেষ্ঠ ভালবাসা আর কিছু নেই৷
4-John 15:14 : আমি তোমাদের যা যা আদেশ করছি তোমরা যদি তা পালন কর তাহলে তোমরা আমার বন্ধু৷
4-John 15:15 : আমি তোমাদের আর দাস বলছি না, কারণ মনিব কি করে, তা দাস জানে না৷ কিন্তু আমি তোমাদের বন্ধু বলছি, কারণ আমি পিতার কাছ থেকে যা যা শুনেছি সে সবই তোমাদের জানিয়েছি৷
4-John 15:16 : তোমরা আমায় মনোনীত করনি, বরং আমিই তোমাদের মনোনীত করেছি৷ আমি তোমাদের নিযোগ করেছি য়েন তোমরা যাও ও ফলবন্ত হও, আর তোমাদের ফল য়েন স্থাযী হয় এই আমার ইচ্ছা৷ তোমরা আমার নামে যা কিছু চাও, পিতা তা তোমাদের দেবেন৷
4-John 15:17 : আমি তোমাদের এই আদেশ দিচ্ছি য়ে তোমরা একে অপরকে ভালবাস৷
4-John 15:18 : জগত সংসার যদি তোমাদের ঘৃণা করে, তবে একথা মনে রেখো য়ে, সে প্রথমে আমায় ঘৃণা করল৷
4-John 15:19 : তোমরা যদি এই জগতের হও, তবে জগত য়েমন তার আপনজনদের ভালবাসে, তেমনি তোমাদেরও ভালবাসবে৷ কিন্তু তোমরা এ জগতের নও৷ আমি এই জগত থেকে তোমাদের মনোনীত করেছি, এই কারণেই জগত সংসার তোমাদের ঘৃণা করে৷
4-John 15:20 : য়ে শিক্ষার কথা আমি তোমাদের বললাম তা স্মরণে রেখো, একজন দাস তার মনিবের থেকে বড় নয়৷ তারা যদি আমার ওপর নির্য়াতন করে থাকে তবে তারা তোমাদেরও নির্য়াতন করবে৷ যদি তারা আমার শিক্ষা পালন করে থাকে তবে তোমাদের শিক্ষা পালন করবে৷
4-John 15:21 : তারা আমার জন্যই তোমাদের প্রতি এগুলি করবে, কারণ যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে তারা জানে না৷
4-John 15:22 : আমি যদি না আসতাম ও তাদের সঙ্গে কথা না বলতাম, তাহলে তাদের পাপ হত না৷ কিন্তু আমি এসেছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি তাই তাদের এখন পাপ ঢাকবার কোন উপায় নেই৷
4-John 15:23 : য়ে আমায় ঘৃণা করে, সে আমার পিতাকেও ঘৃণা করে৷
4-John 15:24 : য়ে কাজ আর কেউ কখনও করে নি, সেরূপ কাজ যদি আমি তাদের মধ্যে না করতাম, তবে তাদের পাপের জন্য তারা দোষী হত না৷ কিন্তু এখন তারা আমার কাজ দেখেছে, আর তা সত্ত্বেও তারা আমাকে ও পিতাকে উভয়কেই ঘৃণা করেছে৷
4-John 15:25 : শাস্ত্রের এই বাক্য পূর্ণ হওযার জন্যই এসব ঘটল: তারা অকারণে আমায় ঘৃণা করেছে৷
4-John 15:26 : আমি পিতার কাছ থেকে একজন সাহায্যকারী পাঠাবো, তিনি সত্যের আত্মা৷ তিনি যখন পিতার কাছ থেকে আসবেন, তিনি আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেবেন৷
4-John 15:27 : তোমরাও লোকদের কাছে অবশ্যই আমার কথা বলবে, কারণ তোমরা শুরু থেকে আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ৷
4-John 16:1 : আমি তোমাদের এসব বলছি যাতে তোমরা তোমাদের বিশ্বাস ত্যাগ না কর৷
4-John 16:2 : তারা তোমাদের সমাজ - গৃহ থেকে বহিষ্কৃত করবে৷ বলতে কি এমন সময় আসছে, যখন তারা তোমাদের হত্যা করে মনে করবে য়ে তারা ঈশ্বরের সেবা করছে৷
4-John 16:3 : তারা এরূপ কাজ করবে কারণ তারা না জানে আমাকে, না জানে পিতাকে৷
4-John 16:4 : কিন্তু আমি তোমাদের এসব কথা বললাম, য়েন এসব ঘটবার সময় আসলে তোমরা মনে করতে পার য়ে, আমি তোমাদের এসব বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম৷শুরুতেই আমি তোমাদের এসব কথা বলিনি, কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে ছিলাম৷
4-John 16:5 : কিন্তু যিনি আমায় পাঠিয়েছেন এখন আমি তাঁর কাছে ফিরে যাচ্ছি, আর তোমাদের কেউ জিজ্ঞেস করছ না, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
4-John 16:6 : এখন আমি তোমাদের এসব কথা বললাম, তাই তোমাদের অন্তর দুঃখে ভরে গেছে৷
4-John 16:7 : কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমার যাওযা তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি যদি না যাই তাহলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না৷ কিন্তু আমি যদি যাই তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব৷
4-John 16:8 : যখন সেই সাহায্যকারী আসবেন তখন তিনি পাপ, ন্যায়পরায়ণতা ও বিচার সম্পর্কে জগতের মানুষকে চেতনা দেবেন৷
4-John 16:9 : তিনি পাপ সম্পর্কে চেতনা দেবেন কারণ তারা আমাতে বিশ্বাস করে না৷
4-John 16:10 : ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে বোঝাবেন কারণ এখন আমি পিতার কাছে যাচ্ছি, আর তোমরা আমায় দেখতে পাবে না৷
4-John 16:11 : বিচার সম্বন্ধে চেতনা দেবেন কারণ এই জগতের য়ে শাসক তার বিচার হয়ে গেছে৷
4-John 16:12 : তোমাদের বলবার মতো আমার এখনও অনেক কথা আছে; কিন্তু সেগুলো তোমাদের গ্রহণ করার পক্ষে এখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে৷
4-John 16:13 : সত্যের আত্মা যখন আসবেন, তখন তিনি সকল সত্যের মধ্যে তোমাদের পরিচালিত করবেন৷ তিনি নিজে থেকে কিছু বলেন না, কিন্তু তিনি যা শোনেন তাই বলেন, আর আগামী দিনে কি ঘটতে চলেছে তা তিনি তোমাদের কাছে বলবেন৷
4-John 16:14 : তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কারণ আমি যা বলি তাই তিনি গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন৷
4-John 16:15 : যা কিছু পিতার, তা আমার৷ এই কারণেই আমি বলেছি য়ে সত্যের আত্মা আমার নিকট থেকে সবই গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন৷
4-John 16:16 : আর একটু পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না৷ অল্প একটু পরে আবার আমাকে দেখতে পাবে৷
4-John 16:17 : তখন তাঁর শিষ্যদের মধ্যে কয়েকজন পরস্পরকে বলল, উনি আমাদের কি বলতে চাইছেন, কিছু পরে তোমরা আমায় দেখতে পাবে না, কিছু পরে তোমরা আবার আমায় দেখতে পাবে৷ এ কথারই বা অর্থ কি, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি?
