উসউয়াতুন হাসানা বা উত্তম উদাহরণ

উসউয়াতুন হাসানা বা উত্তম উদাহরণ

সুরা আহযাবের বিখ্যাত একটি বাক্য মুসলিম সমাজে ব্যাপক প্রচলিত। বিভিন্ন তাফসির ও বইয়ে এ সম্পর্কে নানা ধরণের বিশ্লেষণ দেখা যায়। কিন্তু, সেসব বিশ্লেষণ কি কুর’আন সমর্থন করে? 
তা কুর’আন দিয়েই তা যাচাই করা হবে। 

পাশাপাশি, এ বিষয়ে মহাগ্রন্থে কী বলা হয়েছে? তা বোঝার চেষ্টা করা হবে।

বিখ্যাত সেই বাক্যটি হলো-

  • لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا  {আল আহযাব: ২১}
  • নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রসুলের মধ্যে উত্তম উদাহরণ (হাসনাতুন) আছে- যে আশা করে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে। {৩৩:২১} 
    There has certainly been for you in the Messenger of Allah an excellent pattern for anyone whose hope is in Allah and the Last Day and [who] remembers Allah often. {33:21}

এই বাক্য সম্পর্কে মুসলিম সমাজে প্রচলিত ধারণা নিম্নরূপ:

[উক্ত বাক্য দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সামগ্রিক জীবনাদর্শকে বুঝানো হয়েছে। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী, কর্ম ও তাঁর সামগ্রিক অবস্থাকে অনুসরণ করার জন্য এই আয়াতটি একটি বড় ভিত্তি (ইবনু কাছীর, ঐ আয়াতের তাফসীর দ্রঃ ৬/৩৯১)। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর সামগ্রিক জীবনকে অনুসরণ করলে কুরআনকেই অনুসরণ করা হবে। আয়েশা (রাঃ)-কে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, তাঁর চরিত্র ছিল কুরআন। তোমরা কি জানোনা যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত’ (কলম ৬৮/৪; আহমাদ হা/২৪৬৪৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৮১১)।

………………………………………………………………………

বৃহত্তর সুন্নি ইসলামে এভাবেই ‘উসউয়াতুন হাসানা’ বা উত্তম উদাহরণের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রসুল সা.-এর উদাহরণকে সবক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ও জোরপূর্বক প্রয়োগ করা হয়েছে। 

এক্ষেত্রে ভুল বোঝার অবকাশ নাই। আমাদের বক্তব্য হলো— মহান আল্লাহ কোন ক্ষেত্রে, কোন পরিস্থিতিতে, কার জন্য, কাকে উদ্দেশ্য করে রসুলের জীবনকে উত্তম উদাহরণ বা ‘উসউয়াতুন হাসানা বলেছেন— সবার আগে আল-কুর’আন থেকেই তা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। তারপরই মূলত এই বাক্যাংশ বা শব্দ দুটির সুষ্ঠু প্রয়োগ করা যাবে।

সুন্নিদের পাশাপাশি শিয়া ইসলামেও এ সম্পর্কে বৃহত্তর গবেষণা হয়েছে– যা তাদেরকে ‘আহলে বাইত’ বা নবী পরিবারের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য- অনুসরণের দিকে ধাবিত করেছে। 

এভাবে নানা দল ও মত- যে যার প্রয়োজন, সুবিধা ও লক্ষ্য অনুযায়ী কুরআনের আয়াতকে হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে।

পর্যবেক্ষণ ১:

চলুন আজ মহাগ্রন্থ, আল-কিতাব, আল-কুর’আন, আল-ফুরকান থেকে দেখে নেওয়া যাক- মহান আল্লাহ আসলে কী বলেছেন।

সুরা আহযাবে মূলত আহযাব বা খন্দকের যুদ্ধ সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন আল্লাহ। الأحزاب হল حِزْب এর বহুবচন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, তৎকালীন বিভিন্ন গোত্রের প্রায় ১২ হাজার যোদ্ধা সম্মিলিতভাবে মদিনা ঘেরাও করেছিল। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে রসুল সা.-এর নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাদের মধ্যে ছিল মুনাফিক ও দুর্বল ঈমানের লোকজন। তাদের প্রতারণা ও বিশ্বাস-ঘাতকতা থাকে প্রকৃত মুসলিমদের রক্ষার জন্য এবং যুদ্ধের সময় সঠিক কাজ করার জন্য মহাজগতের প্রভু জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছিলেন।

