ইসলামের ভিত্তি কয়টি ও কী কী ?
খুব সহজ ও সবার মুখস্থ এ প্রশ্ন আবার উত্থাপন করার সময় হয়েছে। প্রচলিত উত্তর আজ চিন্তাশীল ও বুদ্ধি বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন?
সুন্নাহ্ ভিত্তিক ইসলাম অর্থাৎ সুন্নি মুসলিম শিশুদের ছোটবেলা থেকেই এই শিক্ষা দেওয়া হয় যে- ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। যথা- কালেমা, নামায, রোযা, হজ ও যাকাত। ধারণা দেওয়া হয় যে, এই ৫টি কাজ করা হলে ইসলাম অনুসরণ বা ইসলাম পালন করে প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায়। ভিত্তি ঠিক থাকলে—জীবন তো সফল হবেই। এমনটাই বিশ্বাস।
এই ধারণা বা বিশ্বাসের ভিত্তি হলো—হজরত ওমর ফারুক রা.-এর নামে প্রচলিত একটি কথা। এটি সিহাহ সিত্তাহ্ বা ৬টি হাদিস বইয়ের মধ্যে ৪টি বইয়ে পাওয়া যায়। হাদিসটি এমন-
“ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি স্তম্ভের উপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত। এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কায়িম করা, যাকাত আদায় করা, হাজ্জ (হজ/হজ্জ) পালন করা এবং রমাযান মাসের সিয়াম পালন করা। (বুখারী, মুসলিম)
এই হাদিসটি পাওয়া যাবে এখানে (https://sunnah.com/bukhari:8) ; বর্ণনাসূত্র হলো-حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم উবায়দুল্লাহ ইবনে মুসা থেকে বর্ণিত, হানযালাহ ইবনে আবি সুফিয়ান জানিয়েছেন ইকরিমা বিন খালিদের বরাত দিয়ে; তিনি শুনেছেন ইবনে উমর থেকে। সবশেষে উবায়দুল্লাহ ইবনে মুসা থেকে ইমাম বুখারি শুনেছেন এই হাদিস।
ইমাম বুখারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৮১০ সালে। ততদিনে শেষ নবীর ইন্তেকালের ১৭৮ বছর পার হয়ে গেছে। তিনি কিছুটা বড় হয়ে উবায়দুল্লাহ বিন মুসার কাছে এই হাদিসটি শুনেছেন। খালিদের ছেলে ইকরিমা এবং ইকরিমার কাছ থেকে শুনেছিলেন আবু সুফিয়ানের ছেলে হানযালাহ। বুখারির সময় ইকরিমা ও হানযালাহ কেউ বেঁচে থাকার কথা না। বুখারি সাহেব নাহয় উবায়দুল্লাহ বিন মুসাকে যাচাই বাছাই করেছেন; কিন্তু উবায়দুল্লাহ কি হানযালাহকে যাচাই-বাছাই করেছিলেন? অথবা, হানযালাহ কি ইকরিমার চারিত্রিক বিষয়াদি যাচাই বাছাই করেছিলেন? কেনই বা করবেন? যাতে তাদের মৃত্যুর কয়েকশ‘ বছর পরে- কেউ একজন এসে এই হাদিসটি সংগ্রহ করতে পারে- এজন্য? আশ্চর্য নয় কি?
যেহেতু এই ৫টি কাজ ইসলামের ভিত্তি, সেহেতু কেউ যদি এই পাঁচটি কাজ করেন, তাহলে ইসলামের ভিত্তিকে নিজের মধ্যে ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
এই ধারণার প্রতি কি কুর’আন সমর্থন দেয়?
এসব আনুষ্ঠানিক কাজ যদি ইসলামের ভিত্তি হয়ে থাকে- তাহলে অবশ্যই এসব কাজ আল্লাহ তায়ালা ‘ফরজ’ বলে ঘোষণা করবেন। তা নাহলে তো ইসলামের ভিত্তিমূল ঠিক শক্তিশালী হলো না! অথবা, গোটা কুর’আনের কোনও একটি আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন সুনির্দিষ্টভাবে বলবেন যে—এই ৫টি কাজ হলো দীন ইসলামের ভিত্তি। তেমন কোনও আয়াত/নির্দেশনা কি আছে? নেই।
কিংবা, আল্লাহ কি এই পাঁচটি কাজ কোথাও ‘ফরজ’ করেছেন? না।
উল্লেখ্য যে, কোনও কিছু নির্ধারিত বিধান হিসেবে ‘ফরজ’ করা (বাধ্যতামূলক করা বা নির্ধারণ করা), হারাম-হালাল করা—ইত্যাদি সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কুর’আনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। নতুন করে কোনও কাজকে ধর্মীয় নির্দেশ হিসেবে নির্ধারণ করা কুর’আনের ওপর জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়!