4-John 16:18 : তাঁরা আরও বললেন, তিনি অল্প কিছুকাল পরে বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? তিনি কি বলছেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না৷
4-John 16:19 : তারা তাঁকে কি জিজ্ঞেস করতে চান তা যীশু বুঝতে পারলেন৷ তাই তিনি তাঁদের বললেন, যখন আমি বললাম, অল্প কিছু পরে তোমরা আমায় দেখতে পাবে না, আবার অল্প কিছু পরে আবার আমায় দেখতে পাবে, এর দ্বারা আমি কি বোঝাতে চাইছি এই নিয়েই কি পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করছ?
4-John 16:20 : আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা কাঁদবে, ব্যথিত হবে, কিন্তু জগত সংসার তাতে আনন্দিত হবে৷ তোমরা দুঃখে ভারাক্রান্ত হবে, কিন্তু তোমাদের দুঃখ আনন্দে পরিণত হবে৷
4-John 16:21 : স্ত্রীলোক সন্তান প্রসবের সময় কষ্ট পায়, কারণ তখন তার প্রসব বেদনার সময়; কিন্তু যখন সে সন্তান প্রসব করে, তখন সে তার কষ্টের কথা ভুলে যায়, জগতে একজন জন্মগ্রহণ করল জেনে সে আনন্দিত হয়৷
4-John 16:22 : ঠিক সেই রকম, তোমরাও এখন দুঃখ পাচ্ছ, কিন্তু আমি তোমাদের আবার দেখা দেব, আর তোমাদের হৃদয় তখন আনন্দে ভরে যাবে৷ তোমাদের সেই আনন্দ কেউ তোমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না৷
4-John 16:23 : সেদিন তোমরা আমার কাছে কিছু চাইবে না৷ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা আমার নামে যদি পিতার কাছে কিছু চাও, তিনি তোমাদের তা দেবেন৷
4-John 16:24 : এ পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছু চাও নি৷ তোমরা চাও, তাহলে তোমরা পাবে৷ তোমাদের আনন্দ তখন পূর্ণতায় ভরে যাবে৷
4-John 16:25 : আমি হেঁযালি করে তোমাদের এসব বলেছিলাম৷ সময় আসছে যখন আমি আর হেঁযালি করে তোমাদের কিছু বলব না, বরং পিতার বিষয় সরল ভাষায় তোমাদের কাছে ব্যক্ত করব৷
4-John 16:26 : সেই দিন যা চাইবার তা তোমরা আমার নামেই চাইবে, আর আমি তোমাদের বলছি না য়ে আমি তোমাদের হয়ে পিতার কাছে চাইব৷
4-John 16:27 : না, পিতা নিজেই তোমাদের ভালবাসেন, কারণ তোমরা আমায় ভালবেসেছ এবং তোমরা বিশ্বাস কর য়ে আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছি৷
4-John 16:28 : আমি পিতার কাছ থেকে এই জগতে এসেছি, এখন আমি এ জগত ছেড়ে আবার পিতার কাছে ফিরে যাচ্ছি৷
4-John 16:29 : তাঁর শিষ্যরা বললেন, দেখুন, এখন আপনি স্পষ্টভাবে বলছেন, কোনরকম হেঁযালি করে বলছেন না৷
4-John 16:30 : এখন আমরা বুঝলাম য়ে আপনি সব কিছুই জানেন৷ কোন ব্যক্তি প্রশ্ন করার আগেই আপনি তার উত্তর দিতে পারেন৷ এজন্যই আমরা বিশ্বাস করি য়ে আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন৷
4-John 16:31 : যীশু তাঁদের বললেন, তাহলে তোমরা এখন বিশ্বাস করছ?
4-John 16:32 : শোন, সময় আসছে, বলতে কি এসে পড়েছে, যখন তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে য়ে যার নিজের জায়গায় চলে যাবে, আর আমায় একা ফেলে পালাবে, তবু আমি একা নই, কারণ পিতা আমার সঙ্গে আছেন৷
4-John 16:33 : আমি তোমাদের এসব কথা বললাম যাতে তোমরা আমার মধ্যে শান্তি পাও৷ জগতে তোমরা কষ্ট পাবে, কিন্তু সাহসী হও! আমিই জগতকে জয় করেছি!
4-John 17:1 : এইসব কথা বলার পর যীশু স্বর্গের দিকে তাকিয়ে এই কথা বললেন, পিতা, এখন সময় হয়েছে; তোমার পুত্রকে মহিমান্বিত কর, য়েন তোমার পুত্রও তোমাকে মহিমান্বিত করতে পারেন৷
4-John 17:2 : সমস্ত মানুষের উপর পুত্রকে তুমি অধিকার দিয়েছ যাতে তিনি তাদের সকলকে অনন্ত জীবন দিতে পারেন৷
4-John 17:3 : এই হল অনন্ত জীবন; তারা তোমাকে জানে য়ে তুমি একমাত্র সত্য ঈশ্বর ও তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ সেই যীশু খ্রীষ্টকে জানে৷
4-John 17:4 : তুমি য়ে কাজ করার দাযিত্ব আমায় দিয়েছিলে, তা আমি শেষ করেছি ও পৃথিবীতে তোমাকে মহিমান্বিত করেছি৷
4-John 17:5 : তাই এখন তোমার সান্নিধ্যে আমায় মহিমান্বিত কর৷ হে পিতা, জগত সৃষ্টির পূর্বে তোমার কাছে আমার য়ে মহিমা ছিল, তুমি সেই মহিমায় এখন আমায় মহিমান্বিত কর৷
4-John 17:6 : এই জগতের মধ্যে থেকে তুমি য়ে সব লোকদের আমায় দিয়েছ, আমি তাদের কাছে তোমার পরিচয় দিয়েছি৷ তারা তোমারই ছিল এবং তুমি তাদেরকে আমায় দিয়েছ, আর তারা তোমার শিক্ষানুসারে চলেছে৷
4-John 17:7 : এখন তারা বুঝেছে য়ে তুমি যা কিছু আমায় দিয়েছ তা তোমার কাছ থেকেই এসেছে৷
4-John 17:8 : তুমি আমায় য়ে শিক্ষা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, আর তা তারা গ্রহণও করেছে৷ তারা সত্যিই বুঝেছে য়ে আমি তোমারই কাছ থেকে এসেছি, আর তারা বিশ্বাস করে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ৷
4-John 17:9 : আমি তাদের জন্য এখন প্রার্থনা করছি৷ আমি সারা জগতের জন্য প্রার্থনা করছি না, কেবল সেই সকল লোকদের জন্য প্রার্থনা করছি যাদের তুমি দিয়েছ, কারণ তারা তোমার৷
4-John 17:10 : আমার যা কিছু তা তোমার, আর তোমার যা তা আমার৷ আর এদের মাধ্যমে আমি মহিমান্বিত হয়েছি৷
4-John 17:11 : আমি আর এই জগতে থাকছি না, কিন্তু তারা এই জগতে থাকছে, আমি তোমারই কাছে যাচ্ছি৷ পবিত্র পিতা, য়ে নাম তুমি আমায় দিয়েছ, তোমার সেই নামের শক্তিতে তুমি তাদের রক্ষা কর৷ আমরা য়েমন এক, তেমনি তারা য়েন সকলে এক হতে পারে৷
4-John 17:12 : আমি যখন তাদের সঙ্গে ছিলাম, আমি তাদের নিরাপদে রেখেছিলাম৷ তুমি আমায় য়ে নাম দিয়েছ সেই নামের শক্তিতে তখন আমি তাদের রক্ষা করেছিলাম৷ আমি তাদের সাবধানে রক্ষা করেছি৷ তাদের মধ্যে কেউ বিনষ্ট হয় নি, একমাত্র ব্যতিক্রম সেই লোকটি, ধ্বংস হওযাই যার পরিণতি৷ শাস্ত্রের কথা সফল করার জন্যেই এই পরিণতি৷