প্রচলিত অনুবাদ থেকে তার কয়েকটি আয়াত দেখুন।

  • এখানেই পরীক্ষা করা হয়েছিল মুমিনদের। তাঁরা কেঁপে উঠেছিল ভীষণ কম্পনে। এ অবস্থায় মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ ছিলো, তারা বলছিল- আল্লাহ এবং তাঁর রসূল আমাদের যে ওয়াদা দিয়েছেন, সেটা একটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তখন তাদেরই একটি দল বলেছিল- হে ইয়াসরিববাসী! এখানে তোমাদের কোনো স্থান নেই, তোমরা ফিরে চলো। তাদের আরেকদল নবীর কাছে অব্যাহতির প্রার্থনা করে বলছিল- আমাদের বাড়িঘর অরক্ষিত। 
    অথচ তাদের বাড়িঘর অরক্ষিত ছিল না। আসলে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ভেগে যাওয়া। 
    শত্রুরা যদি চারদিক থেকে (মদিনা) আক্রমণ করতো এবং তাদেরকে বিদ্রোহের জন্যে প্ররোচিত করতো, তারা কালবিলম্ব না করে সহজেই তা করতো। অথচ ইতোপূর্বে তারা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল, তারা পিছু হটবে না। আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 
    হে নবী! বলো: তোমাদের কোনোই ফায়দা হবে না যদি তোমরা মউত কিংবা কতল হবার ভয়ে পলায়ন করো। তবে সেক্ষেত্রে তোমাদেরকে ভোগের সুযোগ খুব কমই দেয়া হবে। বলো- কে তোমাদের রক্ষা করবে আল্লাহর থেকে যদি তিনি তোমাদের অমঙ্গল করার এরাদা করেন? অথবা তিনি যদি তোমাদের মঙ্গল করার এরাদা করেন, তবে কে তোমাদের ক্ষতি করবে? তারা নিজেদের জন্যে আল্লাহর পরিবর্তে কোনো অলি কিংবা সাহায্যকারী পাবেনা।
    আল্লাহ অবশ্যই জানেন তোমাদের মধ্যে কারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী, আর কারা তাদের ভাইদের বলে: আমাদের সাথে আসো। তারা যুদ্ধে অংশ নেয় না, সামান্য ছাড়া। তোমাদের প্রতি সংকীর্ণ মনোভাবের কারণে। যখন ভয়ের সময় আসেতুমি তাদের দেখো, মরণের ভয়ে মূর্ছা যাওয়া ব্যক্তির মতো তারা চোখ উল্টিয়ে তোমার দিকে তাকায়। আবার যখন ভয় চলে যায় তখন সম্পদের লোভে তারা তোমাদের প্রতি ভাষার তীর নিক্ষেপ করে। এরা ঈমান আনেনি। ফলেআল্লাহ তাদের আমল বিনষ্ট করে দিয়েছেন, আর এটা আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ।
    তারা ধারণা করছিল সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি। সম্মিলিত বাহিনী যদি আবার এসে পড়ে, তখন তারা কামনা করবে যে, ভালো হতো তারা যদি বেদুঈনদের সাথে থেকে তোমাদের খোঁজখবর নিতো! তোমাদের মাঝে অবস্থান করলেও তারা যুদ্ধ করতো সামান্যই।
    নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রসুলের মধ্যে উত্তম উদাহরণ (উসউয়াতুন হাসনা) আছে- যে আশা করে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
    মুমিনরা যখন সম্মিলিত বাহিনী দেখেছিল, তারা বলে উঠেছিল: এর ওয়াদাই তো আল্লাহ এবং তাঁর রসূল আমাদের দিয়েছেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল সত্য বলেছেন। ফলে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।
    একদল মুমিন আল্লাহর সাথে করা তাদের অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছে, তাদের কেউ কেউ নিজের নজরানা পূর্ণ করেছে, আর কিছু সংখ্যক অপেক্ষায় আছে। তারা তাদের নীতি কিছুমাত্র বদলায়নি। যাতে করে আল্লাহ সত্যপন্থীদের পুরস্কৃত করেন তাদের সত্যবাদিতার জন্যে, আর ইচ্ছা করলে মুনাফিকদের শাস্তি দেন, কিংবা তাদের তওবা কবুল করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অতীব দয়াবান। 
    আল্লাহ কাফিরদের ফিরিয়ে দিলেন তাদের ক্ষোভসহ। তারা কোনো ফায়দা হাসিল করেনি। যুদ্ধে মুমিনদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট। আর আল্লাহ মহাশক্তিধর মহাপরাক্রমশালী। {৩৩: ১১-২৫}

মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর বক্তব্য কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। বরং ধারাবাহিকভাবে ৭৩তম আয়াত পর্যন্ত চলেছে।

এটাই সুস্পষ্ট যে- যুদ্ধের বিভীষিকাময় প্রান্তরে মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি করা এবং মুনাফিক ও অন্তরে রোগগ্রস্ত লোকদের সতর্ক করার জন্য মহান রব সুস্পষ্ট ভাষার জানিয়ে দিচ্ছেন- নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রসুলের মধ্যে উত্তম উদাহরণ আছে- যে আশা করে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি এবং আল্লাহকে বেশি স্মরণ করে। 

  • তারা বলে উঠেছিল- এর ওয়াদাই তো আল্লাহ এবং তাঁর রসুল আমাদের দিয়েছেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রসুল সত্য বলেছেন। ফলে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।
মহাপরাক্রমশালী সুস্পষ্ট ঐতিহাসিক এক ঘটনার মধ্য থেকে যে কোনও একটি বাক্যকে টেনে- ছিঁড়ে বের করে- জীবনের বিভিন্ন স্থানে তা ব্যবহার করা কতটুকু গ্রহণযোগ্য হতে পারে? 

বরং এই ঘটনার বা উসউয়াতুন হাসানার যে বিরাট শিক্ষা- তা যুদ্ধের ময়দানে বিভিন্ন পর্যায়ের সেনাপতি এবং তাদের সেনাদলের জন্যই প্রযোজ্য; যদি তারা ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করে। বিভীষিকাময় বা ‘ভয়ে চোখ উল্টে যাবার মতো’ পরিস্থিতিতে রব্বুল আলামিনের এই বক্তব্য সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক ও অনুসরণযোগ্য। আপনি দাঁড়িয়ে পানি পান করনে- নাকি শুয়ে?—তার সঙ্গে রসুলের সম্মিলিত যৌথবাহীনির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ‘উত্তম উদাহরণ’ কীভাবে প্রাসঙ্গিক হতে পারে?

যেমন, এই মুহূর্তে (২০২১, ২০২২ সাল) ইয়েমেনের হুথি বাহিনী যুদ্ধ করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী যৌথ-বাহীনির সঙ্গে। ইউক্রেন ফ্রন্টে যুদ্ধ হচ্ছে রুশ সেনা ও ইউক্রেন + পশ্চিমা জোটের বিরুদ্ধে। ফিলিস্থিনিরা লড়াই করছে আগ্রাসী জায়নবাদী ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে— সব যুগেই এমন সবল ও দুর্বলের যুদ্ধ-সংঘর্ষ হয়েছে ও হচ্ছে। এসব যুদ্ধে যারাই ন্যায়ের পক্ষে থাকবে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে- তাদের জন্যই ‘রসুলের জীবনের উত্তম উদাহরণ’ প্রযোজ্য।

পর্যবেক্ষণ ২: 

উসউয়াতুন হাসানা বা উত্তম উদাহরণ/ উত্তম আদর্শ শব্দ দুটি মহাগ্রন্থে আর কোথায় ও কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

৬০ নং অধ্যায়ের (আলমুমতাহানা) ৪ ও ৬ নং আয়াতে এই শব্দ দুটি  ব্যবহার করেছে মহান আল্লাহ।

