কুর’আন বোঝা কি সম্ভব?

আল-কুর’আন কি বিস্তারিত?

কয়েকটি প্রশ্নকে সমানে রেখে আলোচনা শুরু করা হলো।

  • মহাগ্রন্থ আল-কুর’আন কি বিস্তারিত বা স্বয়ংসম্পূর্ণ?
  • মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু কি আল-কুর’আনে আছে?
  • মানুষ কি মহাগ্রন্থ আল-কুর’আন বুঝতে সক্ষম?

এই প্রবন্ধে আমরা বোঝার চেষ্টা করব, নতুন যুগে, নতুন সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো কীভাবে কিতাবে লিপিবদ্ধ করেছেন আল্লাহ? এসব বিষয়ে মহান আল্লাহ কী কী বলেছেন? চলুন দেখা যাক।

এসব প্রশ্নের প্রচলিত মতামত ও বিশ্বাস হলো- 

 আল-কুরআন সবাই বুঝতে পারবে না। বড় বড় আলেম ওলামারা কুরআন বোঝেন- তাঁরাই কিতাব ব্যাখ্যা করেন।
  নতুন যুগের সব সমস্যা সমাধানে ইজমা কিয়াসের ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন বিষয়ে সুন্নী নেতাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে বলে ইজমা।
এমন ইজমা আছে শিয়া মুসলিমদের। আছে হাম্বলি মাজহাব, শাফেঈ মাজহাব-সহ সব দল-উপদলের। তাই ইজমার সিদ্ধান্ত মান্য করা হলো- কুরআনের নির্দেশ মান্য করার মতো। যদিও কোনও একটি বিষয়েও সব দলের ইজমা-কিয়াসের নেতারা একমত হতে পারেন নি। বিভেদ আছে খোদ প্রতিটি দলের মধ্যেও!

 পাশাপাশি আছে নানা তাফসির গ্রন্থ। জীবনভর বিভিন্ন দল-মতের কর্তাব্যক্তিরা তাফসির রচনা করেছেন; যুগে যুগে তা সংশোধিত- পরিমার্জিত হয়েছে। তাই সেসব তাফসির স্ব স্ব দলের জন্য আলোকবর্তিকা। পাশাপাশি, তা সাধারণ মানুষের জন্যও কুরআন পাঠের সহায়িকা

১৪শ’ বছর ধরে প্রায় সব প্রজন্মের মানুষই এসব বিষয় বিনা-দ্বিধায় মেনে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে। আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি- এসব প্রশ্নের জবাবে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন কি বলেযুগের নানা প্রয়োজনকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিষয়ে কুরআন আসলেই কোনও পথ দেখিয়েছে কি?

মহাজগতের প্রভুর পাঠানো কিতাবে কী বলা হয়েছে? প্রথমে মৌলিক বিষয়টি দেখা যাক। পাশাপাশিযে ইজমা-কিয়াস ধরিয়ে দেওয়া হলো- সে বিষয়ে কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি কী? এখানে তা দেখতে পারেন।

মানুষের এসব যৌক্তিক প্রশ্নের জবাব অবশ্যই মহান আল্লাহ দিয়েছেন বলেই আমরা বিশ্বাস করতে পারি।আমাদের জানা দরকার- মহান রব্বুল আলামিন- যিনি জগতসমূহের লালন-পালনকর্তা, তিনি আমাদেরকে কেমন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছেন।

তিনি কি তাঁর কিতাব অসম্পূর্ণ বা অপূর্ণাঙ্গ করে তাঁর রসুলের কাছে পাঠিয়েছেনযাতে প্রিয়নবীকে অন্য কোনও কিতাব, ভিন্ন কোনও পথ ও মত অন্বেষণ করতে হয় ? অথবা আমাদেরকেও ?

