মালাইকা কি ও কেন?
চলমান অধ্যয়ন কার্যক্রম
পাঠকদের জন্য প্রশ্ন ও চিন্তার সুযোগ করে দেওয়া হলো। মহান আল্লাহ কুর‘আনে বলেছেন ফেরেশতাদের কথা। যাদের প্রতি বিশ্বাস করতে বলেছেন তিনি। কখনও তিনি বলেছেন- মালাইকা, মালাকু, আর-রুহ, জিবরিল, মিকাইল।
তাঁদের মধ্যে কি কোনও বিশেষ বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য আছে? তা গবেষণা করার জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুর‘আনের সবগুলো আয়াত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং কনটেক্স-ভিত্তিক ফেরেশতাদের আকর্ষণীয় পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
আপাতত আমরা বাংলাদেশে প্রচলিত কুর‘আনের সরল অনুবাদ তুলে ধরলাম। যথাযথ অর্থ বোঝার জন্য এই ওয়েবসাইটের রিসোর্স অংশে দেওয়া টুলসগুলো ব্যবহার করুন।
১. যেসব আয়াতে বলা হয়েছে- لِلْمَلَائِكَةِ – মালাইকা- যার অনুবাদ করা হয়েছে ফেরেশতা।
২:৩০ আর যখন তোমার প্রভু মালাইকাদের বলেছিলেন: ‘আমি পৃথিবীতে খলিফা (প্রতিনিধি) নিয়োগ করতে যাচ্ছি।’ তারা বলেছিল: ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকেও নিয়োগ করবেন, যারা সেখানে ফাসাদ (অশান্তি) সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত করবে? আমরাই তো আপনার প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাসবিহ করছি আর আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি।‘ (তাদের একথার জবাবে) তিনি বলেছিলেন: ‘আমি জানি যা তোমরা জানোনা।
২:৩১ আর তিনি তালিম (শিক্ষা) দিলেন আদমকে নামকরণ। আর সেগুলো উপস্থাপন করলেন মালাইকাদের সামনে। তাদের বললেন: এই জিনিসগুলোর নাম (পরিচয়) আমাকে বলো যদি তোমরা সত্য বলে থাকো।
২:৩২ তারা বললো: আপনি মহান, আমাদের তো কোনো এলেম নেই আপনি যা শিক্ষা দিয়েছেন- তা ছাড়া। নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী এবং মহা প্রজ্ঞাময়।
২:৩৪ যখন আমরা মালাইকাদের বলেছিলাম: ‘সাজদা করো আদমকে’, তখন তারা সবাই সাজদা করলো ইবলিস্ ছাড়া। সে অস্বীকার করলো, অহংকার করলো এবং সে অন্তরভুক্ত হয়ে গেলো কাফিরদের।
২:৯৮ যে কেউ শত্রু হবে আল্লাহর, তাঁর মালাইকাদের, তাঁর রসূলদের এবং জিবরিল ও মিকালের, অবশ্যই আল্লাহও হবেন সেই অস্বীকারকারীদের শত্রু।
২:১০২ পক্ষান্তরে, তারা এত্তেবা করতে থাকলো সেইসব জিনিসের, সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা যেসব পাঠ করতো। সুলাইমান কুফুরি করেনি, কুফুরি করেছিল শয়তানরা। তারা মানুষকে ম্যাজিক শিক্ষা দিতো এবং বেবিলনে দুই মালাইকা হারূত ও মারূতের প্রতি যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা (হারূত ও মারূত) কোনো ব্যক্তিকে কিছুই শিক্ষা দিতোনা একথা পরিষ্কার করে বলে দেয়া ছাড়া যে: ‘দেখো, আমরা কিন্তু অবশ্যি ফেতনা (পরীক্ষা স্বরূপ), সুতরাং তুমি কুফুরিতে নিমজ্জিত হয়োনা।’