4-John 17:13 : এখন আমি তোমার কাছে আসছি, কিন্তু এই জগতে থাকতে থাকতে আমি এসব কথা বলছি, য়েন তারা আমার য়ে আনন্দ তা পরিপূর্ণরূপে পায়৷
4-John 17:14 : আমি তাদের তোমার শিক্ষা জানিয়েছি, কিন্তু জগত সংসার তাদের ঘৃণা করে, কারণ তারা এই জগতের নয়, য়েমন আমিও এই জগতের নই৷
4-John 17:15 : তাদের এই জগত থেকে নিয়ে যাবার জন্য আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি না, কিন্তু তাদের মন্দ শক্তির হাত থেকে রক্ষা কর৷
4-John 17:16 : তারা এই জগতের নয়, য়েমন আমিও এ জগতের নই৷
4-John 17:17 : সত্যের দ্বারা তোমার সেবার জন্য তুমি তাদের পবিত্র কর৷ তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ৷
4-John 17:18 : তুমি য়েমন এ জগতে আমাকে পাঠিয়েছ, আমিও তাদের তেমনি জগতের মাঝে পাঠিয়েছি৷
4-John 17:19 : তাদের জন্য আমি তোমার সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছি, য়েন তারাও সত্যের মাধ্যমে তোমার সেবায় নিজেদের নিযুক্ত করতে পারে৷
4-John 17:20 : আমি কেবল এদের জন্যই প্রার্থনা করছি না, এদের শিক্ষার মধ্য দিয়ে যাঁরা আমায় বিশ্বাস করবে তাদের জন্যও করছি৷
4-John 17:21 : পিতা, য়েমন তুমি আমাতে রয়েছ, আর আমি তোমাতে রয়েছি, তেমনি তারাও য়েন এক হয়৷ তারা য়েন আমাদের মধ্যে থাকে যাতে জগত সংসার বিশ্বাস করে য়ে তুমি আমাকে পাঠিয়েছ৷
4-John 17:22 : আর তুমি আমায় য়ে মহিমা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, যাতে আমরা য়েমন এক, তারাও তেমনি এক হতে পারে৷
4-John 17:23 : আমি তাদের মধ্যে, আর তুমি আমার মধ্যে থাকবে, এইভাবে তারা য়েন সম্পূর্ণভাবে এক হয়৷ জগত যাতে জানে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ৷ আর তুমি য়েমন আমায় ভালবেসেছ, তেমনি তুমি তাদেরও ভালবেসেছ৷
4-John 17:24 : পিতা, আমি চাই, আমি য়েখানে আছি, তুমি যাদের আমায় দিয়েছ, তারাও য়েন আমার সঙ্গে সেখানে থাকে৷ আর তুমি আমায় য়ে মহিমা দিয়েছ তারা আমার সেই মহিমা য়েন দেখতে পায়, কারণ জগত সৃষ্টির আগেই তুমি আমায় ভালবেসেছ৷
4-John 17:25 : ন্যায়বান পিতা, জগত তোমায় জানে না, কিন্তু আমি তোমায় জানি৷ আর আমার এই শিষ্যরা জানে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ৷
4-John 17:26 : তুমি কে আমি তাদের কাছে তা প্রকাশ করেছি, আর এরপরেও আমি তাদের কাছে তা করতেই থাকব৷ তাহলে তুমি আমায় য়েমন ভালবেসেছ, তারা একইভাবে অন্যদের ভালবাসবে আর আমি তাদের মধ্যেই থাকব৷
4-John 18:1 : এই প্রার্থনার পর যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে কিদ্রোণ উপত্যকার ওপারে চলে গেলেন৷ সেখানে একটি বাগান ছিল৷ যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে সেই বাগানের মধ্যে ঢুকলেন৷
4-John 18:2 : যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে প্রায়ই সেখানে আসতেন৷ এইজন্য যিহূদা সেই স্থানটি জানত৷ এই যিহূদা যীশুর সঙ্গে প্রতারণা করেছিল৷
4-John 18:3 : সে ফরীশীদের ও প্রধান যাজকদের কাছ থেকে একদল সৈনিক ও কিছু রক্ষী নিয়ে সেখানে এল৷ তাদের হাতে ছিল মশাল, লন্ঠন ও নানা অস্ত্র৷
4-John 18:4 : তখন যীশু, তাঁর প্রতি কি ঘটতে চলেছে সে সবই তাঁর জানা থাকার ফলে এগিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা কাকে খুঁজছ?
4-John 18:5 : তারা তাঁকে বলল, নাসরতীয় যীশুকে৷যীশু বললেন, আমিই তিনি৷ য়ে যিহূদা যীশুর বিরুদ্ধে গিয়েছিল সেও তাদেরই সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল৷
4-John 18:6 : তিনি যখন তাদের বললেন, আমিই তিনি৷ তখন তারা পিছু হটে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল৷
4-John 18:7 : তাই আবার একবার তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কাকে খুঁজছ?তারা বলল, নাসরতীয় যীশুকে৷
4-John 18:8 : এর উত্তরে যীশু বললেন, আমি তো তোমাদের আগেই বলেছি, আমিই তিনি৷ সুতরাং যদি তোমরা আমাকেই খুঁজছ, তাহলে এদের য়েতে দাও৷
4-John 18:9 : এটা ঘটল যাতে তাঁর আগের বক্তব্য যথার্থ প্রতিপন্ন হয়, তুমি আমায় যাদের দিয়েছ তাদের কাউকে আমি হারাই নি৷
4-John 18:10 : তখন শিমোন পিতরের কাছে একটা তরোয়াল থাকায় তিনি সেটা টেনে বের করে মহাযাজকের চাকরকে আঘাত করে তার ডান কান কেটে ফেললেন৷ সেই চাকরের নাম মল্ক৷
4-John 18:11 : তখন যীশু পিতরকে বললেন, তোমার তরোযাল খাপে ভরো, য়ে পানপাত্র পিতা আমায় দিয়েছেন, আমাকে তা পান করতেই হবে৷
4-John 18:12 : এরপর সৈন্যরা ও তাদের সেনাপতি এবং ইহুদী রক্ষীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করে বেঁধে প্রথমে হাননের কাছে নিয়ে গেল৷
4-John 18:13 : সেই বছর যিনি মহাযাজক ছিলেন৷ সেই কায়াফার শ্বশুর এই হানন৷
4-John 18:14 : এই কাযাফা ইহুদী নেতাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন য়ে, জনস্বার্থে এক জনের মরণ হওযা ভালো৷
4-John 18:15 : শিমোন পিতর ও আর একজন শিষ্য যীশুর পেছনে পেছনে গেলেন৷ এই শিষ্যর সঙ্গে মহাযাজকের চেনা পরিচয় ছিল, তাই তিনি যীশুর সঙ্গে মহাযাজকের বাড়ির উঠোনে ঢুকলেন; কিন্তু পিতর ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে রইলেন৷
4-John 18:16 : তখন মহাযাজকের পরিচিত শিষ্য বাইরে এসে য়ে বালিকাটি ফটক পাহারায় ছিল তাকে বলে পিতরকে ভেতরে নিয়ে গেলেন৷
4-John 18:17 : তখন দ্বাররক্ষীরা পিতরকে বলল, তুমিও সেই লোকটার শিষ্যদের মধ্যে একজন নও কি?পিতর বললেন, না, আমি নই!