মহাগ্রন্থ আল-কিতাব যদি মহাজগতের প্রভুর পাঠানো হুদা বা গাইডলাইন হয়ে থাকে- তাহলে তেমনটি হবার কোনও সুযোগ নেই বলেই মনে হয়। আল-কিতাব কী বলে? চলুন দেখা যাক।

  • এ কুরআন আল্লাহ ছাড়া আর কারো পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয়; বরং এটি এর পূর্বে যেসব (কিতাব) অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলোর সত্যায়নকারী এবং বিধানসমূহের বিশদ বিবরণ। এতে সন্দেহের কোনোই অবকাশ নেই যে, এটি নাযিল হয়েছে মহাজগতের প্রভুর পক্ষ থেকে। {১০:৩৭}

  • আলিফ লাম রা; এটি একটি কিতাব এর আয়াতসমূহ বিজ্ঞানময়, সু-বিন্যস্ত, বিশদ-ভাবে বর্ণিত, মহাবিজ্ঞানী সর্বজ্ঞ আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। {১১:১}

মহান আল্লাহর এই দু’টি বক্তব্যের মাধ্যমেই আল-কিতাব ও মহান রবের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল হয়ে যায়। যা কিছু প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা আসবে কিয়ামতের আগ্ পর্যন্ত- সেসব বিষয়েই মহাগ্রন্থে দিক-নির্দেশনা থাকতে হবে। রব্বুল আলামিন কিতাব নাযিল করেছিলেন ১৪০০ বছর আগে; আর তিনি বর্তমান যুগ কথা, আরও ২০ হাজার বছর পরের কথা ভুলে গেছেন- তা তো না। মানুষ সময়ের বেড়াজালে বন্দী। কিন্তু মহান প্রভু থাকেন সময়ের ঊর্ধ্বে। তিনিই সময়ের স্রষ্টা। তিনি সময়ের সীমাবদ্ধতা মুক্ত। তাঁর কাছে সবই ‘বর্তমান’। তাঁর কোনও অতীত নেই- ‘অজানা ভবিষ্যত’ বলে কিছু নেই। সব কিছুই তাঁর হাতের মুঠোয় বন্দী।

মহান কিতাবে তিনি কিয়ামত পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব বিষয় বলে দিয়েছেন। তিনি ঘোর কিয়ামতের কথাও বলেছেন। কিয়ামতের পরে কার কী হবে- সে কথাও বলেছেন (অগ্রীম)! আর মানুষ নানা অযৌক্তিক অভিযোগ ও প্রশ্ন করেই চলেছে হাজার বছর ধরে।

ওপরের দুটি আয়াতে সুস্পষ্ট ঘোষণার পরও বার বার হুঁশ হারানো- দিক হারানো মানুষকে বিভিন্ন ঘটনা ও নানা উদাহরণ দিয়ে মনে করিয়ে দিচ্ছেনএভাবেই তিনি বিশদ-বিস্তৃত-বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেনগোটা কুরআন-জুড়ে। তিনি কুর’আনকে বানিয়েছেন স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ।

  • তোমাদের কী হয়েছে, যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে কেন তোমরা তা থেকে খাবে না? অথচ তোমাদের জন্যে যা যা হারাম করা হয়েছে তা তোমাদেরকে বিশদভাবেই বলে দেওয়া হয়েছে। {৬:১১৯}

  • আমরা এ কুরআনে প্রতিটি বিষয়ের উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছিকিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অস্বীকার করেছে। {১৭:৮৯}

  • আমরা এই কুরআনে বিভিন্ন রকম উপমার মাধ্যমে মানুষের জন্যে আমাদের বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। অথচ মানুষ বেশিরভাগ বিষয়ে বিতর্কপ্রিয়।
    {১৮:৫৪}

  • এটি এমন একটি কিতাব, যার আয়াতসমূহ বিশদ বিবরণ সম্বলিত। এটি আরবি ভাষায় কুরআন, যেসব লোক এলেম চর্চা করে তাদের জন্যে। {৪১:৩}

বিয়ে-সংক্রান্ত নির্দেশনার পর আল্লাহ বলছেন-

  • আল্লাহ ইচ্ছা করেন তোমাদের নিকট বিশদভাবে বিবৃত করিতেতোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি তোমাদেরকে অবহিত করিতে এবং তোমাদের ক্ষমা করিতে; আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। {৪:২৬}

কিয়ামত সংক্রান্ত একটি উদাহরণ দিয়ে মহান রব বললেন-

  • এভাবেই আমরা বিশদভাবে বর্ণনা করি আমাদের আয়াত, যাতে করে তারা (হিদায়েতের পথে) ফিরে আসে। {৭:১৭৪}

ভুল থেকে ফিরে এসে মানুষ কীভাবে নিজেকে সংশোধন করবে- তার উদাহরণ দিয়ে মহান রব বললেন-

  • এইভাবে আমি আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করি; আর এতে অপরাধীদের পথ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। {৬:৫৫}

এবার দ্বিতীয় মৌলিক প্রশ্ন। আল-কুরআনের কিছু বিষয় তো ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। কারণ, সেখানে এমন কিছু বিষয় আছে যা মহা-বিজ্ঞানময়। যেমন, ভৌতবিজ্ঞানচিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানবিবর্তন, ভ্রুণবিদ্যা, মহাজাগতিক বিজ্ঞান, ভবিষ্যৎবাণী ইত্যাদি। এমন কিছু বিষয়ও আছে যা মানুষ তার জ্ঞান দিয়ে জানতে বা নিশ্চিত হতে পারবে না। যেমন- মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও ধ্বংস, নফস, রুহ, জিন, অদৃশ্য জগৎফেরেশতা ইত্যাদি। এসব বিষয়ের কী হবে? যেহেতু মহান রব উল্লেখ করেছেন- তার ব্যাখ্যা কে দেবে?

এই প্রশ্নের সুন্দর জবাব দিয়েছেন মহান আল্লাহ। তিনি নবী মোহাম্মদ রসুলুল্লাহকে বলেছেন- 

  • আল-কুরআন নাযিল করা, মুখস্থ করানো ও সংরক্ষণের দায়িত্ব রব্বুল আলামিনের। 
  • কুরআনের নানা বিষয় বিশদভাবে ব্যাখ্যার দায়িত্বও স্বয়ং আল্লাহর।
  • এর সংরক্ষণ করা ও পড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। সুতরাং আমরা যখন তা পাঠ করিতুমি তখন সেই পাঠের অনুসরণ করো। তারপর তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে দেয়ার দায়িত্বও আমাদের। {৭৫:১৭-১৯}

আমরা জানি- ইতোপূর্বে নবী মুসার কাছে পাঠানো হয়েছিল তাওরাত। কেমন ছিল সেই কিতাব? দেখা যায় সেই কিতাবও ছিল পরিপূর্ণ ও বিস্তারিত।

  • তারপর আমরা মুসাকে দিয়েছিলাম কিতাব, যা ছিলো কল্যাণপরায়ণদের জন্যে পরিপূর্ণ, সবকিছুর বিশদ বিবরণহিদায়েত ও রহমত, যাতে করে তারা তাদের প্রভুর সাথে সাক্ষাতের প্রতি ঈমান আনে। {৬:১৫৪}

  • আমরা তার জন্যে ফলকে সব বিষয়ের উপদেশ এবং সব বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা লিখে দিয়েছি। সুতরাং এগুলো শক্ত করে আঁকড়ে ধরো এবং তোমার কওমকে এগুলোর উত্তম নির্দেশাবলী গ্রহণ করার নির্দেশ দাও। আমি অচিরেই তোমাদেরকে ফাসিকদের আবাস দেখাবো। {৭:১৪৫}

মুসা ও হারুনের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন-

  • আমি উভয়কে দিয়াছিলাম বিস্তারিত কিতাব। {৩৭:১১৭}

এক্ষণে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে। কুরআনের এত-শত তাফসির গ্রন্থের কী হবে? শত-হাজার বছর ধরে অসংখ্য তাফসির গ্রন্থ রচনা করেছেন বিভিন্ন দল-উপদল-নির্দলীয় ব্যক্তিবর্গ।

হাজার বছরব্যাপী তাফসির চর্চার কী হবে?

তাফসির সাহিত্যের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা না বলে; বরং, মহাজগতের প্রভু তাফসির বা কুরআনের আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে যা বলেছেন তা জানার চেষ্টা করি। তিনি বলেছেন- কুরআনের তাফসিরও তিনিই করবেন। কারণ, আমাদেরকে পথ দেখানোর দায়িত্ব তাঁর। তাই তিনি মানবজাতিকে হুদা (পথনির্দেশ) পাঠাবেন এবং তা ব্যাখ্যাও করবেন।

  • কাফিররা বলে তার কাছে কুর’আন একসঙ্গে সম্পূর্ণ অবতীর্ণ হলো না কেন; যাতে আমরা তোমার হৃদয়ে তা মজবুত করতে পারি; এবং আমরা তা পাঠ করেছি তারতিলের সঙ্গে। 
    এবং তারা তোমাকে কোনও উদাহরণ দিলেই আমরা তোমাকে সর্বোৎকৃষ্ট তাফসির দেই। {২৫:৩২,৩৩}

  • আমি কি আল্লাহ ছাড়া আর অন্য কাউকেও বিচারক মানবো- অথচ তিনিই তোমাদের কাছে নাযিল করেছেন আল-কিতাব ব্যাখ্যা-সহ (মুফাস্‌সলান)! 
    আর ইতোপূর্বে আমরা যাদের কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানে- এটি তোমার প্রভুর পক্ষ থেকেই পাঠানো হয়েছে। সুতরাং তুমি সন্দেহ পোষণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। {৬:১১৪}

এ অবস্থায়, মৌলিক সিদ্ধান্তটি আপনার আমার ওপর এসেই পড়ে। আমরা কোন পথে যাবোমহাগ্রন্থ আল-কিতাব, আল-কুরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন যে দাবিগুলো করছেন- তা বিশ্বাস করবো? নাকি অবিশ্বাস করে স্বাধীনতার শক্তির ব্যবহার করে (ইবাদত) ভিন্ন পথে হাঁটবো? তবে, সেক্ষেত্রে পরিণতি কী হবে- সে ঘোষণাও আগাম দিয়েছেন মহাপ্রভু।

  • জাহান্নামবাসী জান্নাতবাসীকে ডেকে বলবে- আমাদের দিকে কিছু পানি দাওঅথবা আল্লাহ তোমাদের যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে কিছু দাও। তখন তারা বলবে- আল্লাহ এদুটি জিনিসই হারাম করে দিয়েছেন কাফিরদের জন্যে। যারা তাদের দীনকে খেল তামাশা হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং দুনিয়ার জীবন যাদেরকে প্রতারিত করে রেখেছিল। সুতরাং আজ আমরা তাদের ভুলে থাকবো, যেভাবে তারা তাদের এই দিনের সাক্ষাতকে ভুলে থেকেছিল এবং যেভাবে তারা আমাদের আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমরা তাদের এমন একটি কিতাব পৌঁছিয়েছিলাম, যা ছিলো পূর্ণ জ্ঞানের বিশদ ব্যাখ্যা এবং হিদায়েত ও রহমত বিশ্বাসীদের জন্যে। {৭:৫০-৫২}

সংক্ষেপে বলা যায়:

মানুষকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন মহাজগতের প্রভু। সেই সঙ্গে পাঠিয়েছেন পথভ্রষ্টকারী ও উস্কানিদাতা জিন-শয়তানকে। এ অবস্থায় মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং মহাগ্রন্থ আল-কিতাব নাযিল করেছেন পথনির্দেশ বা হুদা হিসেবে। যারাই এই হুদার অনুসরণ করবে- তাদেরকেই মূলত নির্দিষ্ট সময় পর পৃথিবী থেকে উদ্ধার করবেন মহাজগতের প্রভু রব্বুল আলামিন।

তিনি সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন- এই কিতাব সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ, বিস্তারিত ও বিশদ। মানুষের জন্য যা কিছু হুকুম আহকাম প্রয়োজন- তা সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। যা কিছু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন- তা উদাহরণ ও উপমাসহ বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আল-কিতাবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন আয়াতের তাফসির বা ব্যাখ্যা করা এবং মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং মহাপ্রভু।

তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, পথভ্রষ্টরা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহ বিকৃত করলেও আল-কুরআন সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। কেউ এর মূল শব্দ, বাক্য, ব্যাখ্যা, তাফসির পরিবর্তন করতে পারবে না।

এ অবস্থায় ঠান্ডা মাথায় মানুষকে চিন্তা-ভাবনা করে সামনে এগুতে হবে। কারণ, মহাপ্রভুর দীনকে খেল-তামাশা হিসেবে নিলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

 

বি.দ্র: কুরআনের আয়াতের বাংলা অনুবাদের ক্ষেত্রে দেশে প্রচলিত বাংলা তরজমা ব্যবহার করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *