আল-কিতাবের সাক্ষাৎকার
ভূমিকা:
আল-কিতাব যা মহাগ্রন্থ আল-কুর’আন নামে পরিচিত। তবে, আল্লাহর বাণী অনুযায়ী এটি কিতাব- ‘দ্য বুক’ বাংলা ভাষায় মহাগ্রন্থ বলা যেতে পারে।
আল্লাহর কিতাবের বেশ কয়েকটি অংশ রয়েছে। যেমন- যিকর, হিকমা, কুর’আন ইত্যাদি। মহান রব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন-
- নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে দিয়েছি ৭টি পুনরাবৃত্তি থেকে এবং মহান কুর’আন। {১৫:৮৭}
And We have certainly given you, seven of the often repeated and the great Qur’an.
তিনি নাযিল করেছেন ফুরকান- যা মহাগ্রন্থের একটি অংশ।
- বড়ই বরকতময় তিনি- যিনি নাযিল করেছেন আল ফুরকান তাঁর দাসের প্রতি……।{২৫:১}
- ইতোপূর্বে মানবজাতিকে পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি আল-ফুরকান নাযিল করেছিলেন….{৩:৪}
- এর আগেও তিনি মুসা আ.-কে তাওরাতের পাশাপাশি দিয়েছিলেন ‘আল-ফুরকান’ {২:৫৩}
- আমরা মুসা এবং হারুনকে দিয়েছিলাম আল-ফুরকান, জ্যোতি ও যিকির- মুত্তাকিদের জন্যে {২১:৪৮}
সুরা নিসায় আল্লাহ মহাগ্রন্থের অংশ ‘হিকমা’ সম্পর্কে বলেন-
- …আল্লাহ তোমার প্রতি কিতাব ও হিকমা নাযিল করেছেন… {৩:১৬৪}
- স্মরণ করো, আল্লাহ একথার উপর নবীদের অংগীকার নিয়েছিলেন যে: আমি তোমাদের যে কিতাব ও হিকমাহ্ দিয়েছি তোমরা তা গ্রহণ করো…{৩:৮১}
- এভাবে আমি তোমাদের থেকেই তোমাদের মাঝে একজন রসূল পাঠিয়েছি, যে তোমাদের কাছে আমার আয়াত পাঠ করে, ইউঝাক্কিকুম (সংশোধন ও উন্নত) করে, কিতাব ও হিকমা শিক্ষা দেয়—যা কিছু জানতে না, তাও শেখায়। {২: ১২৭-১২৯}
এ ছাড়া আল-কিতাব বা মহাগ্রন্থে আছে আয্-যিকরা (ٱلذِّكۡرَ) / the Reminder। যা মহাগ্রন্থের আরেকটি অংশ।
- নিশ্চয়ই আমরা নাযিল করেছি আয্-যিকরা এবং অবশ্যই আমরাই তার সংরক্ষক। {১৫:৯}
আরও দেখুন: নহল: ১৬:৪৪; ফুরকান ২৫:১৮; ইয়াসিন ৩৬:১১; যুখরুফ ৪৩:৫; ক্বালাম ৬৮:৫১
একইভাবে মহান আল্লাহর আল-কিতাব বা মহাগ্রন্থের একটি অংশ হলো আল-কুর’আন।
কুর’আন শব্দটির উৎপত্তি (রুট ওয়ার্ড) ق ر أ
প্রশ্নমালা:
১.
|
১৪.
|
প্রশ্ন-উত্তর:
এবার প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। আমরা শুধু আল-কুর’আন নিয়েই প্রশ্ন করব। উত্তর দেবেন স্বয়ং আল-কিতাব বা রব্বুল আলামিনের মহাগ্রন্থ।
১. কুর’আন কি?
২:১৮৫ ….কুর’আন মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।
২৭:১,২,৩ তোয়া সিন। এগুলো আয়াত আল কুর’আন ও সুস্পষ্ট কিতাবের; হিদায়াত ও সুসংবাদ সেইসব মু’মিনদের জন্যে; যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আখিরাতের বিশ্বাসী।
৪১:৪৪… হে নবী! বলো: ‘এ কুর’আন মু’মিনদের জন্যে জীবন পদ্ধতির দিশারি এবং নিরাময়।….
২. কুর’আন কেন?
৪৭:২৪ তারা কি কুর’আন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে না? নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
২০:১১৩ এভাবেই আমরা নাযিল করেছি কুর’আন আরবি ভাষায় এবং আমরা বর্ণনা করেছি সতর্ক-বার্তা, যাতে তারা সতর্ক হয় অথবা এতে তাদের স্মরণ হবে।
৩.