মহাগ্রন্থ অনুসন্ধান করে দেখা যায়—সুরা নুরের ১ নং আয়াত, সরা আল-কাসাসের ৮৫-৮৮ নং আয়াত এবং সুরা আল-আহযাবের ৩৮ ও ৫০ নং আয়াতে ‘ফরজ/ফারদ/ফারিদাতুন’ শব্দটি উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় আল্লাহ ফরজ করে দিয়েছেন। এসব আয়াতের মধ্যে কোথাও ইসলামের ভিত্তি হিসেবে পরিচিত ওই মুখস্থ ৫টি কাজ উল্লেখ করা হয় নি!
আর পবিত্র কুর’আনে যেসব বিষয়বস্তুকে ইসলামের বিধান বা ভিত্তি বলে উল্লেখ করা হয়নি, সে কথা রসুল সা. বলেছেন এবং ওমর রা. তা শুনেছেন—এমনটা হবার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।
সুন্নি ইসলামি জগতের পাশাপাশি, শিয়া মাযহাবের ইসলামে বিশ্বাসী বড় একটি জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা সিহাহ সিত্তাহ বা ৬টি হাদীসের বইকে একদম ভ্রান্ত ও রসুল সা.-এর নামে তৈরি মনগড়া বই হিসেবে মনে করে। শিয়া ইসলামেরও নিজস্ব কয়েকটি ‘সহিহ হাদীসের’ বই রয়েছে।
- শিয়া মাজহাবের দৃষ্টিতে ইসলামের ভিত্তি বা মৌলিক কাজ হলো ১০টি। যথা- সালাত, সাওম, যাকাত, হজ, জিহাদ (প্রচেষ্টা), খুমস (যাকাতের বাইরে ২০% কর দেওয়া), সৎকাজের আদেশ, অসৎ কাজে নিষেধ, তাওয়াল্লা (আল্লাহকে ভালোবাসা) ও তাবার্রা (আল্লাহ্-দ্রোহীদের ঘৃণা)।
আমরা যদি আবারও কুর’আনের আয়নায় শিয়া মাযহাবের এই বিষয়গুলো অনুসন্ধান করতে যাই, তাহলে অন্তত ফরজ কাজ হিসেবে আল্লাহর বিধানে তা পাওয়া যায় না। দেখুন সুরা নুর ১, সুরা আল-কাসাস ৮৫-৮৮, সুরা আল-আহযাব ৩৮ ও ৫০ নং আয়াত।
এমতাবস্থায় দেখা যাচ্ছে ইসলামের ভিত্তিই নড়বড়ে হয়ে গেল! আসলে ইসলামের ভিত্তি নড়ে নি; নড়েছে আমাদের মনে ধারণ ও লালন করা ভিত্তিহীন অন্ধ-বিশ্বাসের স্তম্ভ। মহান আল্লাহ্র পাঠানো দিন ইসলাম তার সুপ্রতিষ্ঠিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে হাজার হাজার বছর ধরে।
কী সেই ভিত্তি? তা জানতে হলে প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে—‘ভিত্তি’ বা ‘স্তম্ভ’ বলতে আসলে কী বোঝায়? এবং পবিত্র কুর’আনে এ ব্যাপারে কী দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভিত্তি শব্দের আভিধানিক অর্থ- ভিত, বুনিয়াদ। যার ওপর কোনও একটি কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকে। তা হতে পারে মনো-জাগতিক অথবা অবকাঠামোগত।
যেমন- যেমন বহুতল ভবনের ভিত্তি স্থাপিত হয় মাটির অনেক গভীরে। আবার যে কোনও বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপিত হয় মন ও মস্তিষ্কের গভীরে। ভিত যত মজবুত হয়, তার ওপর গড়ে তোলা স্থাপনা হয় মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী। অন্যদিকে, ভিত দুর্বল হলে, ভ্রান্ত হলে- তার ওপর কোনও কাঠামো গড়ে তোলা যায় না। জোর করে গড়ে তুললেও অচিরেই তা ধসে পড়ে।