4-John 18:18 : চাকররা ও মন্দিরের রক্ষীরা শীতের জন্য কাঠ কয়লার আগুন তৈরী করে তার চারপাশে দাঁড়িয়ে আগুন পোযাচ্ছিল৷ পিতরও তাদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে আগুন পোযাচ্ছিলেন৷
4-John 18:19 : এরপর মহাযাজক যীশুকে তাঁর শিষ্যদের বিষয়ে ও তাঁর শিক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করতে লাগলেন৷
4-John 18:20 : যীশু এর উত্তরে তাঁকে বললেন, আমি সর্বদাই সকলের কাছে প্রকাশ্যে কথা বলেছি৷ আমি মন্দিরের মধ্যে ও সমাজ - গৃহেতে য়েখানে ইহুদীরা একসঙ্গে সমবেত হয় সেখানে সব সময় শিক্ষা দিয়েছি৷ আর আমি কখনও কোন কিছু গোপনে বলিনি৷
4-John 18:21 : তোমরা আমায় কেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করছ? যাঁরা আমার কথা শুনেছে তাদেরই জিজ্ঞেস কর আমি তাদের কি বলেছি৷ আমি কি বলেছি তারা নিশ্চয়ই জানবে!
4-John 18:22 : তিনি যখন একথা বলছেন, তখন সেই মন্দির রক্ষীবাহিনীর একজন য়ে সেখানে দাঁড়িয়েছিল সে যীশুকে এক চড় মেরে বলল, তোর কি সাহস, তুই মহাযাজককে এরকম জবাব দিলি!
4-John 18:23 : এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, আমি যদি অন্যায় কিছু বলে থাকি, তবে সকলকে বল কি অন্যায় বলেছি; কিন্তু আমি যদি সত্যি কথা বলে থাকি তাহলে তোমরা আমায় মারছ কেন?
4-John 18:24 : এরপর হানন, যীশুকে মহাযাজক কায়াফার কাছে পাঠিয়ে দিলেন৷ যীশু তখনও বাঁধা অবস্থায় ছিলেন৷
4-John 18:25 : এদিকে শিমোন পিতর সেখানে দাঁড়িয়ে আগুন পোযাচ্ছিলেন, লোকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, তুমিও কি ওর শিষ্যদের মধ্যে একজন? কিন্তু তিনি একথা অস্বীকার করে বললেন, না, আমি নই৷
4-John 18:26 : মহাযাজকের একজন চাকর, পিতর যার কান কেটে ফেলেছিলেন তার এক আত্মীয় বলল, আমি ওর সঙ্গে তোমাকে সেই বাগানের মধ্যে দেখেছি, ঠিক বলেছি না?
4-John 18:27 : তখন পিতর আবার একবার অস্বীকার করলেন; আর তখনই মোরগ ডেকে উঠল৷
4-John 18:28 : এরপর তারা যীশুকে কায়াফার বাড়ি থেকে রাজ্যপালের প্রাসাদে নিয়ে গেল৷ তখন ভোর হয়ে গিয়েছিল৷ তারা নিজেরা রাজ্যপালের প্রাসাদের ভেতরে য়েতে চাইল না, পাছে অশুচিহয়ে পড়ে, কারণ তারা নিস্তারপর্বের ভোজ খেতে চাইছিল৷
4-John 18:29 : তারপর রাজ্যপাল পীলাত তাদের সামনে বেরিয়ে এসে বললেন, তোমরা এই লোকটার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ এনেছ?
4-John 18:30 : এর উত্তরে তারা পীলাতকে বলল, এই লোক যদি দোষী না হত, তাহলে আমরা তোমার হাতে একে তুলে দিতাম না৷
4-John 18:31 : তখন পীলাত তাদের বললেন, একে নিয়ে যাও এবং তোমাদের বিধি - ব্যবস্থা অনুসারে এর বিচার কর৷ ইহুদীর তাকে বলল, আমরা কাউকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারি না৷
4-John 18:32 : কিভাবে তাঁর মৃত্যু হবে সে বিষয়ে যীশু যা ইঙ্গিত করেছিলেন তা পূরণ করতেই এই ঘটনাগুলি ঘটল৷
4-John 18:33 : তখন পীলাত আবার প্রাসাদের মধ্যে গিয়ে যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি ইহুদীদের রাজা?
4-John 18:34 : যীশু বললেন, তুমি কি নিজে থেকে একথা বলছ, অথবা অন্য কেউ আমার বিষয়ে তোমাকে বলেছে?
4-John 18:35 : পীলাত বললেন, আমি কি ইহুদী? তোমার নিজের লোকেরা ও প্রধান যাজকেরা তোমাকে আমার হাতে সঁপে দিয়েছে৷ তুমি কি করেছ?
4-John 18:36 : যীশু বললেন, আমার রাজ্য এই জগতের নয়৷ যদি আমার রাজ্য এই জগতের হত তাহলে আমার লোকেরা ইহুদীদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করত; কিন্তু না, আমার রাজ্য এখানকার নয়৷
4-John 18:37 : তখন পীলাত তাঁকে বললেন, তাহলে তুমি একজন রাজা?যীশু এর উত্তরে বললেন, আপনি বলছেন য়ে আমি রাজা৷ আমি এই জন্যই জন্মেছিলাম, আর এই উদ্দেশ্যেই আমি জগতে এসেছি, য়েন সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিই৷ য়ে কেউ সত্যের পক্ষে আছে, সে আমার কথা শোনে৷
4-John 18:38 : পীলাত তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, সত্য কি? এই কথা জিজ্ঞেস করে তিনি পুনরায় ইহুদীদের কাছে গেলেন, আর তাদের বললেন, আমি তো এই লোকটির মধ্যে কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না?
4-John 18:39 : কিন্তু তোমাদের এমন এক রীতি আছে, সেই অনুসারে নিস্তারপর্বের সময়ে একজন বন্দীকে মুক্তি দিয়ে থাকি৷ বেশ তোমাদের কি ইচ্ছা, আমি তোমাদের জন্য ইহুদীদের রাজাকে ছেড়ে দেব?
4-John 18:40 : তারা আবার চিত্‌কার করে বলল, একে নয়! বারাব্বাকে! এই বারাব্বা ছিল একজন বিদ্রোহী৷
4-John 19:1 : তখন পীলাত আদেশ দিলেন য়ে যীশুকে চাবুক মারার জন্য নিয়ে যাওযা হোক৷
4-John 19:2 : সেনারা কাঁটালতা দিয়ে একটা মুকুট তৈরী করে সেটা যীশুর মাথায় পরিয়ে দিল৷ তারা যীশুকে বেগুনে রঙের পোশাক পরাল,
4-John 19:3 : এরপর তাঁর কাছে এগিয়ে এসে বলতে লাগল, ইহুদীদের রাজা দীর্ঘজীবি হোক! এই বলে তারা তাঁর গালে চড় মারতে লাগল৷
4-John 19:4 : পীলাত আর একবার বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের বললেন, শোন, আমি যীশুকে তোমাদের সামনে নিয়ে আসছি৷ আমি চাই য়ে, তোমরা বুঝবে আমি এর কোনই দোষ খুঁজে পাচ্ছি না৷
4-John 19:5 : এরপর যীশু বাইরে এলেন, তখন তাঁর মাথায় কাঁটার মুকুট ও পরণে বেগুনে পোশাক ছিল৷ পীলাত তাদের বললেন, এই দেখ, সেই মানুষ!
4-John 19:6 : প্রধান যাজকরা ও মন্দিরের রক্ষীরা যীশুকে দেখে চিত্‌কার করে বলল, ওকে ক্রুশে দাও, ক্রুশে দিয়ে ওকে মেরে ফেল!পীলাত তাদের বললেন, তোমরা নিজেরাই একে নিয়ে গিয়ে ক্রুশে দাও, কারণ আমি এর কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না৷
4-John 19:7 : ইহুদীরা তাঁকে বলল, আমাদের য়ে বিধি - ব্যবস্থা আছে, সেই ব্যবস্থানুসারে ওর প্রাণদণ্ড হওযা উচিত, কারণ ও নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বলে দাবী করে৷
4-John 19:8 : এই কথা শুনে পীলাত ভীষণ ভয় পেয়ে গেলেন৷
4-John 19:9 : তিনি আবার প্রাসাদের মধ্যে গেলেন৷ পীলাত যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? কিন্তু যীশু এর কোন উত্তর দিলেন না৷
4-John 19:10 : তখন পীলাত যীশুকে বললেন, তুমি কি আমার সঙ্গে কথা বলতে চাও না? তুমি কি জান না য়ে তোমাকে মুক্তি দেওযার বা ক্রুশে বিদ্ধ করে মারবার ক্ষমতা আমার আছে?
4-John 19:11 : এর উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, ঈশ্বর না দিলে আমার ওপর আপনার কোন ক্ষমতা থাকত না৷ তাই য়ে লোক আমাকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছে সে আরও বড় পাপে পাপী৷
4-John 19:12 : একথা শুনে পীলাত তাঁকে ছেড়ে দেবার জন্য চেষ্টা করলেন, কিন্তু ইহুদীরা চিত্‌কার করল, যদি তুমি ওকে ছেড়ে দাও, তাহলে তুমি কৈসরের বন্ধু নও৷ য়ে কেউ নিজেকে রাজা বলবে, বুঝতে হবে সে কৈসরের বিরোধিতা করছে৷
4-John 19:13 : এই কথা শোনার পর পীলাত যীশুকে আবার বাইরে নিয়ে এলেন ও বিচারালয়ে বসলেন৷ এই বিচারাসন ছিল পাথরে বাঁধানো নামে জায়গাতে৷ ইহুদীদের ভাষায় একে গব্বথা বলে৷
4-John 19:14 : সেই দিনটা ছিল নিস্তারপর্ব আযোজনের দিন৷তখন প্রায় বেলা বারোটা, পীলাত ইহুদীদের বললেন, এই দেখ, তোমাদের রাজা৷
4-John 19:15 : তখন তারা চিত্‌কার করতে লাগল, ওকে দূর কর! দূর কর! ওকে ক্রুশে দিয়ে মার!পীলাত তাদের বললেন, আমি কি তোমাদের রাজাকে ক্রুশে দেব?প্রধান যাজকেরা জবাব দিলেন, কৈসর ছাড়া আমাদের আর কোন রাজা নেই৷
4-John 19:16 : তখন পীলাত যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মারবার জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেন৷শেষ পর্যন্ত তারা যীশুকে হাতে পেল৷
4-John 19:17 : যীশু তাঁর নিজের ক্রুশ বইতে বইতে মাথার খুলি নামে এক জায়গায় গেলেন৷ ইহুদীদের ভাষায় যাকে বলা হোত গলগথা৷
4-John 19:18 : সেখানে তারা যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করল৷ তাঁর সঙ্গে তাঁর দুপাশে আরও দুজনকে ক্রুশে দিল, যীশু ছিলেন তাদের মাঝখানে৷
4-John 19:19 : পীলাত যীশুর মাথার দিকে ক্রুশের ওপর একটি ফলক টাঙ্গিয়ে দিলেন৷ সেই ফলকে লেখা ছিল, নাসরতীয় যীশু, ইহুদীদের রাজা৷
4-John 19:20 : তখন অনেক ইহুদী সেই ফলকটি পড়ল, কারণ যীশুকে য়েখানে ক্রুশে দেওযা হয়েছিল তা নগরের কাছেই ছিল, আর সেই ফলকের লেখাটি ইহুদীদের ভাষা, গ্রীক ও ল্য়াটিন ভাষায় ছিল৷
4-John 19:21 : ইহুদীদের প্রধান যাজকেরা পীলাতকে বললেন, ইহুদীদের রাজা লিখো না, তার পরিবর্তে লেখো, এই লোক বলেছিল, আমি ইহুদীদের রাজা৷”
4-John 19:22 : পীলাত বললেন, আমি যা লিখেছি তা লিখেছি৷
4-John 19:23 : যীশুকে ক্রুশে দিয়ে সেনারা যীশুর সমস্ত পোশাক নিয়ে চারভাগে ভাগ করে প্রত্যেকে এক এক ভাগ নিল৷ আর তাঁর উপরের লম্বা পোশাকটিও নিল, এটিতে কোন সেলাই ছিল না, ওপর থেকে নীচে পর্যন্ত সমস্তটাই বোনা৷