কুর’আন কাদের জন্য?
৪১:৩ এই কিতাব- যার আয়াতগুলো বিশদ- আরবি ভাষার কোরআন- যারা জানে তাদের জন্য।
৪৬:২৯ যখন আমরা একদল জিনকে তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম। তারা কুর’আন শুনছিল। যখন তারা সেখানে হাজির হয়েছিল, তারা বলেছিল- নীরব থাকো, শোনো। যখন কুর’আন পাঠ শেষ হলো, তখন তারা ফিরে গেলো তাদের কওমের কাছে সতর্ককারী হিসেবে।
৪.
কুর’আন কে নাযিল করেছেন?
২৬:১৯২ নিশ্চয়ই এ কুর’আন রাব্বুল আলামিনের নাযিলকৃত।
৭৬:২৩ আমরাই পর্যায়ক্রমে তোমার প্রতি এ কুর’আন নাযিল করছি।
২৭:২৬ তোমাকে এই কুর’আন দেয়া হচ্ছে প্রজ্ঞাবান সর্বজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ থেকে।
১৫:৮৭ নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে দিয়েছি ৭টি পুনরাবৃত্তি থেকে এবং মহান কুর’আন।
২০:২ তোমাকে দুর্ভোগে ফেলার জন্য আমরা এই কুর’আন নাযিল করিনি।
৫.
কুর’আন কখন নাযিল হয়েছে?
২:১৮৫ শাহরু রামাদানে নাযিল হয়েছে কুর’আন…..।
৬. কুর’আন কে তৈরি করেছেন? কুর’আনে কোনও চ্যালেঞ্জ আছে কি?
১০: ৩৭ আর কুর’আন সে জিনিস নয় যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ তা বানাবে…।
১১:১৪ …..ففَاعْلَمُوا أَنَّمَا أُنْزِلَ بِعِلْمِ اللَّهِ َ……. know that it has been sent down by Allah’s knowledge
…এটি (কুর’আন) আল্লাহর ইলমের ভিত্তিতে নাযিল করা হয়েছে….
১৭:৮৮ বলো, যদি সব মানুষ ও জিন মিলে এই কুর’আনের মতো বানাতে চায়, তারা এমন বানাতে পারবে না, এমনকি তাদের কেউ পরস্পরকে সাহায্য করে (তবুও নয়)।
৭. কে কুর’আন শিক্ষা দিয়েছেন?
৫৫:১,২- তিনি রহমান; শিক্ষা দিয়েছেন কুর’আন।
৮. কুর’আন কীভাবে পড়তে হবে?
৭৩:৪ ….কুর’আন আবৃত্তি করো সুবিন্যাস/ধারাবাহিক-ভাবে (তারতিলা)।
৭৩:২০ ….কাজেই কুর’আনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি করো…।
৯. কুর’আন কি মানুষকে সম্পূর্ণ, বিস্তারিত ও যথেষ্ট তথ্য দিয়েছে?
৪১:৩ এই কিতাব- আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত– আরবি কোরআন……।
১৭:৮৯ এবং আমরা এই কুর’আনে সব উদাহরণ ব্যাখ্যা করেছি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ প্রত্যাখ্যান করে- যা কুফর (এই প্রত্যাখ্যান শুধুই কুফরি আচরণ/ ..refused except disbelief)
১৮:৫৪ এবং নিশ্চিতভাবে এই কুর’আনে আমরা মানবজাতির জন্য সব উদাহরণ ব্যাখ্যা/বর্ণনা করেছি; অথচ মানুষ বেশিরভাগ বিষয়ে বিতর্কপ্রিয়।
৩৯:২৭ এবং নিশ্চয়ই এই কুর’আনে আমরা মানুষের জন্যে সব উদাহরণ দিয়েছি- যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
৩০:৫৮ আমরা মানুষের জন্যে এ কুর’আনে সব ধরনের দৃষ্টান্ত দিয়েছি…..।
৪১:৩ এই কিতাব- যার আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণিত- আরবি ভাষার কুর’আন…।
১০. কুর’আন কী দাবি করে?
৪:৮২ এরা কি লক্ষ্য করে না কুর’আনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতে অবশ্যই বহু বৈপরীত্য দেখতে পেত!
১০:৩৭…অবশ্যই এটি (কুর’আন) পূর্ববর্তী কালামের সত্যায়ন করে এবং সেসব বিষয়ে বিশ্লেষণ দেয়- যা তোমাকে দেওয়া হয়েছে; যাতে কোন সন্দেহ নেই– তোমার রবের পক্ষ থেকে।
১১. কুর’আনের বৈশিষ্ট্য কী কী?