পাশাপাশি, বস্তুগত বা অবস্তুগত যে কোনও ভিত স্থাপন করতে হয় মূল কাঠামো বা মূল ধারণা তৈরির আগে। যেমন, ১০ তলা ভবনের ভিত্তি স্থাপন করতে হয় ভবন নির্মাণের আগে। তারপরই মূলত নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং একটির পর একটি তলা দৃশ্যমান হয়।
অর্থাৎ, ভিত্তি সবার আগে।
পাশাপাশি, যে কোনও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, গবেষণা, দর্শনেরও একটি ভিত থাকে। সেই ভিতের ওপরই বড় হতে থাকে মানুষের চিন্তা, গবেষণা ও কার্যক্রম। যেমন, সমাজতান্ত্রিক চিন্তার ভিত্তির উপর গড়ে উঠেছে বিশাল রাশিয়া ও চীন দেশ। সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়কে ভিত্তি করে বিকশিত হয়েছিল বৌদ্ধধর্ম ও বৈচিত্র্যময় নানা মতবাদ।
ঠিক তেমনই ইসলাম মহান আল্লাহ্র মনোনীত দীন বা জীবনযাপন পদ্ধতি। মোহাম্মদ সা. ইসলামের শেষ নবী ও রসুল। অর্থাৎ, ইসলাম যদি ১০ তলার সুরম্য একটি ভবন হয়, রসুল সা. সেই ভবনের শেষ ইট।
মোহাম্মদ সা. ইসলামের নতুন কোনও ভিত্তি তৈরি করেন নি। বরং, যেই ভিত্তির ওপর হাজার হাজার বছর আগে থেকেই অসংখ্য নবী ও রসুল মানবজাতির মাঝে ইসলামের আহ্বান দিয়েছিলেন, শেষ নবীও তারই ওপর অটল ছিলেন। পবিত্র কুর’আনেই উল্লেখ করা হয়েছে- সব নবী, রসুল ও তাঁদের অনুসারীগণ ছিলেন মুসলিম; তাঁরা দীন ইসলাম প্রচার করেছিলেন।
তাহলে আমাদের জানতে হবে, পূর্ববর্তী নবী-রসুলগণ মানুষকে কিসের আহ্বান জানাতেন। শেষ নবীও কি সেই আহ্বান জানিয়েছেন কিনা? কারণ, যুক্তি-বুদ্ধি অনুযায়ী কোনও বিশ্বাস বা ধর্ম বা কোনও ভবনের ভিত্তি কখনও পরিবর্তন হয় না। ভিত্তি স্থাপন করা হয় সবার আগে।
এই সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত ইসলামের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত থাকবে, তাদের জন্যই রয়েছে অনন্ত, অসীম, অফুরন্ত পুরস্কার—জান্নাত। এক কথায়, জান্নাত লাভের জন্য আল্লাহ রব্বুল আলামিন দীন ইসলাম বা ইসলাম ধর্মের যে শর্ত তৈরি করে দিয়েছেন—তাই মূলত ইসলামের ভিত্তি। এই ভিত্তি বহাল আছে পূর্ববর্তী সব নবী-রসুলের আমল থেকে।
সুরা শুরার ১৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে : “তিনি তোমাদের জন্যে স্থির করে দিয়েছেন সেই একই দীন (জীবনপদ্ধতি), যা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন নূহকে এবং যা এখন আমরা অহি করছি তোমাকে (হে মুহাম্মদ!)। এটাই সেই দীন (জীবনপদ্ধতি) যা আমরা স্থির করে দিয়েছিলাম ইবরাহিম এবং মূসা ও ঈসাকে।…” (৪২:১৩)
পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, মোহাম্মদ রসুলাল্লাহ এবং আমরা আসলে নুহ, ইবরাহিম, মুসা ও ঈসার দীনের অনুসরণ করছি। যার নাম ইসলাম। সেই ইসলামের মৌলিক ভিত্তি কী?