4-John 19:24 : তাই তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, এটাকে আর ছিঁড়ব না৷ আমরা বরং ঘুঁটি চেলে দেখি কে ওটা পায়৷ শাস্ত্রের এই বাণী এইভাবে ফলে গেল:তারা নিজেদের মধ্যে আমার পোশাক ভাগ করে নিল, আর আমার পোশাকের জন্য ঘুঁটি চালল৷গীতসংহিতা 22 : 18 সৈনিকরা তাই করল৷
4-John 19:25 : যীশুর ক্রুশের কাছে তাঁর মা, মাসীমা ক্লোপার স্ত্রী মরিয়ম ও মরিয়ম মগ্দলিনী দাঁড়িয়েছিলেন৷
4-John 19:26 : যীশু তাঁর মাকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন আর য়ে শিষ্যকে তিনি ভালোবাসতেন, দেখলেন তিনিও সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন৷ তখন তিনি তাঁর মাকে বললেন, হে নারী, ঐ দেখ তোমার ছেলে৷
4-John 19:27 : পরে তিনি তাঁর সেই শিষ্যকে বললেন, ঐ দেখ, তোমার মা৷ আর তখন থেকে তাঁর মাকে সেই শিষ্য নিজের বাড়িতে রাখার জন্য নিয়ে গেলেন৷
4-John 19:28 : এরপর যীশু বুঝলেন য়ে সবকিছু এখন সম্পন্ন হয়েছে৷ শাস্ত্রের সকল বাণী য়েন সফল হয় তাই তিনি বললেন, আমার পিপাসা পেয়েছে৷
4-John 19:29 : সেখানে একটা পাত্রে সিরকা ছিল, তাই সৈন্যরা একটা স্পঞ্জ সেই সিরকায় ডুবিয়ে এসোব নলে করে তা যীশুর মুখের কাছে ধরল৷
4-John 19:30 : যীশু সেই সিরকার স্বাদ নেবার পর বললেন, সমাপ্ত হল! এরপর তিনি মাথা নীচু করে প্রাণ ত্যাগ করলেন৷
4-John 19:31 : ঐ দিনটা ছিল আযোজনের দিন৷ য়েহেতু বিশ্রামবার একটি বিশেষ দিন, ইহুদীরা চাইছিল না য়ে দেহগুলি ক্রুশের ওপরে থাকে৷ তাই ইহুদীরা পীলাতের কাছে গিয়ে তাঁকে আদেশ দিতে অনুরোধ করল, য়েন ক্রুশবিদ্ধ লোকদের পা ভেঙ্গে দেওযা হয় যাতে তাড়াতাড়ি তাদের মৃত্যু হয় এবং মৃতদেহগুলি ঐ দিনই ক্রুশ থেকে নামিয়ে ফেলা যায়৷
4-John 19:32 : সুতরাং সেনারা এসে প্রথম লোকটির পা ভাঙ্গল, আর তার সঙ্গে যাকে ক্রুশে দেওযা হয়েছিল তারও পা ভাঙ্গল৷
4-John 19:33 : কিন্তু তারা যীশুর কাছে এসে দেখল য়ে তিনি মারা গেছেন, তখন তাঁর পা ভাঙ্গল না৷
4-John 19:34 : কিন্তু একজন সৈনিক যীশুর পাঁজরের নীচে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করল, আর সঙ্গে সঙ্গে সেখান দিয়ে রক্ত ও জল বেরিয়ে এল৷
4-John 19:35 : এই ঘটনা য়ে দেখল সে এবিষয়ে সাক্ষ্য দিল তা আপনারা সকলেই বিশ্বাস করতে পারেন, আর তার সাক্ষ্য সত্য৷ আর সে জানে য়ে সে যা বলছে তা সত্য৷
4-John 19:36 : এই সকল ঘটনা ঘটল যাতে শাস্ত্রের এই কথা পূর্ণ হয়: তাঁর একটি অস্থিও ভাঙ্গবে না৷
4-John 19:37 : আবার শাস্ত্রে আর এক জায়গায় আছে, তারা যাঁকে বিদ্ধ করেছে তাঁরই দিকে দৃষ্টিপাত করবে৷
4-John 19:38 : এরপর অরিমাথিযার য়োষেফ যিনি যীশুর শিষ্য ছিলেন, কিন্তু ইহুদীদের ভয়ে তা গোপনে রাখতেন, তিনি যীশুর দেহটি নিয়ে যাবার জন্য পীলাতের কাছে অনুমতি চাইলেন৷ পীলাত তাঁকে অনুমতি দিলে তিনি এসে যীশুর দেহটি নামিয়ে নিয়ে গেলেন৷
4-John 19:39 : নীকদীমও এসেছিলেন (য়োষেফের সঙ্গে)৷ এই সেই ব্যক্তি যিনি যীশুর কাছে আগে একরাতের অন্ধকারে দেখা করতে এসেছিলেন৷ নীকদীম আনুমানিক ত্রিশ কিলোগ্রাম গন্ধ - নির্যাস মেশানো অগুরুর প্রলেপ নিয়ে এলেন৷
4-John 19:40 : এরপর ইহুদীদের কবর দেওযার রীতি অনুসারে যীশুর দেহে সেই প্রলেপ মাখিয়ে তাঁরা তা মসীনার কাপড় দিয়ে জড়ালেন৷
4-John 19:41 : যীশু সেখানে ক্রুশ বিদ্ধ হয়েছিলেন, তার কাছে একটি বাগান ছিল, সেই বাগানে একটি নতুন কবর ছিল সেখানে আগে কাউকে কখনও কবর দেওযা হয় নি৷
4-John 19:42 : এই কবরটি নিকটেই ছিল, যীশুর দেহ তাঁরা সেই কবরেব মধ্যে রাখলেন, কারণ ইহুদীদের বিশ্রামের দিনটি শুরু হতে চলেছিল৷
4-John 20:1 : রবিবার দিন সকাল সকাল মরিয়ম মগ্দলিনী সেই সমাধির কাছে গেলেন, য়েখানে যীশুর দেহ রাখা ছিল৷ তখনও অন্ধকার ছিল৷ তিনি দেখলেন য়ে সমাধি গুহার মুখে য়ে বড় পাথরখানি ছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে৷
4-John 20:2 : তখন তিনি শিমোন পিতর ও যীশুর সেই শিষ্য যাকে যীশু ভালোবাসতেন তাঁদেব কাছে ছুটে গেলেন৷ মরিয়ম বললেন, তারা প্রভুকে সমাধি থেকে তুলে নিয়ে গেছে৷ আমরা কেউ জানি না, তারা কোথায় তাঁকে রেখেছে!
4-John 20:3 : তখন পিতর ও সেই অন্য শিষ্য সেখান থেকে বেরিয়ে সমাধির কাছে গেলেন৷
4-John 20:4 : তাঁরা দুজনে এক সঙ্গে দৌড়াতে লাগলেন, কিন্তু সেই অন্য শিষ্য পিতরের থেকে আগে দৌড়ে সেই সমাধির কাছে প্রথমে পৌঁছালেন৷
4-John 20:5 : তিনি ঝুঁকে পড়ে দেখলেন, সেখানে সেই মসীনার কাপড়গুলি পড়ে আছে, তবু ভেতরে গেলেন না৷
4-John 20:6 : শিমোন পিতর যিনি তাঁর পেছনে পেছনে আসছিলেন তিনিও এসে পৌঁছালেন আর সমাধি গুহার মধ্যে ঢুকলেন৷ তিনি দেখলেন, মসীনার সেই কাপড়গুলি সেখানে পড়ে আছে৷
4-John 20:7 : আর কবর দেবার য়ে কাপড়টি দিয়ে যীশুর মুখ ও মাথা ঢাকা ছিল, সেটি ঐ মসীনার কাপড়ের সঙ্গে নেই, তা গোটানো অবস্থায় এক পাশে পড়ে আছে৷
4-John 20:8 : এরপর সেই শিষ্য যিনি প্রথমে সমাধির কাছে গিয়েছিলেন তিনিও ভেতরে ঢুকলেন এবং সবকিছু দেখে বিশ্বাস করলেন৷
4-John 20:9 : কারণ শাস্ত্রে একথা বলা হয়েছে য়ে মৃতদের মধ্য থেকে তাঁকে অবশ্যই পুনরুত্থিত হতে হবে৷ সেটি তাঁরা তখনও বোঝেন নি৷
4-John 20:10 : এরপর সেই শিষ্যরা নিজেদের জায়গায় ফিরে গেলেন৷
4-John 20:11 : মরিয়ম কিন্তু সমাধির বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন৷ তিনি কাঁদতে কাঁদতে ঝুঁকে পড়ে সমাধির ভেতরটা লক্ষ্য করলেন৷
4-John 20:12 : আর দেখলেন শুভ্র পোশাক পরে দুজন স্বর্গদূত যীশুর দেহ য়েখানে শোযানো ছিল সেখানে বসে আছেন৷ একজন তাঁর মাথার দিকে, আর একজন তাঁর পায়ের দিকে৷
4-John 20:13 : তাঁরা মরিয়মকে বললেন, নারী, তুমি কাঁদছ কেন?মরিয়ম তাঁদের বললেন, তারা আমার প্রভুকে নিয়ে গেছে, আর আমি জানি না তাঁকে কোথায় রেখেছে৷
4-John 20:14 : একথা বলতে বলতে তিনি যীশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন কিন্তু চিনতে পারলেন না য়ে উনি যীশু৷
4-John 20:15 : যীশু তাঁকে বললেন, নারী, তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কাকে খুঁজছ?মরিয়ম তাঁকে বাগানের মালী মনে করে বললেন, মহাশয়, আপনি যদি তাঁকে নিয়ে গিয়ে থাকেন তবে আমায় বলুন তাঁকে কোথায় রেখেছেন, আমি তাঁকে নিয়ে যাব৷
4-John 20:16 : যীশু তাঁকে বললেন, মরিয়ম৷তিনি ফিরে তাকালেন, আর তাঁকে ইহুদীদের ভাষায় বললেন, রব্বি যার অর্থ গুরু৷
4-John 20:17 : যীশু তাঁকে বললেন, আমাকে ধরো না, কারণ আমি উর্দ্ধে পিতার কাছে এখনও যাইনি৷ কিন্তু তুমি আমার ভাইদের কাছে যাও, আর তাদের বল, যিনি আমার পিতা ও তোমাদের পিতা আর আমার ঈশ্বর ও তোমাদের ঈশ্বর, উর্দ্ধে আমি তাঁর কাছে যাচ্ছি৷”
4-John 20:18 : তখন মরিয়ম মগ্দলিনী শিষ্যদের কাছে গিয়ে এই খবর জানিয়ে বললেন, আমি প্রভুকে দেখেছি! আর জানালেন য়ে প্রভু তাঁকে এই কথা বলেছেন৷
4-John 20:19 : দিনটা ছিল রবিবার, সেদিন সন্ধ্যায় শিষ্যরা একটি ঘরে জড়ো হলেন৷ ইহুদীদের ভয়ে তাঁরা ঘরের দরজায় চাবি দিয়ে দিলেন৷ এমন সময় যীশু এসে তাঁদের মাঝে দাঁড়ালেন, আর বললেন, তোমাদের শান্তি হোক৷
4-John 20:20 : একথা বলার পর তিনি তাঁদেরকে তাঁর হাত ও পাঁজরের পাশটা দেখালেন৷ শিষ্যেরা প্রভুকে দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত হলেন৷
4-John 20:21 : এরপর যীশু আবার তাঁদের বললেন, তোমাদের শান্তি হোক! পিতা য়েমন আমাকে পাঠিয়েছেন, আমিও তেমনি তোমাদের পাঠাচ্ছি৷
4-John 20:22 : এই বলে তিনি তাঁদের ওপর ফুঁ দিলেন, আর বললেন, তোমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর৷
4-John 20:23 : যদি তোমরা কোন লোকের পাপ ক্ষমা কর, তবে তাদের পাপ ক্ষমা পাবে, আর যদি কারো পাপ ক্ষমা না কর তার পাপের ক্ষমা হবে না৷
4-John 20:24 : কিন্তু যীশু যখন সেখানে এসেছিলেন তখন সেই বারোজন শিষ্য়ের একজন থোমা,যাঁর অপর নাম দিদুমঃ তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না৷
4-John 20:25 : অন্য শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, আমরা প্রভুকে দেখেছি! কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, আমি যদি তাঁর দুহাতে পেরেকের চিহ্ন না দেখি, আর সেই পেরেক বিদ্ধ জায়গায় আমার আঙ্গুল না দিই, আর তাঁর পাঁজরের নীচে আমার হাত না দিই, তাহলে আমি কিছুতেই বিশ্বাস করব না৷
4-John 20:26 : এক সপ্তাহ পর তাঁর শিষ্যরা আবার একটি ঘরের মধ্যে ছিলেন, আর সেদিন থোমা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন৷ ঘরেব দরজাগুলি তখন চাবি দেওযা ছিল৷ এমন সময়ে যীশু সেখানে এলেন ও তাঁদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বললেন, তোমাদের শান্তি হোক৷
4-John 20:27 : এরপর তিনি থোমাকে বললেন, এখানে তোমার আঙ্গুল দাও, আর আমার হাত দুটি দেখ৷ তোমার হাত বাড়িয়ে আমার পাঁজরের নীচে দাও৷ সন্দেহ কোরো না, বিশ্বাস কর৷
4-John 20:28 : এর উত্তরে থোমা তাঁকে বললেন, প্রভু, আমার, ঈশ্বর আমার৷
4-John 20:29 : যীশু তাঁকে বললেন, তুমি আমায় দেখেছ তাই বিশ্বাস করেছ৷ ধন্য তারা, যাঁরা আমাকে না দেখেও বিশ্বাস করে৷
4-John 20:30 : যীশু তাঁর শিষ্যদের সামনে আরো অনেক অলৌকিক চিহ্নকার্য় করেছিলেন, যা এই বইতে সব লেখা হয় নি৷