১৫:১ আলিফ-লাম-রা। এগুলো কিতাবের আয়াত এবং সুস্পষ্ট কুর’আন।
৩৯:২৮ আরবি ভাষার এ কুর’আন সম্পূর্ণ বক্রতামুক্ত…।
৩৬:২ শপথ বিজ্ঞানময় কুরআনের!
৩৬:৬৯ আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কুর’আন।
৩৮:১ সোয়াদ; উপদেশে পরিপূর্ণ আল-কুরআনের শপথ।
৫০:১ কাফ; কুর’আনমজিদের শপথ।
৫৬:৭৭ বস্তুত, এটি নিঃসন্দেহে মহিমান্বিত কুর’আন।
৮৫:২১ কারণ, এটি মহিমান্বিত কুর’আন।
১২. কুর’আন সম্পর্কে কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে?
৫:১০১ হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা এমন সব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা তোমাদের কাছে প্রকাশ হলে সেগুলো তোমাদের কষ্ট দেবে। কুর’আন নাযিল হবার সময়কালেই যদি তোমরা ঐসব প্রশ্ন করো, তবে সেগুলো তোমাদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া হবে। আল্লাহ সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ তোপরম ক্ষমাশীল পরম সহনশীল।
১৩. কুর’আন কার প্রতি এসেছে ও কেন এসেছে?
৬:১৯ আমার প্রতি এ কুর’আন অবর্তীর্ণ হয়েছে-যাতে আমি তোমাদেরকে এবং যাদের কাছে এ কুর’আন পৌঁছাবে– সবাইকে সতর্ক করি।
১৭:৮২ আমরা নাযিল করছি আল-কুর’আন, যা মুমিনদের জন্যে শিফা (নিরাময়) ও রহমত। এটি যালিমদের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বাড়ায় না।
১৪. কুর’আনের প্রতি কীভাবে মনোযোগ দিতে হবে?
১৬:৯৮ তুমি যখন কুর’আন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে নেবে।
৭:২০৪ আর যখন কুর’আন পাঠ করা হয়, তখন তা শোনো এবং চুপ থাকো– যাতে তোমরা রহমত পাও।
২০:১১৪ আল্লাহ্ অতীব মহান, প্রকৃত সম্রাট তিনিই। তোমার প্রতি অহি সম্পূর্ণ হবার আগেই তুমি তাড়াহুড়ো করে কুর’আন পাঠ কোরো না। তুমি বলো- ‘আমার প্রভু! আমাকে জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’
৪৬:২৯ …(জিনরা) বলেছিল: ‘নীরব থাকো, শোনো।’…..
৮৪:২১ এবং যখন তাদের কাছে কুর’আন পাঠ করা হয়, তখন তা মেনে নেয় না! / সাজদা করেনা?
১৫. কুর’আনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী? কুর’আন অস্বীকার করলে কী হবে?
১০:৬১ তুমি যে অবস্থায়ই থাকো এবং কুর’আন থেকে যা-ই তিলাওয়াত করো না-কেন; আর (হে মানুষ!) তোমরা যা-ই করো না-কেন, আমরা তোমাদের উপর সাক্ষী থাকি যখন তোমরা তাতে আত্মনিয়োগ করো। মহাকাশ এবং পৃথিবীতে একটি অণু পরিমাণ কিছুও তাঁর অগোচরে নেই এবং তার চাইতে ক্ষুদ্রতর বা বৃহত্তর সব কিছু ‘সুস্পষ্ট কিতাবে’ লেখা আছে।
১১:১৭ তারা কি ঐ লোকদের সমতুল্য হতে পারে, যারা তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে এক সুস্পষ্ট প্রমাণের (কুরআনের) উপর প্রতিষ্ঠিত, যা তিলাওয়াত করে তাঁর প্রেরিত সাক্ষী এবং যার আগে এসেছিল মুসার উপর অবতীর্ণ কিতাব পথ প্রদর্শক ও রহমত হিসাবে? তারা এর প্রতি ঈমান রাখে। মানব দলসমূহের যারাই এটিকে অস্বীকার করে আগুনই হবে তাদের প্রতিশ্রুত স্থান। সুতরাং তুমি এটির সম্পর্কে কোনো প্রকার সন্দেহে থেকোনা। এটি তো তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে এক মহাসত্য; তবে অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করেনা।
১৬. কুর’আন কোন ভাষায় ও কীভাবে অবতীর্ণ হয়েছে?