২:১৭৭ পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে মুখ ফেরানোর মধ্যে (প্রকৃত পক্ষে) কোনো পুণ্য নেই। বরং পুণ্য তো হলো: মানুষ ঈমান আনবে এক আল্লাহর প্রতি, শেষ দিবসের প্রতি, মালাইকাদের প্রতি, আল্লাহর কিতাব এবং নবীদের প্রতি; আর তাঁর (আল্লাহর) ভালোবাসায় মাল-সম্পদ দান করবে আত্মীয়- স্বজনদের, এতিমদের, মিসকিনদের, পথিক – পর্যটকদের, সাহায্যপ্রার্থীদের এবং মানুষকে দাসত্ব থেকে মুক্তির কাজে; আর সালাত কায়েম করবে, যাকাত প্রদান (পরিশোধ) করবে; তাছাড়া প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূর্ণকারী হবে এবং অর্থসংকট, দুঃখ-কষ্ট ও সত্য মিথ্যার সংগ্রামে সবর অবলম্বনকারী হবে। – মূলত এরাই (তাদের ঈমান ও ইসলামের দিক থেকে) সত্যবাদী এবং এরাই (প্রকৃত) মুত্তাকি।
২:২১০ তারা কি এই অপেক্ষায় আছে যে, আল্লাহ মেঘমালার ছায়ায় মালাইকাদের সাথে নিয়ে তাদের কাছে আসবেন এবং তখন সবকিছুর মীমাংসা হয়ে যাবে? অথচ সকল বিষয় (সিদ্ধান্তের জন্যে) ফিরে আসবে আল্লাহর কাছেই।
৩:১৩ বজ্রধ্বনি প্রশংসার সাথে তাঁর তসবিহ করে এবং মালাইকারাও করে তাঁর ভয়ে। তিনি বজ্রপাত ঘটান এবং তা দিয়ে যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন। তারা আল্লাহ্ সম্পর্কে বিতর্ক করে, অথচ তিনি মহাশক্তিমান।
৩:১৮ আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই কোনো ইলাহ্ নেই তিনি ছাড়া। মালাইকা এবং
জ্ঞানীরাও এই সাক্ষ্য দেয়। আল্লাহ ন্যায় ও ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত। কোনো ইলাহ নেই তিনি ছাড়া। তিনি মহাশক্তিমান মহাবিজ্ঞানী।
৩:৩৯ ফলে যাকারিয়া যখন মেহরাবে সালাতে দাঁড়িয়েছিল, তখন মালাইকা এসে তাকে ডেকে বললো: ‘আল্লাহ আপনাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহিয়ার, তিনি হবেন আল্লাহর ‘কালেমার’ সত্যায়নকারী, সাইয়েদ, নারী বিরাগী এবং সালেহ্ নবীদের একজন।
৩:৪২ যখন, মালাইকারা বলেছিল: ‘‘হে মরিয়ম! আল্লাহ আপনাকে মনোনীত ও পবিত্র করেছেন এবং বিশ্বনারীদের মধ্যে আপনাকে বাছাই করেছেন।
৩:১২৪ স্মরণ করো, তখন তুমি মুমিনদের বলছিলে: এটা কি তোমাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের প্রভু তিন হাজার ফেরেশতা পাঠিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন?
৩:১২৫ হ্যাঁ, তোমরা যদি সবর করো এবং সতর্ক থাকো, তবে তারা আকস্মিক তোমাদের উপর হামলা করলে আল্লাহ পাঁচ হাজার চিহ্নিত মালাইকা দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন।
৪:৯৭ নিজেদের প্রতি যুলুম করতে থাকা লোকদের যখন মালাইকারা ওফাত ঘটাতে আসে, তারা বলে: ‘তোমরা কী অবস্থার মধ্যে ছিলে?’ তখন তারা বলে: ‘আমরা দেশে দুর্বল অসহায় ছিলাম।’ তখন তারা বলে: ‘কেন আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিলনা যেখানে তোমরা হিজরত করতে পারতে?’ এরাই সেইসব লোক যাদের আবাস হবে জাহান্নাম আর সেটা কতো যে নিকৃষ্ট আবাস!
৬:৯ যদি আমি কোন মালাইকাকে রসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত। এতেও ঐ সন্দেহই করত, যা এখন করছে।
৬:৯৩ ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় যালিম আর কে, যে মিথ্যা রচনা করে আল্লাহর উপর আরোপ করে, কিংবা বলে, ‘আমার কাছে অহি আসে’, অথচ তার কাছে কোনো
অহিই আসেনা, আর ঐ ব্যক্তিও, যে বলে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন আমিও তা নাযিল করবো?’ তুমি যদি দেখতে এই যালিমরা যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাবে আর মালাইকা হাত বাড়িয়ে বলবে: ‘বের করো তোমাদের প্রাণ। আজ প্রয়োগ করা হবে তোমাদের উপর অপমানকর আযাব, কারণ তোমরা আল্লাহর উপর আরোপ করতে না হক কথা আর আল্লাহর আয়াত নিয়ে প্রকাশ করতে ঔদ্ধত্য।’
৬:১১১ আমরা যদি তাদের কাছে মালাইকাও নাযিল করি, যদি মৃত লোকেরা এসেও তাদের সাথে কথা বলে এবং তাদের সামনে সব বস্ত্ত এনেও যদি হাজির করি, তবু তারা ঈমান আনবেনা, তবে আল্লাহ চাইলে ভিন্ন কথা। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জাহেল।
৬:১৫৮ তারা তো শুধু এ জন্যেই অপেক্ষা করছে যেনো তাদের কাছে মালাইকা আসে, অথবা স্বয়ং তোমার প্রভু আসেন, অথবা তোমার প্রভুর কোনো নিদর্শন আসে। শুনো, যেদিন তোমার প্রভুর নিদর্শন আসবে সেদিন ঐ ব্যক্তি ঈমান আনলে তাতে তার কোনো ফায়দা হবেনা, যে ব্যক্তি আগে ঈমান আনেনি; কিংবা যে ব্যক্তি ঈমানের ভিত্তিতে কল্যাণ অর্জন করেনি। বলো: ‘তোমরা অপেক্ষা করো। আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম।
৭:১১ আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি, তারপর তোমাদের আকৃতি দান করেছি, তারপর মালাইকাদের বলেছি, সাজদা করো আদমের প্রতি। তখন তারা সবাই সাজদা করেছিল ইবলিস ছাড়া। সে সাজদাকারীদের সাথে শামিল হয়নি।
৮:১২ স্মরণ করো, তোমাদের প্রভু মালাইকাদের প্রতি অহি করে বলেছিলেন: আমি তোমাদের সাথে আছি, তোমরা মুমিনদের অবিচল রাখো। অচিরেই আমি কাফিরদের অন্তরে সঞ্চার করে দেবো ভয় আর আতঙ্ক। অতএব তোমরা আঘাত করো তাদের গর্দানে আর আঘাত করো তাদের জোড়ায় জোড়ায়।
৮:৫০ তুমি যদি দেখতে, মালাইকারা যখন কাফিরদের ওফাত (মৃত্যু) দিতে আসে তাদের চেহারা ও পিঠে আঘাত করতে থাকে এবং বলে, স্বাদ গ্রহণ করো দহন যন্ত্রণার।
১৫:৭ তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকলে আমাদের কাছে মালাইকা নিয়ে আসোনা কেন?’
১৫:৮ আমরা তো বাস্তব পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া ছাড়া ফেরেশতা পাঠাইনা; আর যখনই ফেরেশতা পাঠাই তখন আর তাদের অবকাশ দেয়া হয়না।
১৫:২৮ যখন তোমার প্রভু মালাইকাদের বলেছিলেন, আমি মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি গন্ধযুক্ত কাদার শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে।
১৫:৩০ ফলে মালাইকা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে সাজদা করে।
১৬:২ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের যাদেরকে চান, তাদের প্রতি মালাইকা এবং রুহ পাঠান এই আদেশসহ: তোমরা সতর্ক করো যে, নিশ্চয়ই আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ্ নেই, সুতরাং তোমরা আমাকে ভয় করো।
১৬:২৮ যাদেরকে মালাইকারা মৃত্যু ঘটায় নিজেদের প্রতি যুলুম করতে থাকা অবস্থায়। তখন তারা আত্মসমর্পণ করে বলে: ‘আমরা কোনো মন্দ কাজ করতাম না।’ হ্যাঁ, আল্লাহ ভালো ভাবেই জানেন তোমরা কী করতে?’
১৬:৩২ মালাইকারা তাদের ওফাত ঘটায় পবিত্র জীবন – যাপন করা অবস্থায়। তারা বলে: ‘সালামুন আলাইকুম- আপনাদের প্রতি বর্ষিত হোক শান্তি, আপনারা দাখিল হোন জান্নাতে আপনাদের উত্তম আমলের বিনিময়ে।’
১৬:৩৩ তারা কি তাদের কাছে মালাইকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে, নাকি তাদের প্রভুর নির্দেশ আসার অপেক্ষায়? তাদের আগেকার লোকেরাও এ রকমই করতো। আল্লাহ তাদের প্রতি যুলুম করেননি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছিল।
১৭:৯৪,৯৫ মানুষের কাছে যখন আল-হুদা আসে, তখন তাদেরকে ঈমান আনা থেকে বিরত রাখে তাদের এই কথা- আল্লাহ্ কি একজন মানুষকে রসুল বানিয়ে পাঠিয়েছেন?
বলো- পৃথিবীতে যদি মালাইকারা স্বচ্ছন্দে/ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতো, তবে আমরা অবশ্যই আকাশ থেকে তাদের জন্যে কোনও ফেরেশতাকেই রসুল বানিয়ে পাঠাতাম।
২১:১০৩ মহাভীতি তাদেরকে চিন্তিত করবে না। মালাইকারা তাদের সাথে মোলাকাত করে বলবে: ‘এটাই হলো আপনাদের সেইদিন, যার ওয়াদা আপনাদের দেয়া হয়েছিল।
২২:৭৫ আল্লাহ্ মালাইকাদের থেকে রসুল মনোনীত করেন এবং মানুষের মধ্য থেকেও মনোনীত করেন। আল্লাহ্ সব শুনেন, সব দেখেন।
২৫:২২ যেদিন তারা মালাইকা দেখবে, সেদিন অপরাধীদের জন্যে কোনো সুসংবাদ থাকবেনা। সেদিন তারা বলবে: ‘এ – তো কঠিন অন্তরায়, রক্ষা করো, রক্ষা করো।
২৫:২৫ সেদিন আকাশ মেঘমালাসহ বিদীর্ণ হবে এবং মালাইকাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হবে–
৩৩:৪৩ তিনি তোমাদের প্রতি সালাত (রহমত ও অনুগ্রহ) করেন আর তাঁর মালাইকারাও তোমাদের জন্যে তাঁর রহমত প্রার্থনা করে তোমাদেরকে অন্ধকাররাশি থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসার জন্যে। তিনি মুমিনদের প্রতি অতীব দয়াবান।
৩৩:৫৬ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর নবীর প্রতি সালাত করেন এবং তাঁর মালাইকারা নবীর জন্যে সালাত প্রার্থনা করে।
৩৫:১ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মহাকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, যিনি মালাইকাদের বার্তাবাহক নিয়োগ করেন, অধিকারী দুই দুই, তিন তিন কিংবা চার চার। তিনি সৃষ্টিতে বৃদ্ধি করেন যা ইচ্ছা করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিটি বিষয়ের উপর শক্তিমান।
৩৯:৭৫ আর তুমি দেখতে পাবে, মালাইকারা আরশের চারপাশে বৃত্ত বানিয়ে ঘোষণা করছে তাদের প্রভুর প্রশংসার তসবিহ্। এভাবেই নিখাদ ন্যায্যভাবে ফায়সালা করে দেয়া হবে মানুষের মাঝে, আর ঘোষণা করা হবে: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ রাববুল আলামিনের।’
৪০:৭ যারা আল্লাহর আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা আছে আরশের চারপাশে, তারা তাদের প্রভুর প্রশংসাসহ তসবিহ করছে। তারা তাঁর প্রতি ঈমান রাখে এবং তারা মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
৪১:৩০ নিশ্চয়ই যারা বলে: ‘আল্লাহ্ আমাদের প্রভু’, অত:পর একথার উপর অটল – অবিচল থাকে, তাদের প্রতি মালাইকা নাযিল হয়ে বলে: ‘‘আপনারা ভয় পাবেন না, চিন্তিতও হবেননা। আপনারা খুশি হয়ে যান সেই জান্নাতের জন্যে যার ওয়াদা আপনাদের দেয়া হয়েছিল।
৪২:৫ তাদের উপর আকাশ ভেংগে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তা সত্ত্বেও মালাইকারা তাদের প্রভুর প্রশংসার তসবিহ্ করার সাথে সাথে পৃথিবীর অধিবাসীদের জন্যেও ক্ষমা ভিক্ষা করছে। এখনো সতর্ক হয়ে যাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অতীব দয়ালু।
৪৩:১৯ মালাইকা, যারা রহমানের দাস, তাদেরকে তারা নারী গণ্য করে। তারা কি তাদের সৃষ্টির সময় উপস্থিত ছিলো?
৪৩:৬০ আমরা চাইলে তোমাদের পরিবর্তে মালাইকা সৃষ্টি করতে পারতাম, তখন তারা পৃথিবীতে তোমাদের খলিফা (উত্তরাধিকারী) হতো।
৪৭:২৭ তখন কেমন হবে, যখন মালাইকা তাদের ওফাত ঘটাতে এসে মুখমন্ডল আর পিঠে কষাঘাত করতে থাকবে?
৫৩:২৬ মহাকাশে কতো মালাইকা রয়েছে, তাদের শাফায়াতে কিছুমাত্র লাভ হবে না, তবে আল্লাহ্ যদি অনুমতি দেন তারপর, এবং তিনি যার জন্যে অনুমতি দেন, আর তিনি যার প্রতি সন্তুষ্ট হন।
৬৬:৪ যদি তোমরা দুজনেই আল্লাহর দিকে তওবা করে ফিরে আসো তবে ভালো, কারণ তোমাদের অন্তর তো ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু তোমরা যদি নবীর বিরুদ্ধে পরস্পরকে সহযোগিতা করো, তবে জেনে রাখো, আল্লাহ্ তার মাওলা এবং জিবরিল আর পুণ্যবান মুমিনরাও তার সাহায্যকারী। তাছাড়া মালাইকারা তো তার সাহায্যকারী আছেই।
৭৪:৩১ আমরা জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেছি মালাইকাদের।
………………………………………………..
২. যেখানে বলা হয়েছে আল-মালাকু (َٱلْمَلَكُ)
৬৯:১৭ আল-মালাকু অবস্থান করবে তার প্রান্তে। সেদিন তাদের উপর আটজন ধারণ করবে তোমার প্রভুর আরশ। (ٱلْمَلَكُ)
৮৯:২২ এবং তোমার প্রভু যখন উপস্থিত হবেন আর তাঁর সাথে থাকবে সারি সারি আল-মালাকু (ٱلْمَلَكُ)
………………………………………………..
৩. কিছু বিশেষ আয়াত
৬:৮ তারা বলে: ‘তার কাছে কোনো মালাইকা পাঠানো হলোনা কেন?’ – আমরা যদি মালাইকা পাঠাতাম তবে তো চূড়ান্ত ফায়সালাই হয়ে যেতো, তারপর তাদেরকে আর কোনো অবকাশই দেয়া হতো না।
৩৭ নং সুরা আস্ সাফফাত special sura
১৭:৯৫ (হে নবী!) বলো: ‘পৃথিবীতে যদি মালাইকা নিশ্চিন্তে/স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতো, তবে আমরা অবশ্যি আকাশ থেকে তাদের জন্যে কোনো মালাইকা-কেই রসুল বানিয়ে পাঠাতাম।
১৬:৪৯ মহাকাশে যা কিছু আছে এবং পৃথিবীতে যতো জীবজন্তু আছে সবাই আল্লাহর জন্যে সাজদাবনত হয়, আর মালাইকারাও তাঁকে সাজদা করে এবং তারা অহংকার করেনা।
২:১৬১ কিন্তু যারা কুফরি করবে এবং সত্য গোপনকারী অবস্থাতেই মারা যাবে, তাদের প্রতি আল্লাহর লা‘নত এবং মালাইকাকুল ও সমস্ত মানুষের লা‘নত।
৩:৮৭ আসলে এরা হলো সেইসব লোক যাদের উপর আল্লাহর, মালাইকাদের এবং সমস্ত মানুষের লা’নত বর্ষিত হচ্ছে, এটাই তাদের কর্মের পরিণাম ফল।
………………………………………………..
৪. الروح আর–রুহ / আল রুহ The Ruh / الرُّوحُ আল রুহু
১৭:৮৫ তারা তোমার কাছে জানতে চাইছে আর–রুহ সম্পর্কে, তুমি বলো: আর–রুহ (الرُّوحِ) আমার প্রভুর একটি আদেশ। আর তোমাদের খুব কমই এলেম দেয়া হয়েছে।
২৬:১৯৩ এটি নিয়ে নাযিল হয়েছে আর-রুহুল আমিন (الرُّوحُ الْأَمِينُ)
৭০:৪ মালাইকা এবং আর–রুহ (الروح) তাঁর দিকে উঠে এমন একটি ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে (পৃথিবীর সময় অনুযায়ী) যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
৭৮:৩৮ সেদিন আর–রুহ (الرُّوحُ) এবং মালাইকা দাঁড়িয়ে থাকবে সারিবদ্ধ হয়ে। তারা কোনো কথা বলবে না ; তবে দয়াময় রহমান কাউকেও অনুমতি দিলে (সে বলবে) এবং সে বলবে যথার্থ ও ন্যায়সঙ্গত কথা।
৯৭:৪ নাযিল হয় মালাইকা এবং আর–রুহ (الروح) সে রাত্রে, তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে সকল নির্দেশ নিয়ে,
….
২২:৩১ ও
১৪:১৮ বলা হয়েছে আর-রিহু ٱلرِّيحُ বাতাস যা উড়িয়ে নিয়ে যায়
২:১৬৪ ও ৪৫:৫ বলা হয়েছে আর-রিয়াহি ٱلرِّيَٰحِ বাতাস ও বাতাসের পরিবর্তন
………………………………………………..
৫. যেখান বলা হয়েছে রুহ رُّوحِ .
১৬:২ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের যাদেরকে চান, তাদের প্রতি মালাইকা এবং রুহ পাঠান এই আদেশসহ: তোমরা সতর্ক করো যে, নিশ্চয়ই আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ্ নেই, সুতরাং তোমরা আমাকে ভয় করো।
৪০:১৫ তিনি উঁচু মর্যাদার অধিকারী, আরশের অধিপতি। তিনি তাঁর বান্দাদের যার প্রতি ইচ্ছা তাঁর নির্দেশ প্রেরণ করেন অহির মাধ্যমে, যাতে করে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে।
৭০:৪ মালাইকারা এবং রুহ তাঁর দিকে উঠে এমন একটি ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
৯৭:৪ নাযিল হয় মালাইকা এবং রুহ সে রাত্রে, তাদের প্রভুর অনুমতিক্রমে সকল নির্দেশ নিয়ে,
………………………………………………..
৬. জিবরিল যেখানে আছে আল-জিবরিল, জিবরিলা, মিকালাا جِبْرِيلُ , لِجِبْرِيلَ , جِبْرِيلَ , مِيكَىٰلَ
২:৯৭ বলো- যে কেউ শত্রুতা করবে জিবরিলের, তার জেনে রাখা উচিত, জিবরিল তা আল্লাহর হুকুমেই তোমার কলবে নাযিল করছে, এ গ্রন্থ তোমার পূর্বে অবতীর্ণ কিতাব সমূহের সত্যায়নকারী এবং সত্যপথ প্রদর্শক ও সুসংবাদ মুমিনদের জন্যে।
২:৯৮ যে কেউ শত্রু হবে আল্লাহর, তাঁর মালাইকাদের, তাঁর রসূলদের এবং জিবরিল ও মিকালের, অবশ্যি আল্লাহও হবেন সেই কাফিরদের শত্রু।
৬৬:৪ যদি তোমরা দুজনেই আল্লাহর দিকে তওবা করে ফিরে আসো তবে ভালো, কারণ তোমাদের অন্তর তো ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু তোমরা যদি নবীর বিরুদ্ধে পরস্পরকে সহযোগিতা করো, তবে জেনে রাখো, আল্লাহ্ তার (নবীর) মাওলা এবং জিবরিল আর পুণ্যবান মুমিনরাও তার সাহায্যকারী। তাছাড়া মালাইকারা তো তার সাহায্যকারী আছেই।