4-John 20:31 : কিন্তু এসব লেখা হয়েছে যাতে তোমরা বিশ্বাস করতে পার য়ে যীশুই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র; আর এই বিশ্বাসের দ্বারা তাঁর নামের মধ্য দিয়ে তোমরা সকলে য়েন শাশ্বত জীবন লাভ করতে পার৷
4-John 21:1 : এরপর তিবিরিযা হ্রদের ধারে যীশু আবার তাঁর শিষ্যদের দেখা দিলেন৷ এইভাবে তিনি দেখা দিয়েছিলেন:
4-John 21:2 : শিমোন পিতর, থোমা য়াঁর অপর নাম দিদুমঃ, গালীলের কান্নাবাসী নথনেল, সিবদিয়ের ছেলেরা ও অপর দুজন শিষ্য, এঁরা সকলে এক জায়গায় ছিলেন৷
4-John 21:3 : শিমোন পিতর তাঁদের বললেন, আমি মাছ ধরতে যাচ্ছি৷অপর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, আমরাও তোমার সঙ্গে যাব৷ তাঁরা সকলে বেরিয়ে গেলেন এবং নৌকায় গিয়ে উঠলেন, কিন্তু সেই রাত্রে তাঁরা কিছুই ধরতে পারলেন না৷
4-John 21:4 : এইভাবে যখন ভোর হয়ে আসছে, এমন সময় যীশু তীরে এসে দাঁড়ালেন; কিন্তু শিষ্যরা তাঁকে চিনতে পারলেন না য়ে তিনি যীশু৷
4-John 21:5 : যীশু তাঁদের বললেন, বাছারা, কিছু মাছ পেলে?শিষ্যরা বললেন, না৷
4-John 21:6 : তিনি তাঁদের বললেন, নৌকার ডান দিকে জাল ফেল তাহলে তোমরা কিছু মাছ পাবে৷ সেইভাবে তাঁরা জাল ফেললে জালে এত মাছ পড়ল য়ে তাঁরা তা টেনে তুলতে পারলেন না৷
4-John 21:7 : তখন য়ে শিষ্যকে যীশু বেশী ভালবাসতেন, তিনি পিতরকে বললেন, উনি প্রভু! তাই শিমোন যখন শুনলেন য়ে উনি প্রভু, তখন তিনি গায়ের উপর একটা কাপড় জড়িয়ে নিলেন কারণ তিনি তখন কাজের সুবিধার জন্য খালি গায়ে ছিলেন ও হ্রদের জলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন৷
4-John 21:8 : কিন্তু অন্যান্য শিষ্যরা নৌকাতে করে তীরে এলেন৷ তাঁরা মাছ ভর্তি জালটা টেনে আনছিলেন৷ তাঁরা তীর থেকে বেশী দূরে ছিলেন না, প্রায় তিনশো ফুট দূরে ছিলেন৷
4-John 21:9 : ডাঙ্গায় উঠে তাঁরা দেখলেন সেখানে কাঠ কয়লার আগুন জ্বলছে, তার ওপর কিছু মাছ আর রুটিও আছে৷
4-John 21:10 : যীশু তাঁদের বললেন, তোমরা এখন য়ে মাছ ধরলে তার থেকে কিছু নিয়ে এস৷
4-John 21:11 : শিমোন পিতর উঠে নৌকায় গেলেন এবং জাল টেনে তীরে তুললেন, সেই জালে একশো তিপান্নটা বড় মাছ ছিল, আর এত মাছেতেও সেই জাল ছেঁড়েনি৷
4-John 21:12 : যীশু তাঁদের বললেন, এখানে এসে সকালের জলখাবার খেয়ে নাও৷ কিন্তু শিষ্যদের মধ্যে কারোর জিজ্ঞাসা করার সাহস হল না, আপনি কে? কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন য়ে তিনিই প্রভু৷
4-John 21:13 : যীশু গিয়ে সেই রুটি নিয়ে তাঁদের দিলেন, আর সেই মাছ নিয়েও তাঁদের দিলেন৷
4-John 21:14 : মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার যীশু তাঁর শিষ্যদের দেখা দিলেন৷
4-John 21:15 : তাঁরা খাওযা শেষ করবার পর যীশু শিমোন পিতরকে বললেন, য়োহনের ছেলে শিমোন, এই লোকদের চেয়ে তুমি কি আমায় বেশী ভালবাসো?পিতর তাঁকে বললেন, হ্যাঁ, প্রভু, আপনি জানেন য়ে আমি আপনাকে ভালবাসি৷যীশু পিতরকে বললেন, আমার মেষশাবকদেরতত্ত্বাবধান কর৷
4-John 21:16 : তিনি তাঁকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করলেন, য়োহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমায় ভালবাসো? পিতর তাঁকে বললেন, হ্যাঁ, প্রভু, আপনি জানেন য়ে আমি আপনাকে ভালবাসি৷যীশু পিতরকে বললেন, আমার মেষদের তত্ত্বাবধান কর৷
4-John 21:17 : যীশু পিতরকে তৃতীয়বার বললেন, য়োহনের ছেলে শিমোন, তুমি কি আমায় ভালবাসো?একথা তিনবার শোনায় পিতর দুঃখ পেলেন৷ তাই তিনি যীশুকে বললেন, প্রভু, আপনি সবই জানেন৷ আপনি জানেন য়ে আমি আপনাকে ভালবাসি৷যীশু তাঁকে বললেন, আমার মেষদের তত্ত্বাবধান কর৷
4-John 21:18 : আমি তোমাকে সত্যি বলছি, যখন তুমি যুবক ছিলে, তখন তুমি তোমার নিজের কোমর বন্ধনী বাঁধতে আর য়েখানে মন চাইত য়েতে; কিন্তু যখন বৃদ্ধ হবে, তখন তুমি তোমার হাত বাড়িয়ে দেবে আর অন্য কেউ তোমার কোমর বন্ধনী পরিয়ে দেবে৷ আর য়েখানে তুমি য়েতে চাইবে না সেখানে নিয়ে যাবে৷
4-John 21:19 : এই কথা বলে যীশু ইঙ্গিত করলেন, পিতর কি প্রকার মৃত্যু দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব করবেন৷ এসব কথা বলার পর তিনি পিতরকে বললেন, আমায় অনুসরণ কর৷
4-John 21:20 : পিতর ঘুরে দেখলেন, যাঁকে যীশু ভালোবাসতেন সেই শিষ্য তাঁদের পেছনে আসছেন৷ এই শিষ্যই ভোজের সময় যীশুর বুকের ওপর হেলান দিয়েছিলেন, আর বলেছিলেন, প্রভু, কে আপনাকে শত্রুর হাতে তুলে দেবে?
4-John 21:21 : তাই পিতর তাঁকে দেখতে পেয়ে যীশুকে বললেন, প্রভু, ওর কি হবে?
4-John 21:22 : যীশু পিতরকে বললেন, আমি যদি চাই য়ে, আমি না আসা পর্যন্ত ও থাকবে, তাতে তোমার কি? তুমি আমায় অনুসরণ কর৷
4-John 21:23 : তাই ভাইদের মধ্যে একথা ছড়িয়ে গেল য়ে, সেই শিষ্য মরবে না৷ কিন্তু যীশু তাকে বলেন নি য়ে তিনি মরবেন না৷ কেবল বলেছিলেন, আমি যদি চাই য়ে আমি না আসা পর্যন্ত সে এখানে থাকবে, তাতে তোমার কি?
4-John 21:24 : ইনিই সেই শিষ্য যিনি এইসব বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন, আর তিনিই এইসব লিপিবদ্ধ করেছেন৷ আমরা জানি তাঁর সাক্ষ্য সত্য৷
4-John 21:25 : যীশু আরো অনেক কাজ করেছিলেন৷ সেগুলি যদি এক এক করে লেখা য়েত, তবে আমার ধারণা লিখতে লিখতে এত সংখ্য়ক বই হোত য়ে জগতে তা ধরতো না৷