৪১:৩ এই কিতাবের আয়াতগুলো বিস্তারিত- আরবি ভাষার কুর’আন….।
১২:২ বস্তুত আমরা কুর’আন নাযিল করেছি আরবিতে, যাতে তোমরা বোঝ।
৩৯:২৮ আরবি ভাষার এ কুর’আন সম্পূর্ণ বক্রতামুক্ত, যাতে করে তারা সতর্কতা অবলম্বন করে।১৭:১০৬ আমরা কুর’আন ভাগ করেছি, যাতে তুমি মানুষের কাছে পাঠ করতে পারো- বিরতি দিয়ে; এবং আমরা এটা নাযিল করেছি পর্যায়ক্রমে।
২০:১১৩ এভাবেই, আমরা এটিকে নাযিল করেছি একটি আরবি কুর’আন হিসেবে….।
২৫:৩২ কাফিররা বলে: ‘সমগ্র কুর’আন তার কাছে একবারে নাযিল করা হলো না কেন?’ (আমরা) এভাবেই করে থাকি এর মাধ্যমে তোমার অন্তরকে মজবুত করার জন্যে, আর এ কারণেই আমরা কুর’আন পাঠ করেছি পর্যায়ক্রমে (তারতিলান)।
৪৩:৩ আমরা এই কুর’আন আরবি ভাষায় করেছি যেনো তোমরা বুঝতে পারো।
৪২:৭ এভাবেই আমি তোমার প্রতি আরবি ভাষায় একটি কুর’আন অবতীর্ণ করেছি, যাতে করে তুমি সতর্ক করে দিতে পারো মানববসতির কেন্দ্র ও তার চারপাশের লোকদের। যাতে তুমি সমবেত হবার দিন সম্পর্কে সতর্ক করো- যাতে কোনও সন্দেহ নেই (অবধারিত)। সেদিন একদল যাবে জান্নাতে, আরেক দল যাবে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে।
১৭.
কুর’আনে কী কী বলা হয়েছে? কী ওয়াদা রয়েছে?
১২:৩ আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করেছি, যেভাবে আমি এ কুর’আন তোমার নিকট অবতীর্ণ করেছি। তুমি এর আগে অবশ্যই এ ব্যাপারে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
১৭:৬০ যখন আমরা তোমাকে বলেছিলাম- ‘নিশ্চয়ই তোমার প্রভু মানুষকে পরিবেষ্টন করে আছেন।’ আমরা তোমাকে যেসব দৃশ্য দেখিয়েছি, সেগুলো ও কুর’আনে বর্ণিত অভিশপ্ত গাছটি শুধুই মানুষের পরীক্ষার জন্যে। আমরা তাদের ভয় দেখালেও তা কেবল তাদের অবাধ্যতাই বাড়িয়ে দেয়।
২৭:৭৬ বনি ইসরাঈল যেসব বিষয়ে মতভেদ করে, তার অধিকাংশই এ কুর’আন তাদের বলে দেয়।
২৭:৯২ আমাকে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেনো তিলাওয়াত করি আল কুর’আন। অত:পর যে কেউ সঠিক পথে চলবে, সে সঠিক পথে চলবে নিজেরই কল্যাণে। আর যে কেউ ভুল পথ অবলম্বন করবে, তুমি তার ব্যাপারে বলবে- আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র।
২৮:৮৫ যিনি তোমার প্রতি কুর’আনের বিধান দিয়েছেন, তিনি অবশ্যি তোমাকে ফিরিয়ে নেবেন- যেখান থেকে এসেছিলে। বলো- ‘আমার প্রভুই ভালো জানেন- কে সঠিক পথে আছে, আর কে সুস্পষ্ট বিপথগামী।’
১৮.
কুর’আন কি অন্য কারও কাছে এসেছিল?
১৫:৮৯-৯২ এবং বলো- ‘আমি এক সুস্পষ্ট সতর্ককারী।’ যেভাবে আমরা নাযিল করেছিলাম সেইসব বিভক্তকারীদের উপর; যারা কুর’আনকে টুকরা টুকরা করেছিল! অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করব!
১৯. কুর’আন কী করে?
১৭:৯ এই কুর’আন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সবচেয়ে সরল; এবং মু’মিনদেরসুসংবাদ দেয়– যারা সৎকর্ম করে- তাদের জন্যে রয়েছে মহা-পুরস্কার।
১৭:৪১ আমি এই কুর’আনে বিশ্লেষণ করেছি, যাতে তারা চিন্তা করে। অথচ এতে তাদের শুধু বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়।
১৭:৪৫ তুমি যখন কুর’আন পাঠ করো, তখন আমরা তোমার এবং যারা আখিরাতের বিশ্বাস করে না, তাদের মধ্যে অদৃশ্য বাধা স্থাপন করি।
১৭:৪৬ আমরা তাদের কলবের উপর আবরণ সৃষ্টি করে দিয়েছি যেনো তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে, আর তাদের কানে সৃষ্টি করে দিয়েছি বধিরতা। তুমি যখন কুর’আনে তোমার একমাত্র প্রভুর কথা স্মরণ করো: তখন তারা পেছনে ফিরে পালাতে থাকে।
২০. কোন সময় কুর’আন পড়া উত্তম?
১৭:৭৮ সালাত কায়েম করো সূর্য ক্ষয় থেকে শুরু করে রাতের অন্ধকার ঘনীভূত হওয়া পর্যন্ত এবং ফজরে কুর’আন; নিশ্চয়ই ফজরের কুর‘আন সাক্ষ্যদাতা।
২১. কিয়ামতের দিন মোহাম্মদ রসুলাল্লাহ কুর’আন বিষয়ে তাঁর উম্মত সম্পর্কে কী বলবেন?
২৫:৩০ আর রসুল বলবেন- ‘হে প্রভু! আমার লোকেরাই এই কুর’আনকে পরিত্যাগ করেছিল।’
২২. কুর’আন অস্বীকারকারীরা কী বলে?
৩৪:৩১ কাফেররা বলে, আমরা কখনও এ কুর’আনে বিশ্বাস করব না এবং এর পূর্ববর্তী কিতাবেও নয়…।
৩০:৫৮…তুমি যদি তাদের সামনে কোনো নিদর্শন হাজিরও করো, কাফিররা বলবে- ‘তোমরা মিথ্যা-বাতিল নিয়ে এসেছো।’
৪১:২৬ কাফিররা বলে: ‘তোমরা এ কুর’আন শুনবে না এবং যেখানেই তা পাঠ করা হবে, হৈ হট্টগোল করবে, যাতে করে তোমরা জয়ী হতে পারো।’
৪১:৪৪ আমরা যদি বিদেশি ভাষায় কুর’আন পাঠাতাম, তারা অবশ্যই বলতো- ‘এর আয়াতগুলো (আমাদের ভাষায়) কেন ব্যাখ্যা করা হয়নি! এটা কেমন ব্যাপার, কিতাব হলো অনারবি আর রসুল হলো আরব?’ হে নবী! বলো: ‘এ কুর’আন মু’মিনদের জন্যে জীবন পদ্ধতির দিশারি ও নিরাময়। আর যারা ঈমান আনে না, তারা বধির এবং এটি তাদের জন্য অন্ধত্ব। তাদের যেন ডাকা হবে বহু দূর থেকে!’
৪৩:৩১ এবং তারা বলে- দুটি মহান শহরের এক ব্যক্তির ওপর কেন কুর’আন নাযিল হলো না?
১৩:৩১ যদি এমন কোনো কুর’আন হতো যার স্পর্শে পর্বতমালা চলতো, কিংবা পৃথিবীকে বিদীর্ণ করা যেতো, অথবা তাতে মৃতদের সাথে কথা বলা যেতো (তবু তারা সেই কুর’আনের প্রতি ঈমান আনতো না)।
২৩. কুর’আন দিয়ে কী করা হয়?
৫০:৪৫ তারা কী বলে, তা আমরা জানি। তুমি তাদের উপর শক্তি প্রয়োগকারী নও। যারা আমার শাস্তিকে ভয় করে তাদের উপদেশ দিয়ে যাও এই কুর’আন দিয়ে।
৫৪:১৭, ২২, ৩২, ৪০– আমরা কুর’আনকে বোঝার ও উপদেশ নেওয়ার জন্যে সহজ করেছি, অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
৫৯:২১ আমরা যদি এ কুর’আনকে কোনো পাহাড়ের উপর নাযিল করতাম, তবে তুমি সেটাকে দেখতে- আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ হয়ে পড়ছে। আমরা এসব দৃষ্টান্ত প্রদান করি মানুষের জন্যে যাতে করে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
৭২:১,২ হে নবী! বলো- আমার কাছে অহি করা হয়েছে যে, একদল জিন মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। তারপর তারা বলেছে: ‘আমরা শুনে এসেছি এক বিস্ময়কর কুর’আন! সেটি সঠিক পথের হিদায়াত! তাই আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি। আমরা কখনো আমাদের প্রভুর সঙ্গে শরিক করবো না।
২৪. মোহাম্মদ রসুলাল্লাহ কীভাবে কুর’আন পড়তেন?