উত্তর দিয়েছেন আল্লাহ। দেখুন:
-
নিঃসন্দেহে যারা বলে- আমাদের রব হলেন আল্লাহ, তারপর এ কথার ওপর অটল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠানো হয়; ভয় পেওনা দুশ্চিন্তা কোরো না; আর জান্নাতের সুসংবাদ নাও- যা তোমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। {৪১:৩০}
-
নিশ্চয়ই যারা বলে– আল্লাহ্ আমাদের রব, তারপর এ কথার উপর দৃঢ় থাকে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। তারা হবে জান্নাতের অধিবাসী, চিরদিন থাকবে তারা সেখানে, তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান হিসেবে। {৪৬:১৩,১৪}
অর্থাৎ, যে কেউ মহান আল্লাহকে একমাত্র রব (লালন-পালন-রক্ষাকর্তা) হিসেবে স্বীকার করলে এবং এই কথার ওপর দৃঢ়ভাবে থাকলেই সে মুসলিম। এটাই দীন ইসলামের মৌলিক ভিত্তি।
প্রাসঙ্গিকভাবেই প্রশ্ন আসবে, বর্তমান সময়ের আহলে কিতাবদের ক্ষেত্রে তাহলে কী হবে? পূর্ববর্তী নবী রসুলদের অনুসারীগণ ধর্মীয় বিধি-বিধান পরিবর্তন করে নিজেদের ইহুদি, খৃষ্টান ও নানা ধর্মাবলম্বী বানিয়েছে। এসব ইহুদি খ্রিষ্টানদেরকে নিয়েও আল-কুর’আনে অসংখ্য আয়াত নাযিল হয়েছে। তারা কিন্তু আল্লাহর দৃষ্টির বাইরে নেই। তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করেও মহান আল্লাহ কথা বলেছেন। তাদের ক্ষেত্রে ইসলামের এই ভিত্তি কীভাবে প্রযোজ্য হবে?
চলুন দেখি আল্লাহ কী বলছেন?
সুরা বাকারা (৬২) ও সুরা মায়েদাতে (৬৯) উল্লেখ করা হয়েছে।
- নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, আর যারা ইহুদি হয়েছে, যারা খ্রিষ্টান ও সাবেয়ি, তাদের মধ্য থেকে যারাই ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি, আখিরাতের প্রতি এবং আমলে সালেহ্ করবে, তাদের জন্যে পুরস্কার রয়েছে তাদের রবের কাছে। তাদের কোনো ভয় নেই ও দুশ্চিন্তাও নেই। {২:৬২}
- নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, যারা ইহুদি হয়েছে এবং সাবেয়ি ও খ্রিষ্টান; যে কেউ আল্লাহ ও শেষ দিবসকে বিশ্বাস করবে এবং আমলে সালেহ করবে, তাদের কোনো ভয় নেই ও দুশ্চিন্তাও নেই। {৫:৬৯}
এখান থেকেই মূলত- দীন ইসলামের মূল ভিত্তি সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানা যায়। তা হলো তিনটি কাজ:
- এক আল্লাহ্র প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস করা
- আখিরাত বা শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস করা
- আ’মলে সালেহ
মুসলিম, ইহুদি, খ্রিষ্টান কিংবা সাবেয়ি (প্রাচীন ধর্মাবলম্বী)-সহ যে কেউ এই তিনটি ধারণার ভিত্তিতে জীবন পরিচালনা করবে, সেই মূলত আল্লাহ্র দৃষ্টিতে দীন ইসলামের সীমারেখায় অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। মৃত্যুর পর তার কোনও ভয় ও দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ, একমাত্র আল্লাহ্র ওয়াদাই সত্য ও সুনিশ্চিত।
হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস থেকে শেষ নবী মোহাম্মদ সা. পর্যন্ত সবাই মানবজাতিকে এই দাওয়াত দিয়েছেন এবং এই ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত দীন ইসলামকে তুলে ধরেছিলেন।
কুর’আন দিয়ে নির্ধারিত এই ভিত্তির ওপরই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলাম ও মহান রবের ওয়াদা এবং তাঁর দেওয়া পুরস্কার- জান্নাত।