  • তোমাদের জন্যে রয়েছে একটি উত্তম উদাহরণ/আদর্শ ইবরাহিম ও তার সাথীদের মধ্যে। তারা তাদের কওমকে বলেছিল- তোমাদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করো তাদের সাথেও। আমরা তোমাদের অমান্য করছি। তোমাদের ও আমাদের মাঝে শুরু হলো চিরন্তন শত্রুতা ও বিদ্বেষ- যতদিন-না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। 
    শুধু নিজ পিতার প্রতি ইবরাহিমের এই কথাটা ছাড়া- আমি আপনার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো, তবে আপনার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে কোনো কিছু করার অধিকার রাখি না। আমাদের প্রভু! আমরা আপনার প্রতি ভরসা করছি, আমরা আপনারই অভিমুখী হলাম এবং প্রত্যাবর্তন তো হবে আপনারই কাছে। {৬০:৪}

মুসলিম জাতি বা আত্মসমর্পণকারী জাতির পিতা ইবরাহীম আ. এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীরা তাদের জাতিকে যে কথাগুলো বলেছিলেন- তাই আমাদের জন্য উত্তম উদাহরণ/আদর্শ।

দেখা যায়- ইবরাহীম আ. তাঁর মুশরিক পিতার জন্য দোয়া করেছিলেন। আর আল্লাহ বলে দিলেন, মুশরিক বাবার জন্য দোয়ার সেই কথাটি বা ওই অংশটুকু আমাদের জন্য অনুসরণীয় বা উদাহরণযোগ্য (উসউয়াতুন হাসানা) নয়।

পবিত্র মহাগ্রন্থে রসুল-নবী ইবরাহীম আ.এর মুশরিক-পিতা সম্পর্কিত কথা উল্লেখ না করলেও চলতো। কারণ তা উত্তম উদাহরণ/ আদর্শ নয়। কেন আল্লাহ সে অংশ উল্লেখ করে- আবার নিষেধ করে দিলেন?

তার একটি কারণ হলো- তিনি আমাদের জানিয়ে দিলেন যে, সব কিছু্ উৎকৃষ্ট বা উত্তম উদাহরণ নয়। বরং সেটুকুই উত্তম উদাহরণ- যা প্রাসঙ্গিক এবং যা আল্লাহ উদাহরণ-সহ বলে দিয়েছেন।

ঠিক যেমন, আহযাব যুদ্ধের ময়দানে রসুল সা. ধৈর্যশীল ও বীর যোদ্ধার মতো অটল অবিচল ছিলেন, তিনি একবিন্দু নড়েন নি, তাঁর অন্তর ছিল রব্বুল আলামিনের প্রতি পূর্ণ আস্থাবান এবং শত্রুদের প্রতিরোধে প্রবল। তাঁর এই ‘উত্তম উদাহরণ’ বা ‘উসউয়াতুন হাসানা’ তারাই গ্রহণ করতে পারে- যারা পরকালে বিশ্বাসী এবং যারা আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে ভীত। তারা আল্লাহর রসুলের মতো যুদ্ধের ময়দানে অটল অবিচল থাকে; তারা শত্রুর ভয়ে বা মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয় না।

এক আয়াত পরেই আল্লাহ জানিয়ে দিচ্ছেন- 

  • তোমরা যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করো, নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্যে উত্তম উদাহরণ/ আদর্শ; কেউ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়- নিশ্চয়ই আল্লাহ অভাবমুক্ত সপ্রশংসিত। {৬০:৬}

অর্থাৎ, ইবরাহীম আ.-এর সঙ্গী-সাথীদের মতোই পৃথিবীতে যে মানুষ পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতে বিশ্বাসী- তার কাজ ও জীবনের মধ্যে আমাদের সবার জন্য রয়েছে (কিছু) উত্তম উদাহরণ।

সেসব মানুষের গোটা জীবন উত্তম উদাহরণ নয়; বরং তাদের মধ্যে যেটুকু ভালো- আল্লাহ ও পরকালীন কল্যাণ সম্পর্কিত- সেটুকুই আমাদের জন্য উত্তম উদাহরণ বা উসউয়াতুন হাসানা।

ধন্যবাদ।

2 thoughts on “উসউয়াতুন হাসানা বা উত্তম উদাহরণ”

  1. মোঃ শাহাদাত হোসাইন

    আমি ইসলামিক বিষয়ে ইতিহাস জানতে এবং পড়তে খুবই আগ্রহী এবং মনোযোগী আমি পড়ি এবং বুঝার চেষ্টা করি

    1. মনোযোগ দিয়ে পড়া ও বোঝার চেষ্টা করার জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা চালিয়ে যান, সফল হবেন নিশ্চয়ই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *